লন্ডন, 9 অগস্ট : সোমবার ইউকে-এর একটি হাইকোর্ট নীরব মোদিকে (Nirav Modi) ভারতে প্রত্যার্পণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে আবেদনের অনুমতি দিল ৷ আদালতের অনুমতি মতো, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে মানসিক স্বাস্থ্য ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে তিনি আপিল করতে পারবেন ৷
হাইকোর্টের বিচারপতি মার্টিন চেম্বারলেইন জানান, পঞ্চাশ বছর বয়সী পলাতক এই হিরে ব্যবসায়ীর আইনজীবী তাঁর মক্কেলের মানসিক বিষণ্ণতা এবং আত্মহত্যার প্রবণতার কথা জানিয়েছেন আদালতকে ৷ প্রত্যার্পণের পর নীরবকে মুম্বইয়ের আর্থার রোডের জেলে রাখা হবে ৷ সেখানের ব্যবস্থা নীরবের আত্মহত্যার প্রচেষ্টাকে কতটা আটকাতে পারবে তা নিয়েও বিতর্ক থেকে যাচ্ছে ৷ তাই এসমস্ত কিছুই মাথায় রেখে তিনি ইউরোপিয়ান কনভেনশন অব হিউম্যান রাইটস (ECHR)-এর আর্টিক্যাল 3-এর গ্রাউন্ড 3 এবং 4 অনুযায়ী নীরবকে আপিলের অনুমতি দিলেন ৷
নীরবকে ভারতে পাঠানোর নির্দেশে সই করেছিলেন ইউকের স্বরাষ্ট্রসচিব ৷ অভিযুক্তকে ভারতে নিয়ে আসার বন্দোবস্তও প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল ৷ সেই সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ জানানোর অনুমতি চেয়েছিলেন নীরব ৷ প্রত্যর্পণ আইন 2003 (Extradition Act 2003) অনুযায়ী, ভারত পার্ট-টু দেশ ৷ যার অর্থ হল, ইউকে ক্যাবিনেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনও মন্ত্রী এমন কোনও ব্যক্তির প্রত্যার্পণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন । গোটা প্রক্রিয়াটিই আদালতে সম্পন্ন হয় ৷ এদিন হাইকোর্টের তরফে আরও জানানো হয়, স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেলের ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় মেনে নেওয়া এবং এপ্রিল মাসে প্রত্যর্পণে স্বাক্ষর করার 'পর্যাপ্ত' কারণ রয়েছে ।
বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেলে রয়েছেন নীরব মোদি । প্রায় 15 হাজার কোটি টাকার পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (PNB) কেলেঙ্কারির মামলায় অভিযুক্ত তিনি ৷ মানসিক স্বাস্থ্যের ভিত্তিতে এই অ্যাপিলের অনুমতির ফলে তাঁর জামিনের পথ সুগম হল বলে মনে করা হচ্ছে, যা এর আগে বহুবার প্রত্যাখাত হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : ভারতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জের অনুমতি চাইলেন নীরব