কন্নুর, 24 এপ্রিল: প্রয়াত হলেন ভারতীয় সার্কাসের প্রাণপুরুষ জেমিনি শঙ্করণ ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 99 ৷ রবিবার কান্নুরে নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মুরকোথ ভেঙ্গাকান্দি শঙ্করণ যিনি জেমিনি শঙ্করণ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন ৷ ভারতীয় সার্কাস শিল্পের অন্যতম প্রবীণ এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংশ্লিষ্ট মহলে। জেমিনি সার্কাস এবং জাম্বো সার্কাস নামে প্রখ্যাত দুই সার্কাস সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শঙ্করণ।
অনেক অল্প বয়সেই সার্কাসে হাতেখড়ি মিথুন শঙ্করণের। এরপর একজন সার্কাস শিল্পী হিসাবেই নিজের কর্মজীবনকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি ৷ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পারফর্মও করেন। জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী, মোরারজি দেশাই, রাজীব গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং, মাউন্টব্যাটেন এবং নভোচারী ভ্যালেন্টিনা তেরেশকোভার মতো একাধিক বিশ্বখ্যাত লোকেদের সঙ্গে সখ্যতাও হয় জেমিনির ৷ জেমিনি শঙ্করণ ভারতীয় সার্কাস ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন।
1924 সালে কোলাসেরিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি ৷ জেমিনি শঙ্করণ ছিলেন তাঁর বাবা এবং মা'য়ের পঞ্চম সন্তান। সার্কাস শিল্পের প্রতি তাঁর আবেগের কারণে 1938 সালে তিনি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক কেলেরি কুনহিকান্নানের কাছ থেকে কালারিও শিখেছিলেন। পরে কিছুদিনের জন্য তিনিও সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এবং সাড়ে চার বছর চাকরি করার পর সেই তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। সার্কাসের প্রতি অমোঘ টান থেকেই তিনি সেনা বাহিনীর চাকরি করেননি বলেও পরে জানিয়েছিলেন জেমিনি শঙ্করণ ৷
আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকার নিয়ে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট
1946 সালে তিনি কলকাতার বিখ্যাত বোসেলিয়ান সার্কাসে যোগ দিয়েছিলেন। পরে, তিনি ভারতের বিখ্যাত ন্যাশনাল সার্কাস এবং গ্রেট বোম্বে সার্কাসের সঙ্গেও কাজ করেন। চিনে আন্তর্জাতিক সার্কাস উৎসবেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সার্কাস ক্ষেত্রে তাঁর অকুণ্ঠ সেবা এবং অবদানের জন্য জেমিনি কুয়েত গোল্ডেন ফোক অ্যাওয়ার্ড এবং টি কে এম ট্রাস্ট থেকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন জেমিনি শঙ্করণ।