রেওয়াড়ি (হরিয়ানা), 1 মার্চ: বাবার পৈশাচিক লালসার শিকার হতে হল কিশোরী মেয়েকে ! অভিযোগ, তিনবছর ধরে নিয়মিত নিজের সন্তানের উপরেই যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন ওই ব্যক্তি (Sexual Assault charges against Father) ! আর এই অত্যাচারে অভিযুক্তকে মদত দিয়েছেন তাঁরই স্ত্রী, অর্থাৎ কিশোরীর মা ! ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার (Haryana) রেওয়াড়িতে (Rewari) ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই কিশোরীর বয়স 18 বছর ৷ কিন্তু, যখন থেকে এই অত্যাচারের পর্ব শুরু হয়, তখন মেয়েটির বয়স ছিল মাত্র 15 বছর ! কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তার বাবা ও মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
স্থানীয় থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযোগকারিণী দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ৷ তার পরীক্ষা চলছিল ৷ শেষ পরীক্ষা ছিল মঙ্গলবার ৷ কিন্তু, ওই দিন তিনি আর পরীক্ষা দিতে যাননি ৷ বদলে সটান পৌঁছে যান থানায় ৷ সেখানে গিয়ে পুলিশের কাছে বাবার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন ৷ কাঠগড়ায় তোলেন মাকেও ৷ পুলিশকে ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, তাঁর বাবা তাঁকে ভয় দেখাতেন ৷ বলতেন, যৌন নির্যাতনের কথা পাঁচকান করলেই কিশোরীর হাত, পা কেটে খুন করা হবে ! কিন্তু, বছরের পর বছর ধরে এই অত্যাচার আর সহ্য হচ্ছিল না ওই ছাত্রীর ৷ ইতিমধ্যে তিনি প্রাপ্তবয়স্কও হন ৷ তাই অবশেষে অনেক সাহস জুগিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: অপহরণ করে যৌন নির্যাতন ! আশংকাজনক 2 বছরের শিশুকন্যা
পুলিশ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব এবং সংবেদনশীলতার সঙ্গে তদন্ত করে দেখছে ৷ ইতিমধ্য়েই অভিযোগকারিণীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে ৷ তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়েছে ৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর মায়ের ভূমিকাও ৷ ওই মহিলা সত্যিই এই ঘটনায় মদত দিতেন, নাকি ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটে থাকতেন, তা বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা ৷
তবে, ইতিমধ্যেই কিশোরীর বাবার পাশাপাশি তাঁর মায়ের বিরুদ্ধেও একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ যার মধ্যে জামিন অযোগ্য ধারাও যুক্ত করা হয়েছে ৷ এগুলি হল, ভারতীয় দণ্ডবিধির 120বি, 344, 376(2) এবং 506 নম্বর ধারা ৷ এছাড়াও, পকসো আইনের একাধিক ধারা এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে ৷