আগরতলা (ত্রিপুরা), 4 মে : ত্রিপুরার তেলিয়ামুরায় কংগ্রেস ও বিজেপি যুব মোর্চার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ৷ সোমবার সন্ধ্যার ঘটনায় দুই পক্ষই অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় ৷ বিজেপির অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বিজেপি ধরাশায়ী হওয়ায় যুব কংগ্রেসের সদস্যরা তা উদযাপন করছিলেন ৷ সেই সময় সেখান দিয়ে বিজেপি যুব মোর্চার কয়েকজন সদস্য যাচ্ছিলেন ৷ তাঁদের উপর কংগ্রেসের সদস্যরা হামলা চালায় ৷ তাঁদের মারধর করা হয় ৷ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বিজেপি যুব মোর্চার বিরুদ্ধে যুব কংগ্রেসের নেতার উপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের এই সেলিব্রেশনকে ঘিরে যুব মোর্চা ও যুব কংগ্রেসের সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয় ৷ অভিযোগ উঠেছে, কংগ্রেসের ওই সেলিব্রেশনের জায়গার কাছেই বিজেপি যুব মোর্চার কয়েকজন দাঁড়িয়ে ছিলেন ৷ সেই সময় যুব কংগ্রেসের তরফে তাঁদের উদ্দেশ্য করে কূটক্তি করা হয় ৷ যে ঘটনাকে ঘিরে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু ৷ ঘটনায় তেলিয়ামুরার যুব কংগ্রেসের নেতা বিভাস দাস এবং অরিন্দম ধরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি নেতৃত্ব ৷
যদিও, বিভাস দাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন, তিনি বাড়ি ফেরার পথে 20-30 জন বিজেপি যুব মোর্চার সদস্য তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করে এবং তাঁর বাইক ভাঙচুর করে ৷ সেখান থেকে কোনও মতে পালিয়ে তিনি একটি দোকানে গিয়ে আত্মগোপন করেন ৷ তবে, বিজেপি যুব মোর্চার ওই সদস্যরা সেই দোকানে ঢুকে তাঁকে মারধর করে এবং ওই দোকানেও ভাঙচুর চালায় ৷
আরও পড়ুন : ভোট-পরবর্তী হিংসা বর্ধমানে, হামলায় ঘরছাড়া বিজেপির 60 পরিবার
ঘটনার প্রতিবাদে যুব কংগ্রেস ও বিজেপি যুব মোর্চা দুই তরফেই বিক্ষোভ দেখানো হয় ৷ তেলিয়ামুরার বিজেপি বিধায়ক কল্যাণী রায় যুব মোর্চার বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় ত্রিপুরা পুলিশের টিএসআর ফোর্স নামানো হয় ৷ এলাকার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ৷