নয়াদিল্লি, 29 জুন: আসন্ন 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার রাতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ ছাড়াও দলের শীর্ষ নেতারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ।
হয়নি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা: সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে দলের মধ্যে বড় ধরনের কোনও রদবদল নিয়েও আলোচনা হয়ে থাকতে পারে । তবে, বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু কী ছিল, কী কী সিদ্ধান্ত হল, এ বিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনও প্রকাশ করা হয়নি । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমেরিকা থেকে ফেরার পরপরই হল এই বৈঠক ।
উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকের আগে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং বিএল সন্তোষ সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে গুরুতর একটি আলোচনা পর্ব সেরেছিলেন ৷ তাঁদের সেই ম্যারাথন আলোচনাই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পরবর্তী বৈঠকের মঞ্চ তৈরি করে ।
এজেন্ডায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি: প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর সাম্প্রতিক ভাষণে ইতিমধ্যেই দেশব্যাপী একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছেন, যার ফলে এটি স্পষ্ট যে তাঁর দল এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটাতে আগ্রহী । এই এজেন্ডাটি দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির ইশতেহারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মুখে এর উল্লেখেই স্পষ্ট যে, 2024 সালের নির্বাচন এগিয়ে আসার আগেই এটির বাস্তবায়নের সংকল্প নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির দল ৷
আরও পড়ুন: একই দেশে কি দু’টি আইন থাকতে পারে, ইউনিফর্ম সিভিল কোডের পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর
আলোচনায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন: কর্ণাটকে বিজেপির সাম্প্রতিক পরাজয়ের পর ফলাফলের ময়নাতদন্ত শুরু করেছে গেরুয়া শিবির ৷ সে জন্য এই বছরের শেষের দিকে নির্ধারিত আসন্ন রাজ্য নির্বাচনের প্রচার পদ্ধতির পুনর্মূল্যায়নও করা হচ্ছে ৷ নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়া চারটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য - মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলাঙ্গানা এবং ছত্তীসগড়ের মধ্যে শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশই বর্তমানে বিজেপি শাসিত । দলের লক্ষ্য, রাজস্থান এবং তেলাঙ্গানায় সম্ভাব্য শাসক-বিরোধী কারণগুলিকে পুঁজি করে প্রচার চালানো ৷
2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য, বিজেপি গত মাসে সারা মাসব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি চালিয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং শীর্ষ সাংগঠনিক সদস্যরা সক্রিয়ভাবে এই উদ্যোগে অংশ নেন, যা ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন জোগাড় করতে এবং সারা দেশে তাদের উপস্থিতি সুসংহত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে ।