ETV Bharat / bharat

মণিপুরে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের হামলায় নিহত পুলিশকর্মী - Attack in Moreh

Militants attack in Manipur: মণিপুরের মোরেহ শহরে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ গেল রাজ্য পুলিশের এক কর্মীর ৷ তবে পালটা প্রতিরোধ করেছে বাহিনীও ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 17, 2024, 12:35 PM IST

ইম্ফল, 17 জানুয়ারি: আবারও অশান্ত মণিপুর ৷ বুধবার সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা হামলা চালাল নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ির উপর ৷ তার জেরে মৃত্যু হয়েছে রাজ্য পুলিশের এক কর্মীর ৷ পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার মণিপুরের টেংনোপাল জেলার সীমান্ত শহর মোরেহতে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা এই হামলা চালায় ৷

মৃত পুলিশকর্মীর নাম ওয়াংখেম সোমরজিৎ মোরে ৷ তিনি রাজ্য পুলিশ কমান্ডোর সঙ্গে যুক্ত একজন আইআরবি কর্মী ছিলেন । সোমরজিৎ ইম্ফল পশ্চিম জেলার মালোমের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ বুধবার সকালে মোরেহ শহরের তিনটি ভিন্ন স্থানে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময় হয় ৷ জঙ্গিরা এসবিআই মোরেহের কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি পোস্টে বোমা ছোড়ে ও গুলি চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ এরপর হামলাকারীদের লক্ষ্য করে পালটা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী ৷

জঙ্গিরা অস্থায়ী কমান্ডো পোস্টে আরপিজি শেল ছুড়ে আশপাশে পার্ক করা বেশ কয়েকটি গাড়ির ক্ষতি করে । সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর পোস্টে গুলি চালায় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, এক পুলিশ অফিসারের হত্যার ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে সীমান্ত শহরে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করার 48 ঘণ্টা পরই এই হামলা হল ৷ এর আগে, মণিপুর সরকার 16 জানুয়ারি বেলা 12টা থেকে শান্তি ভঙ্গের সম্ভাবনা, জনসাধারণের শান্তির ব্যাঘাত এবং মানব জীবন ও সম্পত্তির জন্য মারাত্মক বিপদের সম্ভাবনার খবর পেয়ে 16 জানুয়ারি বেলা 12টা থেকে সার্বিক কারফিউ জারি করে ।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টেংনোপালের নির্দেশে বলা হয় যে, কারফিউ আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগ এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলির রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত সরকারের সংস্থাগুলিতে প্রযোজ্য হবে না । পুলিশ গত বছরের অক্টোবরে এসডিপিও আনন্দ হত্যার ঘটনায় প্রধান দুই সন্দেহভাজন ফিলিপ খংসাই এবং হেমোখোলাল মেটকে গ্রেফতার করেছে । দু'জন নিরাপত্তা কর্মীদের গাড়ি লক্ষ করে গুলি ছুড়েছিল ৷ সেই সময় পুলিশ তাদের উপর পালটা আক্রমণ চালিয়ে তাদের ধাওয়া করে এবং হাতেনাতে ধরে ফেলে ৷ পরে দু'জনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরেহের সামনে হাজির করা হয়েছিল এবং তাঁদের নয় দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে ।

কুকি ইনপি টেংনোপাল-সহ মোরেহ-ভিত্তিক নাগরিক সংস্থাগুলি এই গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছে এবং 24 ঘণ্টার মধ্যে দু'জনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে । দু'জনকে মুক্তি না দিলে কঠিন মূল্য চোকাতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কেআইটি । (সংবাদসংস্থা পিটিআই)

আরও পড়ুন:

  1. 'বিজেপির ঘৃণার চিহ্ন মণিপুর', ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার আগে মন্তব্য রাহুলের
  2. অনুমতি দিল রাজ্য সরকার, মণিপুর থেকে শর্তসাপেক্ষে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার সূচনা
  3. কালিয়াচকে আবারও সক্রিয় মণিপুর চক্র, মাদক উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার 2

ইম্ফল, 17 জানুয়ারি: আবারও অশান্ত মণিপুর ৷ বুধবার সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা হামলা চালাল নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ির উপর ৷ তার জেরে মৃত্যু হয়েছে রাজ্য পুলিশের এক কর্মীর ৷ পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার মণিপুরের টেংনোপাল জেলার সীমান্ত শহর মোরেহতে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা এই হামলা চালায় ৷

মৃত পুলিশকর্মীর নাম ওয়াংখেম সোমরজিৎ মোরে ৷ তিনি রাজ্য পুলিশ কমান্ডোর সঙ্গে যুক্ত একজন আইআরবি কর্মী ছিলেন । সোমরজিৎ ইম্ফল পশ্চিম জেলার মালোমের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ বুধবার সকালে মোরেহ শহরের তিনটি ভিন্ন স্থানে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময় হয় ৷ জঙ্গিরা এসবিআই মোরেহের কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি পোস্টে বোমা ছোড়ে ও গুলি চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ এরপর হামলাকারীদের লক্ষ্য করে পালটা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী ৷

জঙ্গিরা অস্থায়ী কমান্ডো পোস্টে আরপিজি শেল ছুড়ে আশপাশে পার্ক করা বেশ কয়েকটি গাড়ির ক্ষতি করে । সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর পোস্টে গুলি চালায় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, এক পুলিশ অফিসারের হত্যার ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে সীমান্ত শহরে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করার 48 ঘণ্টা পরই এই হামলা হল ৷ এর আগে, মণিপুর সরকার 16 জানুয়ারি বেলা 12টা থেকে শান্তি ভঙ্গের সম্ভাবনা, জনসাধারণের শান্তির ব্যাঘাত এবং মানব জীবন ও সম্পত্তির জন্য মারাত্মক বিপদের সম্ভাবনার খবর পেয়ে 16 জানুয়ারি বেলা 12টা থেকে সার্বিক কারফিউ জারি করে ।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টেংনোপালের নির্দেশে বলা হয় যে, কারফিউ আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগ এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলির রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত সরকারের সংস্থাগুলিতে প্রযোজ্য হবে না । পুলিশ গত বছরের অক্টোবরে এসডিপিও আনন্দ হত্যার ঘটনায় প্রধান দুই সন্দেহভাজন ফিলিপ খংসাই এবং হেমোখোলাল মেটকে গ্রেফতার করেছে । দু'জন নিরাপত্তা কর্মীদের গাড়ি লক্ষ করে গুলি ছুড়েছিল ৷ সেই সময় পুলিশ তাদের উপর পালটা আক্রমণ চালিয়ে তাদের ধাওয়া করে এবং হাতেনাতে ধরে ফেলে ৷ পরে দু'জনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরেহের সামনে হাজির করা হয়েছিল এবং তাঁদের নয় দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে ।

কুকি ইনপি টেংনোপাল-সহ মোরেহ-ভিত্তিক নাগরিক সংস্থাগুলি এই গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছে এবং 24 ঘণ্টার মধ্যে দু'জনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে । দু'জনকে মুক্তি না দিলে কঠিন মূল্য চোকাতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কেআইটি । (সংবাদসংস্থা পিটিআই)

আরও পড়ুন:

  1. 'বিজেপির ঘৃণার চিহ্ন মণিপুর', ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার আগে মন্তব্য রাহুলের
  2. অনুমতি দিল রাজ্য সরকার, মণিপুর থেকে শর্তসাপেক্ষে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার সূচনা
  3. কালিয়াচকে আবারও সক্রিয় মণিপুর চক্র, মাদক উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার 2
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.