নয়াদিল্লি, 2 জানুয়ারি : দেশে মেয়েদের বিয়ের বয়সের নিম্নসীমা 18 বছর থেকে বাড়িয়ে 21 বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ ঐতিহাসিক সেই বিল খতিয়ে দেখার জন্য 31 সদস্যের যে সংসদীয় প্যানেল (Parliamentary Panel to examine legal age of Marriage for Women) গঠন করা হয়েছে, তাতে মহিলা সদস্যের সংখ্যা মাত্র এক ! উল্লেখ্য, সংসদের এবারের শীতকালীন অধিবেশনেই বাল্যবিবাহ (সংশোধনী) বিল পেশ করা হয় ৷ সামাজিক ক্ষেত্রে, বিশেষ করে মেয়েদের উপর এই বিলের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ লোকসভায় পেশ করার পরই বিলটি খতিয়ে দেখার জন্য শিক্ষা, মহিলা, শিশু, যুব ও ক্রীড়া সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷
এতদিন আইনত বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পুরুষের ন্যূনতম বয়স 21 এবং নারীর ন্যূনতম বয়স 18 বছর স্থির ছিল ৷ কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরেই এই অসাম্য ঘোচানোর পক্ষে সওয়াল করে আসছিলেন বিশেষজ্ঞ, সমাজসেবী এবং নারী ও শিশু অধিকার রক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ৷ তার জেরেই মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স 18 থেকে 21 বছর করার সিদ্ধান্ত নেয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক ৷ সেই অনুসারে বিল পেশ করা হয় সংসদে ৷
বিলটি খতিয়ে দেখার জন্য পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট সংসদীয় প্যানেলে ৷ এই প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রবীণ বিজেপি সাংসদ বিনয় সহস্রবুদ্ধে ৷ রাজ্যসভার ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত তথ্যাবলী তুলে ধরা হয়েছে ৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, 31 জনের এই প্যানেলে মহিলা সদস্য রয়েছেন মাত্র একজন ৷ তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব ৷ এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে সুস্মিতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এই কমিটিতে যদি আরও মহিলা সদস্য থাকতেন, তাহলে ভাল হত ৷ কিন্তু, যাতে সকলের স্বার্থ রক্ষা হয়, আমরা সেই বিষয়ে সচেতন থাকব ৷’’
সংশ্লিষ্ট সংসদীয় প্যানেলে আরও মহিলা সদস্যকে রাখা উচিত ছিল বলে মনে করেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেও ৷ কারণ, মহিলাদের স্বার্থ রক্ষার্থেই এই বিল আনা হয়েছে ৷ তবে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান চাইলে আরও মহিলা সাংসদকে এই প্যানেলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাতে পারেন ৷ সেক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরিসর বাড়বে বলে জানান সুপ্রিয়া ৷