গুরুগ্রাম,11মার্চ: বিয়ে করেছিলেন মাত্র দু'দিন আগে । এরইমধ্যে বাবাকে হারালেন ওয়োর প্রতিষ্ঠাতা রীতেশ আগরওয়াল। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে গুরুগ্রামের আবাসনের 21 তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় রীতেশের বাবা রমেশের। ওই আবাসনেরই একটি ফ্ল্যাটে আগরওয়াল পরিবার থাকে। সেই আবাসনের 21 তলা থেকে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারালেন রমেশ।
ঠিক কীভাবে এই ঘটনাটি ঘটল তা এখনও জানা যায়নি। পূর্ব গুরুগ্রামের ডিসিপি জানিয়েছেন, দুপুর 1টা নাগাদ পুলিশের কাছে দুর্ঘটনার খবর এসে পৌঁছয়। ঘটনার সময় মা ও স্ত্রীর সঙ্গে বাড়িতেই ছিলেন রীতেশ । পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের সদসদ্যদের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ। ওই আবাসনের বাসিন্দাদের থেকেও বিষয়টি জেনে নেওয়া হয়েছে ।
পরে এই বিষয়ে বিবৃতি জারি করেন ওয়ো প্রতিষ্ঠাতা। তাতে রীতেশ লিখেছেন, "ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি 10 মার্চ আমার পথপ্রদর্শক, আমার শক্তি-আমার বাবা রমেশ আগরওয়াল প্রয়াত হয়েছেন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি আমাকে এবং আরও অনেককে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। আমাদের পরিবারের পক্ষে এটা একটা বিরাট ক্ষতি । জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় থেকে বাবাই আমাদের বের করে এনেছেন । তাঁর প্রতিটি কথা আমাদের হৃদয়ে আজীবনের মতো থেকে যাবে। এই চরম দুর্দিনে সকলের কাছে অনুরোধ,আমাদের একা থাকতে দিন।" পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে ঘটনা সম্পর্কে পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর ইতিমধ্যে দেহ পরিবারের কাছে ফিরিয়েও দেওয়া হয়েছে।
হোটেল ব্যবসা সম্পর্কে পুরনো ধারনা অনেকটাই বদলে দিয়েছে ওয়ো। দেশের প্রায় সর্বত্রই ওয়োর শাখা আছে । করোনার পরবর্তী সময়ে আবারও ভিড় বাড়ছে ওয়োর বিভিন্ন হোটেলে। অন্যদিকে রীতেশের স্ত্রী গীতাংশা সুদ ফর্মেশন ভেঞ্চর্স নামে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের একটি সংস্থার অন্যতম অধিকর্তা। এই দু'জনের বিয়ের মাত্র দু'দিনের মধ্যেই মৃত্যু হল রীতেশের বাবার।
আরও পড়ুন: ডেয়ার গেম জিততে অত্যধিক আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে মৃত্যু ছাত্রীর