নয়াদিল্লি, 8 অক্টোবর: দেশ থেকে যক্ষ্মা দূর করতে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার ৷ 2025 সালের মধ্যে ভারত থেকে এই সংক্রামক রোগকে পুরোপুরি নির্মূল করতে চায় কেন্দ্র ৷ তবে রোগ নির্ণয় করতে অতিরিক্ত সময় লেগে যাচ্ছে ৷ তাই যক্ষ্মা রোগের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। বিশেষত বস্তি এলাকায় পরিস্থিতি উদ্বেগের ৷ এর জন্য দায়ী এক্স-রে মেশিনের অভাব এবং রোগ নির্ণয়ে প্রয়োজনীয় একটি পরীক্ষার টুল পর্যাপ্ত পরিমাণে না-থাকা ৷
এমনটা জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি ৷ এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ ভুবনেশ্বর কালিতা ৷ সম্প্রতি দেশে যক্ষ্মা রোগের পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে এই কমিটি ৷ সেখানে জানানো হয়েছে, যক্ষ্মা সংক্রমণের প্রথম দিকেই যাতে ধরা পড়ে তার জন্য যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ৷ 140 কোটি জনসংখ্যার এই দেশ থেকে যক্ষ্মা দূর করতে প্রথম দিকেই সংক্রমণ ধরা পড়াটা জরুরি ৷ এক্ষেত্রে আরও বেশি সংখ্যায় এক্স-রে মেশিন প্রয়োজন, যাতে দ্রুত যক্ষ্মা রোগের সংক্রমণ হয়েছে কি না তা নিশ্চিতরূপে জানা যায় ৷
দ্য ন্যাশনাল টিবি প্রিভ্যালেন্স সার্ভ 2021 সূত্রে জানা গিয়েছে, 100টি যক্ষ্মা রোগীর ক্ষেত্রে মাত্র 62টি ক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়েছে ৷ এদিকে 95টি ক্ষেত্রে এক্স-রে মেশিনে এই রোগের সংক্রমণ নিশ্চিত রূপে জানা গিয়েছে ৷ এই সমীক্ষা চালানোর সময় দেখা গিয়েছে, 50 শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে যক্ষ্মার কোনও লক্ষণ বা উপসর্গ ছিল না ৷ এদিকে বুকের এক্স-রে করে তা ধরা পড়ে এবং চিকিৎসা শুরু হয় ৷
কমিটি এই রিপোর্টে জানিয়েছে, এক্স-রে মেশিন না-থাকায় রোগ নির্ণয়ে শুধুমাত্র উপসর্গের উপর নির্ভর করতে হয়েছে ৷ এর ফলে 33 শতাংশ ক্ষেত্রে যক্ষ্মা রোগের নির্ধারণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি ৷ তাই কেন্দ্রীয় সরকারকে কমিটির পরামর্শ, জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে এক্স-রে মেশিন থাকার বিষয়টা সুনিশ্চিত করা হোক ৷ এছাড়া জেলা ও ব্লক স্তরে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দ্বারা পরিচালিত পোর্টেবল এবং হাতে ব্যবহার করা যায় এমন এক্স-রে মেশিন রাখার ব্যাপারটিও ভেবে দেখা উচিত ৷ স্বীকৃত বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও যেন এই এক্স-রে মেশিন থাকে তাও নিশ্চিত করা উচিত ৷
আরও পড়ুন: যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে দুনিয়ায় প্রথম গাণিতিক মডেল ভারতের