নয়াদিল্লি, 16 অগস্ট: মণিপুর প্রসঙ্গে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাল কেল্লা থেকে মঙ্গলবার মিথ্যে কথা বলেছেন, এমনই দাবি সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাতের ৷ বুধবার ইটিভি ভারতকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপি শাসিত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগও দাবি করেছেন প্রাক্তন এই সিপিএম সাংসদ ৷
এদিন বৃন্দা কারাত বলেন, "স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছেন হিংসা কমে স্বাভাবিক হচ্ছে মণিপুর ৷ এটা সম্পূর্ণ ভুল ৷ উনি দেশকে মিথ্যে কথা বলেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী মণিপুরে বিজেপি সরকারের ব্যর্থতার দায় নিতে চাইছেন না ৷" ইটিভি ভারতকে তিনি আরও জানিয়েছেন, মণিপুর হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তরা প্রত্যেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলে বিজেপি যে তথ্য ছড়াচ্ছে তা ওই রাজ্যের হিংসায় মদত দিচ্ছে ৷ বীরেন সিংয়ের সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি এবং তাঁর সরকার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না-করায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে মণিপুরবাসীর মধ্যে ৷
অল ইন্ডিয়া ডেমক্রেটিক ওমেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (AIDWA) হিসেবে 9-11 অগস্ট মণিপুরে গিয়েছিলেন বৃন্দা কারাত ৷ সেখান থেকে ফিরে তাঁর অভিযোগ, বিদ্বেষ ও বিভাজনের সংকীর্ণ রাজনীতি করছে বিজেপি ৷ বৃন্দার দাবি, মণিপুরের 350টি আশ্রয় শিবিরে রাজ্যটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে 55 হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, "তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে আশ্রয় শিবিরগুলিতে তাঁরা রয়েছেন ৷ কিন্তু এখনও সমস্যার কোনও সমাধান নেই ৷ ভয়ানক অবস্থার মধ্যে তাঁদের এই আশ্রয় শিবিরগুলিতে থাকতে হচ্ছে ৷ পাহাড়ি এলাকার বাচ্চারা এখনও স্কুলে যেতে পারছে না ৷ বসবাসের যোগ্য কোনও সুবিধাই নেই শিবিরগুলিতে ৷ অস্বস্তি হলেও পুরুষদের সঙ্গেই এই আশ্রয় শিবিরগুলিতে থাকতে হচ্ছে মহিলাদের ৷ খাদ্য ও পুষ্টির অভাভ রয়েছে ৷ তিন মাস ধরে তাঁরা কেবল ডাল, ভাত খেয়ে আছেন ৷"
আরও পড়ুন: অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর
অল ইন্ডিয়া ডেমক্রেটিক ওমেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা মণিপুর হিংসায় ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গেও কথা বলেন ৷ তাঁরা চূড়াচাঁদপুরে (লমকা) এও যান ৷ এখানে 250টি আশ্রয় শিবিরে প্রায় 15 হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন ৷ সেখানে তাঁরা বিবস্ত্র করে ঘোরানো দুই মহিলার সঙ্গে কথা বলে তাঁদের যন্ত্রণার কথাও শুনেছেন ৷ ওই দুই নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করেছেন সংগঠনটির সদস্যরা ৷ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপতী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে এই সংগঠনের সদস্যরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ও রিপোর্টটি তাঁর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন বলেও বৃন্দা কারাত জানিয়েছেন ৷