ETV Bharat / bharat

Pak Man Arrested: ‘রং নম্বরের’ প্রেমিকার টানে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশে ধৃত পাকিস্তানি যুবক, সমস্যায় পরিবার

রং নম্বরের প্রেমের (Wrong Call Love) টানে সৌদি আরব থেকে ভারতে অবৈধভাবে এসেছিলেন পাকিস্তানি যুবক ৷ ন’বছর কাটিয়ে চলে যাওয়ার সময় গ্রেফতার (Pakistani Man Arrested for Trespassing in India) ৷ আপাতত তিনি জেলবন্দি ৷ এর জেরে সমস্যায় পড়েছে পরিবার ৷

Pak Man Arrested
Pak Man Arrested
author img

By

Published : Feb 6, 2023, 12:24 PM IST

গাড়িভেমুলা (অন্ধ্রপ্রদেশ), 6 ফেব্রুয়ারি: রং নম্বর থেকে পরিচয়, তার পর প্রেম ৷ সেই প্রেমের টানে সুদূর সৌদি আরব (Saudi Arabia) থেকে ভারতে (India) ছুটে এসেছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক (Pakistani Citizen) গুলজার খান ৷ তাও আবার অবৈধভাবে ৷ প্রেমিকে শেখ দৌলতবীকে বিয়েও করেন গুলজার ৷ বছয় নয়েক সংসারও করেন সুখে ৷ কিন্তু অপরাধকে কি আর চিরকাল ধামাচাপা দেওয়া যায় ! ফলে শেষপর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই হয় গুলজারকে ৷ আপাতত তিনি জেলবন্দি ৷ এর জেরে চরম বিপাকে পড়েছেন দৌলতবী ৷ সন্তানদের নিয়ে দিন গুজরানে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে তো হচ্ছেই ৷ পাশাপাশি স্বামীকে জেলের বাইরে আনতে দৌড়াতে হচ্ছে প্রশাসন থেকে আদালতের দুয়ারে ৷

শেখ দৌলতবী অন্ধ্রপ্রদেশের নন্দ্যালা জেলার গাড়িভেমুলা (Gadivemula) এলাকার বাসিন্দা ৷ সাত বছরের বিবাহিত জীবন পেরিয়ে স্বামীকে হারান তিনি ৷ একমাত্র ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসেন বাপের বাড়িতে ৷ 2010 সাল নাগাদ তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয় গুলজারের ৷ যদিও রং নম্বরে ফোন করেছিলেন গুলজার ৷ তার পর সময় যত এগিয়েছে ফোনে যোগাযোগ তত বাড়ে দু’জনের মধ্যে দৌলতবীর প্রেমে পড়েন গুলজার ৷ পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা গুলজার তখন সৌদি আরবে থাকেন ৷ রংমিস্ত্রির কাজ করেন মধ্য প্রাচ্যে ৷

Pak Man Arrested
শেখ দৌলতবী ও তাঁর ছেলে-মেয়েরা

সেখান থেকেই তিনি 2010 সালের শেষ দিকে তিনি মুম্বই হয়ে গাড়িভেমুলায় পৌঁছান ৷ কিন্তু তিনি ভারতে প্রবেশ করেছিলেন অবৈধভাবে (Pakistani Man Entered India Illegally) ৷ 2011 সালের 25 জানুয়ারি তিনি দৌলতবীকে বিয়ে করেন ৷ তাঁরা তিনটি মেয়ে ও একটি ছেলে মা-বাবা ৷ ন’বছর তাঁরা সেখানেই ছিলেন ৷ এর পর সপরিবারে সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন গুলজার ৷ আসল উদ্দেশ্য ছিল সেখান থেকে পরিবার নিয়ে পাকিস্তানে চলে যাওয়া ৷ সেই কারণে তিনি ওই এলাকা থেকে আধার কার্ডও তৈরি করান ৷

সেই কারণে ভিসাও করান পরিবারের ৷ তার পর বেরিয়ে পড়েন সৌদিতে যাওয়ার জন্য ৷ কিন্তু বিপত্তি বাঁধে সামসাবাদ বিমানবন্দরে ৷ সেখানে অনুসন্ধানের সময় দেখা যায় যে গুলজার অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ 2019 সালের সেই ঘটনার পর থেকে তিনি জেলেই রয়েছেন ৷ মাঝে শুধু করোনা অতিমারীর সময় তাঁকে কয়েকমাসের জন্য জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ৷ তার পর আবার তাঁকে জেলে চলে যেতে হয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ৷

ওই ঘটনার পর আবার সন্তানদের নিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন দৌলতবী ৷ তাঁর বড় ছেলে মহম্মদ ইলিয়াস সাবালক ৷ তাই তিনি কাজ করেন ৷ কিন্তু বাকি তিনজনের বয়স দশের কম ৷ তাই তাদের দায়িত্ব দৌলতবীর কাঁধেই রয়েছে ৷ তাছাড়া সংসারে তাঁর বোনও রয়েছেন ৷ যিনি আবার ডিমনেশিয়ায় আক্রান্ত ৷ আপাতত বাড়ি বাড়ি কাজ করে সংসার চালান দৌলতবী ৷ এর মধ্যেও তিনি স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছেন ৷ কিন্তু আদৌ কি তিনি সফল হবেন, এটাই এখন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৷

আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে জাল নথি-সহ গ্রেফতার পাকিস্তানি তরুণী, ধৃত ভারতীয় স্বামীও

গাড়িভেমুলা (অন্ধ্রপ্রদেশ), 6 ফেব্রুয়ারি: রং নম্বর থেকে পরিচয়, তার পর প্রেম ৷ সেই প্রেমের টানে সুদূর সৌদি আরব (Saudi Arabia) থেকে ভারতে (India) ছুটে এসেছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক (Pakistani Citizen) গুলজার খান ৷ তাও আবার অবৈধভাবে ৷ প্রেমিকে শেখ দৌলতবীকে বিয়েও করেন গুলজার ৷ বছয় নয়েক সংসারও করেন সুখে ৷ কিন্তু অপরাধকে কি আর চিরকাল ধামাচাপা দেওয়া যায় ! ফলে শেষপর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই হয় গুলজারকে ৷ আপাতত তিনি জেলবন্দি ৷ এর জেরে চরম বিপাকে পড়েছেন দৌলতবী ৷ সন্তানদের নিয়ে দিন গুজরানে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে তো হচ্ছেই ৷ পাশাপাশি স্বামীকে জেলের বাইরে আনতে দৌড়াতে হচ্ছে প্রশাসন থেকে আদালতের দুয়ারে ৷

শেখ দৌলতবী অন্ধ্রপ্রদেশের নন্দ্যালা জেলার গাড়িভেমুলা (Gadivemula) এলাকার বাসিন্দা ৷ সাত বছরের বিবাহিত জীবন পেরিয়ে স্বামীকে হারান তিনি ৷ একমাত্র ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসেন বাপের বাড়িতে ৷ 2010 সাল নাগাদ তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয় গুলজারের ৷ যদিও রং নম্বরে ফোন করেছিলেন গুলজার ৷ তার পর সময় যত এগিয়েছে ফোনে যোগাযোগ তত বাড়ে দু’জনের মধ্যে দৌলতবীর প্রেমে পড়েন গুলজার ৷ পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা গুলজার তখন সৌদি আরবে থাকেন ৷ রংমিস্ত্রির কাজ করেন মধ্য প্রাচ্যে ৷

Pak Man Arrested
শেখ দৌলতবী ও তাঁর ছেলে-মেয়েরা

সেখান থেকেই তিনি 2010 সালের শেষ দিকে তিনি মুম্বই হয়ে গাড়িভেমুলায় পৌঁছান ৷ কিন্তু তিনি ভারতে প্রবেশ করেছিলেন অবৈধভাবে (Pakistani Man Entered India Illegally) ৷ 2011 সালের 25 জানুয়ারি তিনি দৌলতবীকে বিয়ে করেন ৷ তাঁরা তিনটি মেয়ে ও একটি ছেলে মা-বাবা ৷ ন’বছর তাঁরা সেখানেই ছিলেন ৷ এর পর সপরিবারে সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন গুলজার ৷ আসল উদ্দেশ্য ছিল সেখান থেকে পরিবার নিয়ে পাকিস্তানে চলে যাওয়া ৷ সেই কারণে তিনি ওই এলাকা থেকে আধার কার্ডও তৈরি করান ৷

সেই কারণে ভিসাও করান পরিবারের ৷ তার পর বেরিয়ে পড়েন সৌদিতে যাওয়ার জন্য ৷ কিন্তু বিপত্তি বাঁধে সামসাবাদ বিমানবন্দরে ৷ সেখানে অনুসন্ধানের সময় দেখা যায় যে গুলজার অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ 2019 সালের সেই ঘটনার পর থেকে তিনি জেলেই রয়েছেন ৷ মাঝে শুধু করোনা অতিমারীর সময় তাঁকে কয়েকমাসের জন্য জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ৷ তার পর আবার তাঁকে জেলে চলে যেতে হয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ৷

ওই ঘটনার পর আবার সন্তানদের নিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন দৌলতবী ৷ তাঁর বড় ছেলে মহম্মদ ইলিয়াস সাবালক ৷ তাই তিনি কাজ করেন ৷ কিন্তু বাকি তিনজনের বয়স দশের কম ৷ তাই তাদের দায়িত্ব দৌলতবীর কাঁধেই রয়েছে ৷ তাছাড়া সংসারে তাঁর বোনও রয়েছেন ৷ যিনি আবার ডিমনেশিয়ায় আক্রান্ত ৷ আপাতত বাড়ি বাড়ি কাজ করে সংসার চালান দৌলতবী ৷ এর মধ্যেও তিনি স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছেন ৷ কিন্তু আদৌ কি তিনি সফল হবেন, এটাই এখন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৷

আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে জাল নথি-সহ গ্রেফতার পাকিস্তানি তরুণী, ধৃত ভারতীয় স্বামীও

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.