নয়াদিল্লি, 15 সেপ্টেম্বর: দেশের 14 জন সঞ্চালককে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিল 'ইন্ডিয়া' জোট। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিভিন্ন মাধ্যমে এই সঞ্চালকদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে থাকবেন না বিরোধী শিবিরের কোনও নেতা। 'ইন্ডিয়া'র দাবি, সংবাদ মাধ্যমের একাংশ সমাজে ঘৃণা ছড়াতেই ব্যস্ত। ঠিক এই কারণেই বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত ঘিরে স্বভাবতই তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি অবস্থার কথা মনে পড়ে গিয়েছে বিজেপির। অন্যদিকে, নিউজ ব্রডকাস্টার এবং ডিজিটাল অ্যাসোশিয়েসন (এনবিডিএ)-ও বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছে না। তাদের প্রতিক্রিয়া, সঞ্চালকদের বয়কট করা গণতন্ত্রের পক্ষে ইতিবাচক নয়।
নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বিবৃতি জারি করেছে ইন্ডিয়া জোট। সেখানে 14 জন সঞ্চালকের নাম রয়েছে। তার মধ্যে এমন বেশ কয়েকজন সঞ্চালক রয়েছেন যাঁদের জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। টেলিভিশন বা ডিজিটাল মাধ্যমে তাঁদের অনুষ্ঠান দেখেন বহু মানুষ। এমন সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। তিনি জানান,গত 9 বছর ধরে দেশের বেশ কয়েকটি নিউজ চ্যানেল ঘৃণা ছড়ানোর কাজ করছে। সে কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত।
স্বভাবতই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। দলের প্রধান মুখপাত্র অনিল বালুনির তরফে জারি করা বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, জরুরি অবস্থার সময় সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল। এখনও কিছু রাজনৈতিক দল সেই অংহকার বজায় রেখেছে। তারা দেশকে আবারও জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে চায়। পাশাপাশি এভাবে বয়কট করার বিষয়টিকে বিজেপি প্রকাশ্য হুমকি হিসেবেই দেখছে।
এই বিষয়ে পবন খেরা বলেন, "আমরা কোনও সঞ্চালকের বিরোধী নেই। কিন্তু কিছু সংবাদ মাধ্যম ঘৃণা ছড়াতে ব্যস্ত। ইন্ডিয়া জোট এই ধরনের প্রবণতাকে গুরুত্ব দিতে চায় না। আমরা মনে করি, এভাবে ঘৃণা ছড়ালে সমাজের সর্বনাশ হবে। সে কথা মাথায় রেখেই বয়কটের সিদ্ধান্ত হয়েছে।" অন্য একটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমরা আশা করব,ওই সমস্ত সঞ্চালকরা নিজেদের সংশোধন করবেন।"
আরও পড়ুন: ‘ঘমন্ডিয়া গটবন্ধন’, সনাতম ধর্ম-বিতর্কে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বিরুদ্ধে এবার ময়দানে মোদি