ইম্ফল, 17 জানুয়ারি: আবারও অশান্ত মণিপুর ৷ বুধবার সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা হামলা চালাল নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ির উপর ৷ তার জেরে মৃত্যু হয়েছে রাজ্য পুলিশের এক কর্মীর ৷ পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার মণিপুরের টেংনোপাল জেলার সীমান্ত শহর মোরেহতে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা এই হামলা চালায় ৷
মৃত পুলিশকর্মীর নাম ওয়াংখেম সোমরজিৎ মোরে ৷ তিনি রাজ্য পুলিশ কমান্ডোর সঙ্গে যুক্ত একজন আইআরবি কর্মী ছিলেন । সোমরজিৎ ইম্ফল পশ্চিম জেলার মালোমের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ বুধবার সকালে মোরেহ শহরের তিনটি ভিন্ন স্থানে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময় হয় ৷ জঙ্গিরা এসবিআই মোরেহের কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি পোস্টে বোমা ছোড়ে ও গুলি চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ এরপর হামলাকারীদের লক্ষ্য করে পালটা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী ৷
জঙ্গিরা অস্থায়ী কমান্ডো পোস্টে আরপিজি শেল ছুড়ে আশপাশে পার্ক করা বেশ কয়েকটি গাড়ির ক্ষতি করে । সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর পোস্টে গুলি চালায় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, এক পুলিশ অফিসারের হত্যার ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে সীমান্ত শহরে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করার 48 ঘণ্টা পরই এই হামলা হল ৷ এর আগে, মণিপুর সরকার 16 জানুয়ারি বেলা 12টা থেকে শান্তি ভঙ্গের সম্ভাবনা, জনসাধারণের শান্তির ব্যাঘাত এবং মানব জীবন ও সম্পত্তির জন্য মারাত্মক বিপদের সম্ভাবনার খবর পেয়ে 16 জানুয়ারি বেলা 12টা থেকে সার্বিক কারফিউ জারি করে ।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টেংনোপালের নির্দেশে বলা হয় যে, কারফিউ আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগ এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলির রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত সরকারের সংস্থাগুলিতে প্রযোজ্য হবে না । পুলিশ গত বছরের অক্টোবরে এসডিপিও আনন্দ হত্যার ঘটনায় প্রধান দুই সন্দেহভাজন ফিলিপ খংসাই এবং হেমোখোলাল মেটকে গ্রেফতার করেছে । দু'জন নিরাপত্তা কর্মীদের গাড়ি লক্ষ করে গুলি ছুড়েছিল ৷ সেই সময় পুলিশ তাদের উপর পালটা আক্রমণ চালিয়ে তাদের ধাওয়া করে এবং হাতেনাতে ধরে ফেলে ৷ পরে দু'জনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরেহের সামনে হাজির করা হয়েছিল এবং তাঁদের নয় দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে ।
কুকি ইনপি টেংনোপাল-সহ মোরেহ-ভিত্তিক নাগরিক সংস্থাগুলি এই গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছে এবং 24 ঘণ্টার মধ্যে দু'জনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে । দু'জনকে মুক্তি না দিলে কঠিন মূল্য চোকাতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কেআইটি । (সংবাদসংস্থা পিটিআই)
আরও পড়ুন: