নয়াদিল্লি, 25 মার্চ: রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর সংবিধানের 8(3) ধারার বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করলেন এক ব্যক্তি (Plea in SC Challenging Automatic Disqualification) ৷ জনপ্রতিনিধি আইন 1951-র 8(3) ধারা অনুযায়ী, জনপ্রতিনিধিরা যে কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে এবং কমপক্ষে 2 বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী সাংসদ বা বিধায়ক পদ আপনা থেকেই খারিজ হয়ে যাবে ৷ 8(3) ধারার এই বিধানের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷
মামলাকারী তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেছেন, এটা চাপিয়ে দেওয়া বহিষ্কার ৷ অপরাধের প্রকৃতি, গভীরতা এবং তা কতটা গুরুতর তার বিচার করা হচ্ছে না ৷ এটা স্বাভাবিক ন্যায় বিচারের পরিপন্থী বলে আদালতে দাবি করেছেন জনৈক মামলাকারী ৷ মামলাকারী এদিন প্রথমে যুক্তি দেন 1951 সালের জনপ্রতিনিধি আইনের ধারা 8(3) ভারতীয় সংবিধানবিরুদ্ধ ৷ কারণ, এই ধারা 1951 সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা 8(1), ধারা 8A, 9, 9A, 10, 10A এবং 11-র বিরোধী ৷
মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে সওয়ালে জানান, ধারা 8(3) জনপ্রতিনিধিদের নিজস্ব নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের জন্য কাজ করতে বাধা দিচ্ছে ৷ তাঁদের উপর সাধারণের অর্পিত দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে ৷ যা গণতন্ত্রের নীতির পরিপন্থী ৷ যা সাজাপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধির উপরে চাপিয়ে দেওয়া বহিষ্কার ৷ এটা 1951 সালের জনপ্রতিনিধি আইনের স্ববিরোধী এবং বহিষ্কারের সঠিক পদ্ধতিরও পরিপন্থী ৷ সেখানে এও বলা হয়েছে, ‘‘1951 সালে এই আইন প্রণয়নের সময় আইনসভার উদ্দেশ্য ছিল, গুরুতর বা জঘন্য অপরাধ করেছেন এমন দোষী সাব্যস্ত নির্বাচিত সদস্যদের অযোগ্য ঘোষণা করা ৷’’
আপও পড়ুন: সাংসদ পদ খারিজ করে বা জেলে পাঠিয়ে আমাকে চুপ করানো যাবে না, মোদি-আদানিকে নিশানা রাহুলের
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ফৌজদারি আইনের 1973 এর সিআরপিসি আইন, অপরাধের শ্রেণিকে আলাদা করে ৷ যেখানে কোন অপরাধকে লঘু এবং গুরুতর বলা হবে, তা ঠিক করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, কোন অপরাধ জামিন যোগ্য এবং কোনটি জামিন অযোগ্য, তাও নির্ধারণ করা হয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, 1951 সালের জনপ্রতিনিধি আইনের 8(3) ধারায় আগে সাজাপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধি 3 মাস সময় পেতেন স্থগিতাদেশের জন্য ৷ কিন্তু, পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্ট সেই 3 মাসের সময়কালকে খারিজ করে দেয় ৷ তারপর থেকে দোষী সাব্যস্ত এবং কমপক্ষে 2 বছরের সাজাপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধিদের পদ আপনা থেকে খারিজ হয়ে যায় ৷