নয়াদিল্লি , 8 জুন : কিছু দিন আগে পর্যন্ত দিল্লির ছবিটা একদম অন্যরকম ছিল ৷ শহরের শ্মশানগুলিতে কোভিড মৃতদেহের নজিরবিহীন চাপে কার্যত বিধ্বস্ত দশা হয়েছিল শ্মশান কর্মীদের ৷ কবরের জন্য মাটি খোঁড়ার জায়গার অভাব ক্রমেই বাড়ছিল ৷ পাশাপাশি করোনার চিতা যেন বন্ধ হওয়ার নাম নিচ্ছিল না ৷ এখন যে পরিস্থিতি পুরো বদলেছে , তা নয় ৷ কিন্তু আগের থেকে অনেকটাই স্বস্তিদায়ক ৷ এমনই মনে করছেন পূর্ব দিল্লির পুরপ্রধান ৷
গত দুই মাসের মধ্যে এই প্রথমবার ৷ 5 জুন ও 6 জুন পূর্ব দিল্লির কোনও শ্মশানে করোনা মৃতদেহের চিতা জ্বলেনি ৷ কবর খোঁড়াও হয়নি ৷ এমনটাই জানালেন পূর্ব দিল্লি পুরনিগমের প্রধান নির্মল জৈন ৷
পূর্ব দিল্লির পুরনিগমে মোট 164 টি শ্মশান ও দুটি কবর রয়েছে ৷ 1 মে পূর্ব দিল্লিতে সর্বোচ্চ 100 জন করোনা মৃতদেহ দাহ করা হয়েছিল ৷ এপ্রিলের দুই সপ্তাহে ও মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দৈনিক 50 টি করে মৃতদেহ দাহ করা হয়েছে ৷
অন্যদিকে উত্তর ও দক্ষিণ দিল্লিতে 6 জুন যাথাক্রমে 15 জন ও দশ জনের দেহ দাহ করা হয়েছে ৷ দিল্লির এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক এর কথায়, গোটা এপ্রিল মাসজুড়ে 650 এর উপর করোনা মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : বেতন দেওয়ার পয়সা নেই, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ মুম্বই হায়াত
এ-বিষয়ে পূর্ব দিল্লি পুরনিগমের প্রধান বলেন , "জুন মাসে আমার পুরনিগমে যে ভাবে করোনা মৃতদেহের সংখ্যা কমে এসেছে, আমরা আশাবাদী যে এভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে ৷ যদি করোনার তৃতীয় তরঙ্গও আসে , সেক্ষেত্রে পূর্ব দিল্লির হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোর উন্নতি করা হবে ৷"