নয়াদিল্লি, 10 অগস্ট: লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ নাম না করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রসঙ্গও টেনে আনলেন তাঁর ভাষণে ৷ প্রশ্ন তুললেন, কলকাতা থেকে কোনও ফোন আসার কারণেই অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় অধীর চৌধুরীকে কোণঠাসা করা হল ৷
গত মঙ্গলবার থেকে লোকসভায় শুরু হয়েছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ৷ আজ, বৃহস্পতিবার আলোচনার শেষদিনে কিছুক্ষণের জন্য ভাষণ দেন অধীর চৌধুরী ৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দাবি, অধীরের নাম আলোচনায় ছিল না ৷ আর সেই নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন তিনি ৷ পাশাপাশি কংগ্রেসের উপর মমতার প্রভাবের কটাক্ষ করেছেন ৷
এ দিন লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের উপর জবাবি ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেই ভাষণে তিনি অতীতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন ৷ তাঁর কথায়, 1999, 2003 ও 2018 সালে আগের অনাস্থা প্রস্তাবগুলিতে তৎকালীন বিরোধী নেতারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি শরদ পাওয়ার (1999), সোনিয়া গান্ধি (2003) ও মল্লিকার্জুন খাড়গের (2018) নাম উল্লেখ করেছেন । কারণ, উল্লেখিত বছরগুলিতে এই নেতারাই বিরোধী দলনেতা ছিলেন লোকসভায় ৷
আরও পড়ুন: অনাস্থা প্রস্তাবে ফিল্ডিং সাজিয়েও বিরোধীদের নো বলে বিজেপির সেঞ্চুরি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর
এর পরই তিনি অধীররঞ্জন চৌধুরীর প্রসঙ্গ তোলেন৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কিন্তু, এবার কী হল? অধীরবাবু সেই সুযোগ পাননি । অমিত শাহ (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) তাঁর পক্ষে বলার পরেই তাঁকে স্পিকার সময় দিয়েছেন বলার জন্য ।"
এর পরই তিনি নাম না করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথা তোলেন ৷ মোদি বলেন, "আমি জানি না আপনাদের বাধ্যবাধকতা কী ? অধীরবাবুকে কেন দূরে সরিয়ে দেওয়া হল ? এটা কি কলকাতা থেকে ফোন কলের কারণে হয়েছে ?"
উল্লেখ্য, অধীর চৌধুরী বাংলার কংগ্রেসের নেতা ৷ এই রাজ্যে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কড়া সমালোচক বলেই পরিচিত ৷ প্রধানমন্ত্রী এ দিন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে সেই কারণেই তৃণমূলের তরফে তাঁকে কোণঠাসা করতে কংগ্রেসকে বলা হয়েছে ৷ পাশাপাশি তিনি 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় অস্থায়ীভাবে অধীরকে লোকসভার দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গও তুলেছেন ৷ তবে শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও অধীর চৌধুরীকে অনাস্থা প্রস্তাবে বক্তার তালিকায় না রাখা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন ৷
আরও পড়ুন: মহব্বতের দোকান নয়, এ হলো লুঠের দোকান, আর মিথ্যার বাজার: মোদি