নয়াদিল্লি, 24 মার্চ : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ফাঁস করল সিবিআই ৷ বুধবার এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করল তারা ৷ অভিযুক্ত কপিল ওয়াধাওয়ান এবং ধীরজ ওয়াধাওয়ান সম্পর্কে দুই ভাই ৷ দেওয়ান হাউজিং ফিন্যান্স লিমিটেড (ডিএইচএফএল)-এর প্রোমোটার তারা ৷ জালিয়াতি ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দু’জনেই আপাতত হাজসবাস করছে ৷
সিবিআই সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় ঋণ পেতে অসংখ্য ভুয়ো অ্য়াকাউন্ট তৈরি করেছিল এই দুই কীর্তিমান ৷ যার আর্থিক মূল্য 14 হাজার কোটি টাকারও বেশি ৷ এবং প্রায় 1 হাজার 880 কোটি টাকার সরকারি ভর্তুকি সুদ হিসাবে আত্মসাৎ করেছিল তারা ৷
প্রসঙ্গত, 2015 সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘোষণা করে প্রথম মোদি সরকার ৷ আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্য পাকা ছাদের ব্যবস্থা করতেই এই যোজনার আওতায় বাড়ি তৈরির ঋণ দেওয়া হয় ৷ ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সুদের উপর সরকারের তরফে ভর্তুকিও মেলে ৷ ডিএইচএফএল-এর মতো আর্থিক সংস্থাগুলি এই ধরনের ঋণ মঞ্জুর করাতে সাহায্য করে ৷
সিবিআই সূত্রে খবর, 2018 সালের ডিসেম্বরে ডিএইচএফএল বিনিয়োগকারীদের কাছে দাবি করেছিল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় 88 হাজার 651টি ঋণ মঞ্জুর করিয়েছে তারা ৷ যার মাধ্যমে 539.9 কোটি টাকার ভর্তুকি মিলেছে এবং আরও 1 হাজার 347.8 কোটি টাকার ভর্তুকি পাওনা আছে ৷
আরও পড়ুন : মেট্রো ডেয়ারি মামলায় এবার আরও দুই আমলাকে সমন ইডির
যদিও পরে ফরেন্সিক অডিট রিপোর্টে জানা যায়, কপিল আর তার ভাই ধীরজ প্রায় 2 লাখ 60 হাজার ভুয়ো ঋণ অ্য়াকাউন্ট খুলেছে ৷ এমনকী, সুদের উপর ভর্তুকি আদায় করতে তারা তাদের সংস্থার যে বান্দ্রা শাখার কথা উল্লেখ করেছে, বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্বই নেই !
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত বছরের জুন মাসে কপিল ও ধীরজ ছাড়াও ইয়েস ব্যাঙ্কের কর্ণধার রানা কাপুরের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই ৷ এর আগে অভিযুক্ত দুই ভাইকে গত বছরেরই এপ্রিল মাসে এবং রানাকে তারও আগে মার্চ মাসে গ্রেফতার করা হয় ৷