চন্ডীগড়, 8জানুয়ারি: আজ যেখানে গড়ে উঠেছে রাম মন্দির ৷ আগামী 22 জানুয়ারি এই মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তবে আজ এই রাম মন্দির তৈরির আগে সেখানে ছিল বাবরি মসজিদ ৷ কথিত আছ, আজ থেকে 165 বছর আগে এই মসজিদের মধ্যে প্রবেশ করে সেখানের দেওয়ালে রামের নাম লিখে ছিলেন নিহাঙ্গ সম্প্রদায়ের 25 শিখ ৷ এর পর মসজিদের ভিতর 'লঙ্গর সেবা'-র আয়োজন করেছিলেন ৷ এই কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন শিখ গুরু বাবা ফকির সিং ৷ পূব পুরুষের সেই ধারা বজায় রেখেই রাম মন্দিরে 'লঙ্গর সেবা'-র আয়োজন করেছেন নিহাঙ্গ বাবা হরজিৎ সিং রাসুলপুর ৷
আগামী, 22 জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন ৷ এদিন 'লঙ্গর সেবার' আয়োজন করা হয়েছে নিহাঙ্গ বাবা হরজিৎ সিং রাসুলপুরের পক্ষ থেকে ৷ আজ, সোমবারই চন্ডীগড় থেকে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে অযোধ্যা রওনা দিয়েছে দু’টি ট্রাক ৷ রাম মন্দিরে উদ্বোধনের দিনই 'লঙ্গর সেবার' দেবেন এই নিহাঙ্গ শিখ গুরু বাবা হরজিৎ সিং রাসুলপুর ৷ যিনি বাবা ফকির সিং-এর অষ্টম বংশধর ৷
মাঘির দিন থেকে লঙ্গর চালু: নিহাঙ্গ শিখ গুরু বাবা হরজিৎ সিং রাসুলপুর বলেন, "তাঁরা ভগবান রামের ভক্ত ৷ তাই তাঁর প্রতি ভক্তি প্রদশর্ন করতে এই লঙ্গর সেবার আয়োজন ৷ পূর্ব পুরুষের ধারা বজায় রেখে সেক্টর 26-এ অবস্থিত আনাজ মান্ডি থেকে 2 ট্রাক রেশন পাঠানো হয়েছে ৷ নিহঙ্গ বাবা হারজিৎ সিং রসুলপুর বলেছেন যে তাঁর পূর্বপুরুষদেরও ভগবান রামের প্রতি সত্যিকারের ভক্তি ছিল।" তিনি আরও জানান, 22 জানুয়ারি রাম মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে ৷ এই দিনটি উদযাপনের দিন ৷ শিশুরা অসময়ের দীপাবলির আনন্দে মেতে উঠবে ৷ সকলকে এদিনের লঙ্গর সেবায় উপস্থিত থাকায় জন্য আবেদন করেছন ৷ 14 জানুয়ারি, মাঘির শুভক্ষণে অযোধ্যায় লঙ্গর পরিষেবা শুরু হবে ৷ যা ধারাবাহিকভাবে চলবে বেশ কিছুদিন ।
শিখ ধর্মে লঙ্গরের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস: শিখদের 'লঙ্গর সেবার' ব্যবহারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে । শিখ ধর্মগুরু গুরু নানক 15 শতকে লঙ্গর সেবা শুরু করেছিলেন । প্রথা অনুযায়ী গুরু নানক যেখানে যেতেন মাটিতে বসে খেতেন। বৈষম্য, জাতপাত ও কুসংস্কারের অবসান ঘটাতে একসঙ্গে খাওয়ার প্রথা চালু হয় । তৃতীয় গুরু অমরদাস জি লঙ্গরের সেবার ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন ৷
আরও পড়ুন: