নয়াদিল্লি, 10 অগস্ট : জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) 2019 সালের অগস্টের পর থেকে মাত্র দু’জন জমি কিনেছেন ৷ মঙ্গলবার লোকসভায় এই তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ ডিএমকে (DMK) সাংসজ এস রামালিঙ্গম এই নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন ৷ তারই লিখিত উত্তর লোকসভায় পেশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই (Nityananda Rai) ৷
আরও পড়ুন : Electoral Bonds : ইলেক্টরাল বন্ডের বাজারেও গেরুয়া ঝড়, বিজেপির ঘরে 75 শতাংশ টাকা
2019 সালের 5 অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ৷ সরিয়ে দেওয়া হয় সংবিধানের 370 ধারা ৷ ফলে ভূস্বর্গে অন্য রাজ্যের বাসিন্দারাও জমি কেনার অনুমতি পেয়ে যান ৷ যা এতদিন ছিল না ৷ অনেকের ধারণা ছিল যে শিল্পপতিরা সেখানে জমি কিনবেন ৷ আর ভূস্বর্গের পর্যটন শিল্প আরও চাঙ্গা হবে ৷ যদিও কারও কারও বক্তব্য ছিল, এতে জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দারা বিপাকে পড়বেন ৷
কেন্দ্রের মোদি সরকারের নেওয়া সেই সিদ্ধান্তের পর কেটে গিয়েছে প্রায় দু’বছর ৷ তার পর ঠিক কতজন জমি কিনলেন, সেই উত্তরই জানতে চেয়েছিলেন ওই ডিএমকে সাংসদ৷ মঙ্গলবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এই উত্তর দেওয়া হল ৷
আরও পড়ুন : Supreme Court : বিজেপি-কংগ্রেস-এনসিপি-সিপিএমকে আর্থিক জরিমানা সুপ্রিম কোর্টের
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরকে 2019 সালে পুনর্গঠন করে কেন্দ্র ৷ ওই রাজ্যকে দুই ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয় ৷ জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ, দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয় ৷ পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর স্থায়ী বাসিন্দার সংজ্ঞা বদল করা হয় ৷ এর সঙ্গে ভারতকে জুড়ে দেওয়া হয় ৷ সেখানে বলা হয় যে জম্মু ও কাশ্মীরে 15 বছরের বেশি সময় থাকলে বা সাত বছর পড়াশোনা করলে এবং দশম বা দ্বাদশের পরীক্ষা ওই এলাকার কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দিলে অথবা যাঁর নাম রিলিফ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন কমিশনার (মাইগ্র্যান্ট)-এ শরণার্থী হিসেবে নাম নথিভুক্ত থাকবে, তাঁরা স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বিবেচিত হবেন ৷
আরও পড়ুন : Olympians Felicitation Programme : পদকজয়ীদের থেকে মোদির ছবির আকার বড়, সমালোচনায় বিদেশ-মানস
তাঁরা চাইলে জমিও কিনতে পারবেন ৷ চাইলে অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও পাবেন ৷ এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা ধারা 370 থাকার জারি থাকার সময় পাওয়া যেত না ৷