নয়াদিল্লি, 29 অক্টোবর: পশ্চিম এশিয়ার সুরক্ষাব্যবস্থার ক্রমাবনতি ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতাহ এল-সিসির সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ টেলিফোনে এই বিষয়ে নিজেদের মতামত বিনিময় করেন দুই রাষ্ট্রনেতা ৷ এ প্রসঙ্গে মোদি বলেন যে "আমরা সন্ত্রাসবাদ, হিংসা ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানির বিষয়ে পরস্পরের উদ্বেগ শেয়ার করেছি ৷"
রবিবার এক্স পোস্টে (পূর্বে টুইটার) প্রধানমন্ত্রী লেখেন, "গতকাল প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতাহ এল-সিসির সঙ্গে কথা বলি । পশ্চিম এশিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতি এবং মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করি ৷ আমরা সন্ত্রাসবাদ, হিংসা এবং সাধারণ মানুষের জীবনহানির বিষয়ে উদ্বেগ শেয়ার করি । আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা দ্রুত পুনঃস্থাপন এবং মানবিক সহায়তা সহজতর করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত ।"
-
Yesterday, spoke with President @AlsisiOfficial. Exchanged views on the deteriorating security and humanitarian situation in West Asia. We share concerns regarding terrorism, violence and loss of civilian lives. We agree on the need for early restoration of peace and stability…
— Narendra Modi (@narendramodi) October 29, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">Yesterday, spoke with President @AlsisiOfficial. Exchanged views on the deteriorating security and humanitarian situation in West Asia. We share concerns regarding terrorism, violence and loss of civilian lives. We agree on the need for early restoration of peace and stability…
— Narendra Modi (@narendramodi) October 29, 2023Yesterday, spoke with President @AlsisiOfficial. Exchanged views on the deteriorating security and humanitarian situation in West Asia. We share concerns regarding terrorism, violence and loss of civilian lives. We agree on the need for early restoration of peace and stability…
— Narendra Modi (@narendramodi) October 29, 2023
মিশরের পক্ষে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, সে দেশের প্রেসিডেন্ট এল-সিসি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছ থেকে একটি ফোন কল পান এবং দুই নেতা গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি সামরিক অভিযানের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে মতামত বিনিময় করেন । বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁরা বেসামরিক নাগরিকদের জীবনে এর ভয়াবহ প্রভাব এবং যুদ্ধের কারণে গোটা রিজিয়নের নিরাপত্তার গভীর হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ৷
মিশরীয় প্রেসিডেন্সির মুখপাত্র কাউন্সেলর আহমেদ ফাহমি বলেন, প্রেসিডেন্ট এল-সিসি নিশ্চিত করেছেন যে, মিশর যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছনোর জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার সমন্বয়ের জন্য তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধ বিরতি চেয়ে নিউইর্য়ক-লন্ডনে পথে নামলেন প্যালেস্তাইনের সমর্থকরা
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট গাজা উপত্যকায় স্থল হামলার ভয়াবহ মানবিক ও নিরাপত্তাজনিত প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছেন । তিনি কূটনৈতিক স্তরে একটি তাৎক্ষণিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য সমবেত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের সমালোচনামূলক প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন ৷ অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতিকে শক্তিশালী করে সাধারণ নাগরিকদের জীবন রক্ষা এবং গাজা উপত্যকায় তাৎক্ষণিক, দীর্ঘমেয়াদি এবং নিরবচ্ছিন্ন ভাবে মানবিক সহায়তা প্রদানের কথাও বলেন তিনি ৷ এ বিষয়ে গত 27 অক্টোবরই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে রাষ্ট্রসংঘে ৷
প্রেসিডেন্ট এল-সিসি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের অসামান্য স্তরে রয়েছে বলে জানিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন । তাঁরা মিশর ও ভারতের মধ্যে যৌথ সহযোগিতা আরও জোরদার করার জন্য দুই দেশের প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব অব্যাহত রাখতে তাদের দৃঢ়তার উপর জোর দিয়েছে, মিশরীয় পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে ।