বেঙ্গালুরু, 26 ডিসেম্বর: বৈকুণ্ঠ একাদশী ও হনুমান জয়ন্তীর প্রসাদ খেয়ে একসঙ্গে 200 জনের বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লেন ৷ ঘটনায় এক 60 বছরের মহিলার মৃত্যু হয়েছে সোমবার ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে ৷ অভিযোগ শহরের বেশ কয়েকটি মন্দিরের প্রসাদ খেয়ে বহু মানুষ পরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ সকলের পেটে ব্যাথা ও বমি হতে শুরু করে রবিবার রাত থেকে ৷ সকলেই হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ৷ তাঁদের মধ্যে 8 জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে ৷
হাসপাতালগুলির তরফে বলা হয়েছে, খাবারের বিষক্রিয়া থেকে সকলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৷ এমনকি যে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে, তাঁর শরীরে বিষক্রিয়ার প্রভাব মারাত্মক ভাবে পড়েছিল ৷ কিন্তু, কীভাবে এতজনের একসঙ্গে বিষক্রিয়া হল ? ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত শনিবার থেকে বৈকুণ্ঠ একাদশী পালিত হচ্ছে কর্ণাটকে ৷ শনি ও রবিবার বৈকুণ্ঠ একাদশী উপলক্ষ্যে বেঙ্গালুরুর হসকোট ও কোলার এলাকার বেশ কয়েকটি মন্দির থেকে প্রসাদ বিতরণ করা হচ্ছিল ৷ এমনকি সোমবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্যেও শহরের মন্দিরগুলিতে বড় করে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল ৷ লাগাতার তিনদিন ধরে এই সব মন্দিরগুলি থেকে প্রসাদ খেয়েছেন অসুস্থ হয়ে পড়া সকলেই ৷
চিকিৎসকরা মনে করছেন, তিনদিন ধরে মন্দিরের প্রসাদ খেয়েই বিষক্রিয়া হয়ে থাকতে পারে ৷ পুরো ঘটনায় বেঙ্গালুরু পুলিশের তরফে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷ অন্যদিকে, যে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে প্রসাদ খেয়ে, তাঁর নাম সিদ্দাগণগাম্মা ৷ তিনি বেঙ্গালুরুর হসকোটের কাবেরীনগরের বাসিন্দা ৷ রবিবার রাতে বৃদ্ধার স্বামী সিভান্না, তাঁর জন্য প্রসাদের লাড্ডু নিয়ে এসেছিলেন ৷ সেটি খাওয়ার পর সোমবার সকাল থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধা ৷ লাগাতার বমি ও পেটে ব্যাথা নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করানো হয় ৷ সেখানেই সিদ্দাগণগাম্মার মৃত্যু হয়েছে ৷
হাসপাতালে ভরতি বাকিদের শারীরিক সমস্যাও এক ৷ সকলের বমি ও পেটে ব্যাথার উপসর্গ রয়েছে ৷ তাঁরা সকলেই শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ৷ অসুস্থদের মধ্যে 8 জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে ৷ তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ৷ বাকিরা সকলেই বিপদ কাটিয়ে সুস্থ হওয়ার পথে ৷
আরও পড়ুন: