ETV Bharat / bharat

PM Modi on Green Energy: ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে গ্রিন এনার্জির সম্ভাবনা সোনার খনির চেয়ে কম নয়, দাবি প্রধানমন্ত্রীর

গ্রিন এনার্জির সম্ভাবনার সঙ্গে সোনার খনির তুলনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi on Green Energy) ৷ ব্যবসায়িক দিক থেকে দু’টির সম্ভাবনা সমান উজ্জ্বল বলে তাঁর দাবি ৷ বৃহস্পতিবার বাজেট পরবর্তী এক ওয়েবিনারে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ৷

author img

By

Published : Feb 23, 2023, 1:27 PM IST

PM Modi on Green Energy
PM Modi on Green Energy

নয়াদিল্লি, 23 ফেব্রুয়ারি: সোলার, উইন্ড ও বায়োগ্যাসের সঙ্গে সোনার খনি ও তেল উত্তোলনের তুলনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) ৷ বৃহস্পতিবার তিনি অংশ নেন গ্রিন এনার্জির (Green Energy) অগ্রগতি সংক্রান্ত একটি ওয়েবিনারে ৷ সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেন ৷ তাঁর কথায়, বেসরকারি ক্ষেত্রে ব্যবসার সম্ভাবনার দিক থেকে সোনার খনি ও তেল উত্তোলনের থেকে কোনও অংশে কম নয় সোলার, উইন্ড ও বায়োগ্যাস তৈরি করা ৷

চলতি মাসের প্রথমদিন লোকসভায় 2023-24 আর্থিক বছরের জন্য বাজেট (Union Budget 2023) পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (FM Nirmala Sitharaman) ৷ সেখানে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সাতটি অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করেন ৷ তার মধ্যে একটি হল গ্রিন এনার্জির অগ্রগতি ৷ সেই নিয়েই এদিনের ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয় (Post Budget Webinar on Green Growth) ৷ উল্লেখ্য, বাজেটে যে প্রস্তাবগুলি রাখা হয়েছে, তা নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের মতামত চায় মোদি সরকার ৷ সেই কারণে বাজেট পরবর্তী 12টি ওয়েবিনারের আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয় ৷ এদিনের ওয়েবিনারটি ওই 12টির মধ্যেই পড়ছে ৷ আর এই সিরিজের এটাই প্রথম ওয়েবিনার বলে জানা গিয়েছে ৷

সেখানে ভাষণ দেওয়ার সময় গ্রিন এনার্জির ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, "ভারতের যানবাহন স্ক্র্যাপিং নীতি ভারতের গ্রিন গ্রোথ (Green Growth) স্ট্রাটেজির একটি মূল অংশ । আমরা তিন লক্ষেরও বেশি যানবাহন স্ক্র্যাপ করতে যাচ্ছি । এই বাজেট ভারতের ভবিষ্যতের নিরাপত্তার জন্য একটি সুযোগ দিয়েছে । বাজেটের নীতিগুলি বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সম্মিলিতভাবে ও দ্রুত কাজ করতে হবে ৷"

এবারের বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্র ও মন্ত্রকের অধীনে অনেকগুলি প্রকল্প এবং উদ্যোগের পরিকল্পনা করা হয়েছে । তার মধ্যে রয়েছে গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন, এনার্জি ট্রানজিশন, এনার্জি স্টোরেজ প্রজেক্ট, রিনিউয়েবল এনার্জি ইভাকুয়েশন, গ্রিন ক্রেডিট প্রোগ্রাম, পিএম-প্রণাম, গোবরধন স্কিম, ভারতীয় প্রকৃতিক খেতি রিসোর্স-ইনসোর্স সেন্টার, মিস্টি, অমৃত ধরোহর, কোস্টাল শিপিং ও যানবাহন বদলানো ।

সেকথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, 2023-24 অর্থবর্ষের বাজেট ভারতকে বিশ্বব্যাপী গ্রিন এনার্জির বাজারে প্রধান শক্তি হতে সাহায্য করবে । এবারের বাজেটে গ্রিন গ্রোথের বিষয়ে যে নিয়ম করা হয়েছে, তা আগামী প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে ।

ইতিমধ্যে, ভারত পর্যায়ক্রমে ই-20 জ্বালানি তৈরি করতে শুরু করেছে । 20 শতাংশ ইথানল ও 80 শতাংশ জীবাশ্ম-ভিত্তিক জ্বালানির মিশ্রণে এই ই-20 জ্বালানি তৈরি হচ্ছে । 2013-14 সালে ভারতে পেট্রলে 1.53 শতাংশ ইথানলের মিশ্রণ দেওয়া হত ৷ 2022 সালে তা বৃদ্ধি করে 10.17 শতাংশ করা হয়েছে ৷ প্রথমে ঠিক করা হয় 2030 সালের মধ্যে এই মিশ্রণ 20 শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ কিন্তু এখন সেই লক্ষ্যপূরণের সময়সীমা 2025-26 অর্থবর্ষে এগিয়ে আনা হয়েছে ৷

গ্রিন এনার্জির ব্যবহার শিল্প, পরিবহণ ও শক্তি ক্ষেত্রকে ডিকার্বনাইজেশনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ৷ এর ফলে জীবাশ্ম ভিত্তিক জ্বালানি আমদানির উপরও নির্ভরতা কমবে ৷ ভারত তার শক্তির চাহিদার একটি বড় অংশ আমদানির মাধ্যমে পূরণ করে ৷ দেশীয় উৎসের বৈচিত্র্যর উপর ভরসা বৃদ্ধি হলে তবেই আমদানির উপর নির্ভরতা কমানো যাবে ৷

2021 সালে গ্লাসগোতে সিওপি-26 শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘পঞ্চামৃত’-এর অঙ্গীকার করেছিলেন ৷ যার মধ্যে ছিল জীবাশ্ম থেকে উৎপন্ন হয় না এমন বিদ্যুতের ব্যবহার 500 সিভিভি-তে নামিয়ে আনা ৷ শক্তির প্রয়োজনীয়তার অর্ধেক পুনব্যর্বহারযোগ্য শক্তির দ্বারা উৎপন্ন করা ৷ 2030 সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন 1 বিলিয়ন টনে নামিয়ে নেওয়া হবে ৷ 2070 সালের মধ্যে তা শূন্য করে দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ৷ অন্যদিকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক 2022 সালেই নিষিদ্ধ হয়েছে ভারতে ৷

আরও পড়ুন: জৈব জ্বালানির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব গ্রিন এনার্জির দিকে ভারতের পদক্ষেপ

নয়াদিল্লি, 23 ফেব্রুয়ারি: সোলার, উইন্ড ও বায়োগ্যাসের সঙ্গে সোনার খনি ও তেল উত্তোলনের তুলনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) ৷ বৃহস্পতিবার তিনি অংশ নেন গ্রিন এনার্জির (Green Energy) অগ্রগতি সংক্রান্ত একটি ওয়েবিনারে ৷ সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেন ৷ তাঁর কথায়, বেসরকারি ক্ষেত্রে ব্যবসার সম্ভাবনার দিক থেকে সোনার খনি ও তেল উত্তোলনের থেকে কোনও অংশে কম নয় সোলার, উইন্ড ও বায়োগ্যাস তৈরি করা ৷

চলতি মাসের প্রথমদিন লোকসভায় 2023-24 আর্থিক বছরের জন্য বাজেট (Union Budget 2023) পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (FM Nirmala Sitharaman) ৷ সেখানে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সাতটি অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করেন ৷ তার মধ্যে একটি হল গ্রিন এনার্জির অগ্রগতি ৷ সেই নিয়েই এদিনের ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয় (Post Budget Webinar on Green Growth) ৷ উল্লেখ্য, বাজেটে যে প্রস্তাবগুলি রাখা হয়েছে, তা নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের মতামত চায় মোদি সরকার ৷ সেই কারণে বাজেট পরবর্তী 12টি ওয়েবিনারের আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয় ৷ এদিনের ওয়েবিনারটি ওই 12টির মধ্যেই পড়ছে ৷ আর এই সিরিজের এটাই প্রথম ওয়েবিনার বলে জানা গিয়েছে ৷

সেখানে ভাষণ দেওয়ার সময় গ্রিন এনার্জির ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, "ভারতের যানবাহন স্ক্র্যাপিং নীতি ভারতের গ্রিন গ্রোথ (Green Growth) স্ট্রাটেজির একটি মূল অংশ । আমরা তিন লক্ষেরও বেশি যানবাহন স্ক্র্যাপ করতে যাচ্ছি । এই বাজেট ভারতের ভবিষ্যতের নিরাপত্তার জন্য একটি সুযোগ দিয়েছে । বাজেটের নীতিগুলি বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সম্মিলিতভাবে ও দ্রুত কাজ করতে হবে ৷"

এবারের বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্র ও মন্ত্রকের অধীনে অনেকগুলি প্রকল্প এবং উদ্যোগের পরিকল্পনা করা হয়েছে । তার মধ্যে রয়েছে গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন, এনার্জি ট্রানজিশন, এনার্জি স্টোরেজ প্রজেক্ট, রিনিউয়েবল এনার্জি ইভাকুয়েশন, গ্রিন ক্রেডিট প্রোগ্রাম, পিএম-প্রণাম, গোবরধন স্কিম, ভারতীয় প্রকৃতিক খেতি রিসোর্স-ইনসোর্স সেন্টার, মিস্টি, অমৃত ধরোহর, কোস্টাল শিপিং ও যানবাহন বদলানো ।

সেকথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, 2023-24 অর্থবর্ষের বাজেট ভারতকে বিশ্বব্যাপী গ্রিন এনার্জির বাজারে প্রধান শক্তি হতে সাহায্য করবে । এবারের বাজেটে গ্রিন গ্রোথের বিষয়ে যে নিয়ম করা হয়েছে, তা আগামী প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে ।

ইতিমধ্যে, ভারত পর্যায়ক্রমে ই-20 জ্বালানি তৈরি করতে শুরু করেছে । 20 শতাংশ ইথানল ও 80 শতাংশ জীবাশ্ম-ভিত্তিক জ্বালানির মিশ্রণে এই ই-20 জ্বালানি তৈরি হচ্ছে । 2013-14 সালে ভারতে পেট্রলে 1.53 শতাংশ ইথানলের মিশ্রণ দেওয়া হত ৷ 2022 সালে তা বৃদ্ধি করে 10.17 শতাংশ করা হয়েছে ৷ প্রথমে ঠিক করা হয় 2030 সালের মধ্যে এই মিশ্রণ 20 শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ কিন্তু এখন সেই লক্ষ্যপূরণের সময়সীমা 2025-26 অর্থবর্ষে এগিয়ে আনা হয়েছে ৷

গ্রিন এনার্জির ব্যবহার শিল্প, পরিবহণ ও শক্তি ক্ষেত্রকে ডিকার্বনাইজেশনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ৷ এর ফলে জীবাশ্ম ভিত্তিক জ্বালানি আমদানির উপরও নির্ভরতা কমবে ৷ ভারত তার শক্তির চাহিদার একটি বড় অংশ আমদানির মাধ্যমে পূরণ করে ৷ দেশীয় উৎসের বৈচিত্র্যর উপর ভরসা বৃদ্ধি হলে তবেই আমদানির উপর নির্ভরতা কমানো যাবে ৷

2021 সালে গ্লাসগোতে সিওপি-26 শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘পঞ্চামৃত’-এর অঙ্গীকার করেছিলেন ৷ যার মধ্যে ছিল জীবাশ্ম থেকে উৎপন্ন হয় না এমন বিদ্যুতের ব্যবহার 500 সিভিভি-তে নামিয়ে আনা ৷ শক্তির প্রয়োজনীয়তার অর্ধেক পুনব্যর্বহারযোগ্য শক্তির দ্বারা উৎপন্ন করা ৷ 2030 সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন 1 বিলিয়ন টনে নামিয়ে নেওয়া হবে ৷ 2070 সালের মধ্যে তা শূন্য করে দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ৷ অন্যদিকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক 2022 সালেই নিষিদ্ধ হয়েছে ভারতে ৷

আরও পড়ুন: জৈব জ্বালানির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব গ্রিন এনার্জির দিকে ভারতের পদক্ষেপ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.