গুরুগ্রাম, 22 সেপ্টেম্বর: এক পুলিশ ইনস্পেক্টরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল গুরুগ্রামে ৷ তিনি সোহনার কায়কল্প আশ্রমে যোগ প্রশিক্ষক হিসাবে ডেপুটেশনে নিযুক্ত ছিলেন । গুরুগ্রামের পালাম বিহার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ওই পুলিশ আধিকারিক ৷ পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ৷ পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ ৷
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মৃতের নাম বীরভান ৷ তিনি হরিয়ানার রোহতকের বাসিন্দা ৷ 2012 সালে তিনি পুলিশে যোগ দেন ৷ তাঁকে ডেপুটেশনে সোহনার কায়কল্প আশ্রমে যোগ প্রশিক্ষক হিসাবে পাঠানো হয়েছিল । সেই কারণে গুরুগ্রামের পালম বিহারে একটি ভাড়া বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি ।
পারিবারিক কলহের কারণে সঙ্গে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ও পারিবারিক হিংসা সংক্রান্ত মামলা আদালতে বিচারাধীন । গত 20 সেপ্টেম্বর বুধবার আদালতে সেই মামলার শুনানি হয় । শুক্রবার আবারও সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল আদালতে ।
তার আগে বুধবার রাত 9টার দিকে নিজের ঘরে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ ৷ তাঁর স্ত্রী সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন ৷ তিনি বারবার ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে বাড়িওয়ালা ডাকেন বলে দাবি করেছেন ৷ পরে পুলিশে খবর দেয় ৷ পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে ৷ সেখানে বীরভানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৷
যেহেতু তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল ৷ তার পরও তাঁর স্ত্রী তাঁর সঙ্গে বাড়িতেই ছিলেন, তাই বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছে পুলিশ ৷ সেই কারণে তারা কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে সবদিক খতিয়ে দেখছে ৷
গুরুগ্রাম পুলিশের এসিপি নবীন শর্মা জানান, স্ত্রীর সঙ্গে ওই পুলিশ ইন্সপেক্টরের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল আদালতে । এই বিষয়ে শুক্রবার আদালতে শুনানি হওয়ার কথা ছিল । পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: 5 বছর ধরে ছাত্রীকে ধর্ষণ, একাধিকবার গর্ভপাত! অভিযুক্ত আইটিআই ইনচার্জ