জম্মু, 5 অক্টোবর: সন্ত্রাসবাদ বছরের পর বছর ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে (Stone Pelting In Jammu And Kashmir) প্রায় 42,000 মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৷ তবে এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে ৷ এখন আর কেউ হরতাল করার বা পাথর ছোড়ার সাহস পায় না ৷ ভূস্বর্গে সফরে গিয়ে বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (No One Dares To Indulge In Stone Pelting)৷ নরেন্দ্র মোদি সরকার সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতির সমাপ্তি ঘটিয়ে সার্বিক উন্নয়ন এনে জম্মু ও কাশ্মীরকে দেশের মধ্যে এক নম্বরে নিয়ে যেতে চায় বলেও দাবি করেন শাহ (Amit Shah at JK)৷
অমিত শাহ এ দিন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাসের সময় জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টরালেন্স দেখায় কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এ ছাড়াও পরিস্থিতির সঙ্গে মানানসই নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যকলাপের কথাও তুলে ধরেন তিনি ৷ অমিত শাহ মঙ্গলবার বলেছেন, "জম্মু ও কাশ্মীরে 42,000 মানুষ মারা গিয়েছেন সন্ত্রাসবাদের কারণে ৷ সরকারে বসে থেকে যাঁরা নাশকতাকে সমর্থন দিচ্ছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷" তিনি আরও বলেন, "কেন এখন কাশ্মীরে একটাও পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে না জানেন ? কারণ সেই সময় পাথর যাঁরা ছুড়তেন তাঁরা সরকারেই বসে ছিলেন ৷"
সন্ত্রাসবাদীদের আত্মসমর্পণের রাস্তা করে দেওয়া হচ্ছে বলে এনকাউন্টারের সংখ্যাও কমেছে বলে দাবি করেন শাহ ৷ তিনি বলেন, নাশকতার ঘটনা 56 শতাংশ কমেছে ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে হতাহতের সংখ্যা 84 শতাংশ কমেছে । জঙ্গি হিসেবে নিয়োগও অনেক কমেছে বলে দাবি করেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: তিনদিনের জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ বৈঠক
জম্মু ও কাশ্মীরের 'অনগ্রসরতার' জন্য সেখানকার তিনটি রাজনৈতিক পরিবারকে দায়ী করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ সরাসরি কোনও নাম না করলেও এটা স্পষ্ট যে, আবদুল্লাহ (ন্যাশনাল কনফারেন্স), মুফতি (পিডিপি) ও নেহরু-গান্ধি (কংগ্রেস) পরিবারকেই নিশানা করেছেন তিনি ৷ তাঁর দাবি, 2014 সালের পর থেকে মোদি সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে ৷
অমিত শাহ জানান, স্বাধীনতার পর থেকে 2019 সাল পর্যন্ত ভূস্বর্গে মাত্র 19,000 কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে ৷ সেখানে 2019 সালের পর বিনিয়োগ হয়েছে 56,000 কোটি টাকার ৷