ETV Bharat / bharat

Paralytic girl allotted seat on 2nd floor: বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রীর পরীক্ষার আসন দেওয়া হল দ্বিতীয় তলায় - Paralytic girl allotted seat on 2nd floor

গুজরাটে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা (Higher Secondary Exam) দিতে অ্যাম্বুলেন্সে (Ambulance) করে আসলেও ঈশিতাকে সিট দেওয়া হয় দ্বিতীয় তলায়। যার জেরে বিশেষভাবে সক্ষম ঈশিতাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেও চরম সমস্যার মুখে পরতে হয় তাকে।

Etv Bharat
পরীক্ষা কেন্দ্রে ঈশিতা
author img

By

Published : Mar 17, 2023, 7:11 PM IST

আমেদাবাদ, 17 মার্চ: বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াকে পরীক্ষা কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলার ঘরে বসতে দিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ল শিক্ষা বিভাগ ৷ পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক ছাত্রী, যার কোমরের নীচে শরীর বাকি অংশ সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে গিয়েছে ৷ তাকে কেন পরীক্ষা কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় বসতে দেওয়া হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকরা ৷ যদিও গোটা ঘটনায় রাজ্য়ের শিক্ষা দফতরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি ৷

গুজরাতের ভাবনগরে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দিতে অ্যাম্বুলেন্সে করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেছিল ঈশিতা। বিশেষভাবে সক্ষম ঈশিতাকে (Paralytic student Ishita) পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ৷ কারণ, তাকে জানানো হয় পরীক্ষার দেওয়ার জন্য় দ্বিতীয় তলায় যেতে হবে ৷ একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত পড়ুয়ার পক্ষে দ্বিতীয় তলায় যাওয়া সম্ভব কী করে ? শেষ পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক সালিম এবং তাঁর সহযোগীরা স্ট্রেচারে করে ঈশিতাকে তার নির্দিষ্ট আসনে পৌঁছে দেয় । এই ঘটনায় সমালোচিত হয়েছে রাজ্য়ের শিক্ষা দফতর ৷ অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা দাবি করছে, ঈশিতার এই ঘটনার জেরে পরীক্ষার হলে (Examination Hall) প্রতিবন্ধী ও পক্ষাঘাতগ্রস্তদের (Paralytic) জন্য যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গুজরাত সরকারের শিক্ষা বিভাগ করে না, তা কার্যত ফাঁস হয়ে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের এই চরম অবহেলায় কার্যত সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

কোমরের নিচের অংশ একেবারেই কাজ করে না এই ছাত্রীর। ঈশিতার পরিবার সূত্রে খবর, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তার কোমরের নীচের অংশ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। যার জেরে গত বছর সে পরীক্ষা দিতেই পারেনি। এ বছর ভাবনগরের নন্দ কুনওয়ার'বা গার্লস হস্টেলে তার পরীক্ষার সিট পড়ে ৷

আরও পড়ুন: ব্যারিকেড ভাঙার অভিযোগে 2 বছরের শিশুর বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের, বাড়ি পাঠাল আদালত

ঈশিতাকে দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায় সেলিমভাই এবং আরও কয়েক জন ৷ ঈশিতা জানায়, তার নিউরোমাইলাইটিস অপটিকা রয়েছে। সে এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঈশিতার সুস্থ হতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে। অ্যাম্বুলেন্সের চালক সেলিমভাই জানান, ঈশিতার দুই পা কাজ করে না। ফলে সমস্ত পরীক্ষা শেষ না-হওয়া পর্যন্ত, তিনি স্বেচ্ছায় ঈশিতাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে এবং তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। অন্য়দিকে রাজ্য় সরকারের শিক্ষা দফতর পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কথা বললেও, ভাবনগরের পরীক্ষা কেন্দ্রের ছবি অন্য় কথা বলছে ৷

আমেদাবাদ, 17 মার্চ: বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াকে পরীক্ষা কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলার ঘরে বসতে দিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ল শিক্ষা বিভাগ ৷ পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক ছাত্রী, যার কোমরের নীচে শরীর বাকি অংশ সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে গিয়েছে ৷ তাকে কেন পরীক্ষা কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় বসতে দেওয়া হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকরা ৷ যদিও গোটা ঘটনায় রাজ্য়ের শিক্ষা দফতরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি ৷

গুজরাতের ভাবনগরে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দিতে অ্যাম্বুলেন্সে করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেছিল ঈশিতা। বিশেষভাবে সক্ষম ঈশিতাকে (Paralytic student Ishita) পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ৷ কারণ, তাকে জানানো হয় পরীক্ষার দেওয়ার জন্য় দ্বিতীয় তলায় যেতে হবে ৷ একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত পড়ুয়ার পক্ষে দ্বিতীয় তলায় যাওয়া সম্ভব কী করে ? শেষ পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক সালিম এবং তাঁর সহযোগীরা স্ট্রেচারে করে ঈশিতাকে তার নির্দিষ্ট আসনে পৌঁছে দেয় । এই ঘটনায় সমালোচিত হয়েছে রাজ্য়ের শিক্ষা দফতর ৷ অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা দাবি করছে, ঈশিতার এই ঘটনার জেরে পরীক্ষার হলে (Examination Hall) প্রতিবন্ধী ও পক্ষাঘাতগ্রস্তদের (Paralytic) জন্য যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গুজরাত সরকারের শিক্ষা বিভাগ করে না, তা কার্যত ফাঁস হয়ে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের এই চরম অবহেলায় কার্যত সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

কোমরের নিচের অংশ একেবারেই কাজ করে না এই ছাত্রীর। ঈশিতার পরিবার সূত্রে খবর, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তার কোমরের নীচের অংশ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। যার জেরে গত বছর সে পরীক্ষা দিতেই পারেনি। এ বছর ভাবনগরের নন্দ কুনওয়ার'বা গার্লস হস্টেলে তার পরীক্ষার সিট পড়ে ৷

আরও পড়ুন: ব্যারিকেড ভাঙার অভিযোগে 2 বছরের শিশুর বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের, বাড়ি পাঠাল আদালত

ঈশিতাকে দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায় সেলিমভাই এবং আরও কয়েক জন ৷ ঈশিতা জানায়, তার নিউরোমাইলাইটিস অপটিকা রয়েছে। সে এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঈশিতার সুস্থ হতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে। অ্যাম্বুলেন্সের চালক সেলিমভাই জানান, ঈশিতার দুই পা কাজ করে না। ফলে সমস্ত পরীক্ষা শেষ না-হওয়া পর্যন্ত, তিনি স্বেচ্ছায় ঈশিতাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে এবং তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। অন্য়দিকে রাজ্য় সরকারের শিক্ষা দফতর পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কথা বললেও, ভাবনগরের পরীক্ষা কেন্দ্রের ছবি অন্য় কথা বলছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.