মুম্বই, 18 মার্চ: মুকেশ আম্বানির বাড়ির বাইরে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির রহস্যভেদে নয়া মোড় ৷ মুম্বই থেকে একটি কালো মার্সিডিজ় বেঞ্জ গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল এনআইএ ৷ জানা গিয়েছে, ধৃত পুলিশ অফিসার সচিন ওয়াজে ওই গাড়ি চালাতেন ৷ ওই এসইউভি গাড়ি থেকে নগদ 5 লাখ টাকা, একটি টাকা গোনার মেশিন, কিছু জামাকাপড় ও একটি নম্বরপ্লেট উদ্ধার হয়েছে ৷
এনআইএ-র শীর্ষ আধিকারিক অনিল শুক্লা জানিয়েছেন, "আজ একটি কালো মার্সিডিজ় বেঞ্জ গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ ৷ স্করপিয়ো গাড়িটিতে যে নম্বরপ্লেট লাগানো ছিল, সেটি ওই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৷ এ ছাড়াও নগদ 5 লাখ টাকা, টাকা গোনার মেশিন ও সচিন ওয়াজের কিছু জামাকাপড় পাওয়া গিয়েছে ৷ গাড়িটির মালিক কে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন: হেনস্থার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন হিরেন
একটি চেক শার্ট ও কেরোসিনে ভরা বোতলও মিলেছে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক ৷ সূত্রের তরফে আগেই জানা গিয়েছিল যে, সিসিটিভিতে একটি পিপিই পরা লোকের ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে ৷ সেটি ওয়াজে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ আর আর উদ্ধার হওয়া কেরোসিন পিপিই কিট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷
আরও পড়ুন: জেলে বসেই বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি রাখার ছক আইএম জঙ্গির ?
গত 25 ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ মুম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির বাসভবন অ্য়ান্টিলিয়ার কাছেই একটি এসইউভি-কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ৷ পরে সেটির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় 20টি জিলেটিন স্টিক ৷ এই ঘটনায় নাম জড়ায় হিরেন মনসুখ নামে এক ব্য়বসায়ীর ৷ প্রথমে তাঁকেই কালপ্রিট ভেবে বসে পুলিশ ৷ পরে জানা যায়, বিস্ফোরকবোঝাই গাড়িটির মালিক নন তিনি ৷ তবে সেটির অন্দরসজ্জা বদলানোর বরাত পেয়েছিলেন হিরেন ৷ সেই কাজের পারিশ্রমিক না মেলায় গাড়িটি নিজের কাছেই রেখে দেন তিনি ৷ পরে গাড়িটি চুরি হয়ে যায় ৷ এ দিকে, বিস্ফোরক উদ্ধারের কয়েক দিন পরই উদ্ধার হয় হিরেনের দেহ ৷ এরপর এই ঘটনায় নাম জড়ায় এক আইএম জঙ্গির ৷ সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছেন তদন্তকারীরা ৷