মুম্বই, 1 সেপ্টেম্বর: পটনা, বেঙ্গালুরুর পর 'ইন্ডিয়া' জোটের তৃতীয় সভা মুম্বইয়ে শুক্রবার সম্পন্ন হয়। এরপর, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, বিরোধী দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া)-এর পরবর্তী বৈঠক কোথায় হবে ? এই বিষয়ে এদিন এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জোটের পরবর্তী বৈঠক দিল্লিতে হতে চলেছে। একই সঙ্গে তারিখের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আপনারা কবে চাইছেন, সেই দিনই হবে।" যদিও উদ্ধব ঠাকরের দাবি এখনও এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি ৷
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া জোটের তৃতীয় বৈঠক এদিন শেষ হয়েছে ৷ বৈঠক শেষ হওয়ার পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বেরিয়ে এসে জানিয়েছিলেন যে, দু'দিনের বৈঠকটি সার্বিকভাবে ভাল ছিল। সবাই নিজেরা এগিয়ে গিয়ে দায়িত্ব নিয়েছে বলেও জানান তিনি। কেজরিওয়ালের দাবি, কেউ সোশাল মিডিয়ার কাজ সামলানোর কথা জানিয়েছেন বৈঠকে, আবার কেউ মিডিয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। এর বাইরে অনেক নেতা আসন ভাগাভাগির দায়িত্ব নিয়ে অনেক প্রচারের পরিকল্পনা নিয়েও এগিয়ে গিয়েছেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন যে, আগামী সময়ে সমস্ত ভারতীয় একত্রিত হবে এবং কেন্দ্রে মোদি সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা ৷ পাশাপাশি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দেশের পাঁচ জায়গায় জনসভা করা হবে বলেও প্রাথমিক একটা রোড ম্যাপ তৈরি করেছে জোট ৷
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, মূলত কোন ফর্মুলায় আসন ভাগাভাগি করে লড়াইয়ের ময়দানে বিরোধী জোটের দলগুলি নামছে, তা নিয়েই এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে ৷ যদিও আসন বন্টনের বিষয়টি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই খবর ৷ তবে জোটের সবকটি দলের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য ইতিমধ্যেই কোর্ডিনেশন কমিটি এবং ইলেকশন স্ট্র্যাডেজি কমিটি গঠন করা হয়েছে ৷ অন্যদিকে, আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে নষ্ট করার মতো সময় জোটের হাতে নেই ৷ দ্রুত দেশ ব্যাপী প্রচারে নামার কথাও তিনি জানিয়েছিলেন তিনি ৷ এদিন সে প্রসঙ্গেও ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে জোটের অন্যান্য নেতৃত্ব ৷ মোদি সরকারকে নিশানা করে এদিন শরদ পাওয়ার বলেন, "বিজেপির বড় নেতারা ইন্ডিয়া জোটের উদ্দেশে 'অহংকার' শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এটাই প্রমাণ করে কে আসলে 'অহংকারী'। বিজেপির লোকরা বিরোধীদের একত্রিত হওয়া পছন্দ করে না।" পাশাপাশি জোট যাতে ভুল পথে না যায় এদিন তারও প্রতিশ্রুতি দেন পাওয়ার।
আরও পড়ুন: দেশে আসন ভাগাভাগি করেই লোকসভায় লড়বে 'ইন্ডিয়া', রেজলিউশন পেশ
একই সঙ্গে, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠককে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, "এই জোট কোনও প্রভাব ফেলবে না। সমস্ত নেতারা এজেন্ডা নিয়ে মুম্বই এসেছেন যে তারা কেন্দ্র থেকে মোদি সরকারকে সরাতে চান। মোদি সরকার পরিবারতান্ত্রিক দলগুলির দোকানে তালা দেওয়ার কাজ করেছে বলেই এরা উঠে পড়ে লেগেছে ৷" অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল জোটকে কটাক্ষ করে বলেন, "এই ইন্ডিয়া জোট শেষ পর্যন্ত আন্ডা (ডিম) জোটে পরিণত হবে ৷"