ETV Bharat / bharat

টানেলে 11 দিন! 'আটকে থাকা শ্রমিকদের খুব কাছেই পৌঁছে গিয়েছি', আশ্বাস এনডিআরএফ আধিকারিকদের

Uttarkashi Tunnel Collapse: আজ 11 দিনে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা টানেলে উদ্ধারকার্য ভালোভাবেই চলছে বলে জানিয়েছেন এনডিআরএফ কর্মী ৷ টানেলে ধস নামার পর প্রথম স্থানীয় থানার এক হেড কনস্টেবল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন ৷ তিনি জানালেন, খবর দিতে দেরি করা হয়েছে ৷

ETV Bharat
উত্তরকাশীতে টানেলে ধস নেমে আটকে রয়েছেন 41 জন শ্রমিক
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 22, 2023, 1:59 PM IST

উত্তরকাশী, 22 নভেম্বর: আজ সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে থাকা শ্রমিকদের 11তম দিন ৷ শ্রমিকদের উদ্ধারে এবার টানেলটি উল্লম্বভাবে খোঁড়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ এরই মধ্যে আশার কথা শোনালেন এনডিআরএফ-এর সেকন্ড ইন কম্যান্ড রবি এস বাধানি ৷

তিনি বলেন, "উদ্ধারকার্য ভালোভাবেই চলছে ৷ অনুভূমিকভাবে ড্রিলিং করা হচ্ছে ৷ আমি যতটুকু খবর পেয়েছি, তাতে আমরা ওই আটকে থাকা শ্রমিকদের খুব কাছেই আছি ৷ তবে ঠিক কবে তা হবে, সেই সময়ের কথা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না ৷ আর এই কাজে সময় লাগবে ৷"

তিনি আরও জানিয়েছেন, আটকে থাকা শ্রমিকরা ভালো আছেন ৷ তাঁরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন ৷ তাঁদের মনের জোর এখনও অটুট আছে ৷ বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন বা বিআরও কমান্ডার বিবেক শ্রীবাস্তব এদিন বলেন, "সিল্কইয়ারার কাছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রগুলি পৌঁছে গিয়েছে ৷ সেখানে ড্রিলিং করার কাজও শুরু হয়েছে ৷ বারকোটের দিক থেকে খোঁড়াখুঁড়ির কাজও আজই শুরু হবে ৷"

  • VIDEO | "I just want 41 men home to their families and I don't want any of you hurt. My feeling is we are going to get that. My feeling is we are going to get 41 men home and none of you guys hurt as well," says international tunneling expert Arnold Dix on Uttarkashi tunnel… pic.twitter.com/xrQ9V5HLu6

    — Press Trust of India (@PTI_News) November 22, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

এদিকে আন্তর্জাতিক টানেল বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স বুধবার সকালে বলেন, "আমি শুধু চাই, আটকে থাকা 41 জন শ্রমিক বাড়ি ফিরুক, তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরে যাক ৷" তবে কবে তা সম্ভব হবে, তা ঠিক বলতে পারেননি তিনি ৷ মঙ্গলবার টানেলের মধ্যে দিয়ে 6 ইঞ্চির একটি পাইপ বসানো হয়েছে ৷ সেই পাইপের মাধ্যমে এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরা পাঠিয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে ৷ সোমবার রাতে ওই শ্রমিকদের গরম খিচুড়ি, ডাল দেওয়া হয়েছিল ৷ মঙ্গলবার রাতে 41 জন শ্রমিককে ভেজ পোলাও, মটর পনির, মাখন লাগানো চাপাটি দেওয়া হয় ৷

12 নভেম্বর ভোরে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে নির্মীয়মান টানেলে ধস নামে ৷ টানেলের কিছুটা অংশ ভেঙে আটকে পড়েন শ্রমিকেরা ৷ সেই সময় পুলিশের হেড কনস্টেবল সুরেশ কুমারই প্রথম ব্যক্তি যিনি উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারায় নির্মীয়মান টানেলে পৌঁছেছিলেন ৷ উত্তরাখণ্ডের ধারাসু তানার গেনওয়ালা পুলিশ পোস্টে গত দেড় বছর ধরে কাজ করছেন তিনি ৷ এই থানা থেকে সিল্কিয়ারা টানেলের দূরত্ব 10 কিমি ৷ সংবাদসংস্থার কাছে তিনি জানান, সাইটে থাকা ইঞ্জিনিয়ার তাঁকে ফোন করে নির্মীয়মান টানেলে ধস নামার খবরটি দেন ৷ তারপর পুলিশর পক্ষ থেকে তিনিই প্রথম সাড়া দিয়েছিলেন ৷

পৌরি গাড়ওয়ালের বাসিন্দা সুরেশ কুমার বলেন, "তখন সকাল 8টা হবে ৷ আমি স্নান করছিলাম ৷ ফোনে খবরটা পেলাম ৷ সঙ্গে সঙ্গে আমার সঙ্গে একটি অধস্তন কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই ৷" হেড কনস্টেবল গত মাসে টানেলটির অবস্থা দেখতে গিয়েছিলেন ৷ তখন সব ঠিকঠাকই ছিল ৷

এ নিয়ে কুমারের কথায়, "টানেলের মধ্যে 2 কিমি পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছিল ৷ কাজকর্ম বেশ ভালোই চলছিল ৷ এরকমটা যে হবে, তা কখনও ভাবতে পারিনি ৷" তবে একই সঙ্গে তাঁর আক্ষেপ, টানেল ধসের ঘটনাটি ঘটেছিল ভোর 5.30টা নাগাদ ৷ আর পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে খবরটা পৌঁছতে কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছিল ৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে হেড কনস্টেবল সুরেশ কুমার কী দেখলেন ? আমি দেখলাম টানেলের মধ্যে 200 মিটার পর্যন্ত শুধু ধ্বংসস্তূপ ৷ ভিতরে যাওয়ার রাস্তাটাই বন্ধ করে দিয়েছে ৷ আমি থানায় আমার শীর্ষ কর্তাদের খবর দিলাম ৷ তড়িঘড়ি উদ্ধারকারী দল টানেলে পৌঁছে গিয়েছিল ৷

আরও পড়ুন:

  1. 'মা ভালো আছি, চিন্তা করো না', আশ্বস্ত করলেন সিল্কিয়ারার টানেলে আটকে পড়া বাংলার শ্রমিক
  2. প্রকাশ্যে সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে থাকা 41 জন শ্রমিকের ছবি-ভিডিয়ো
  3. সিল্কিয়ারা টানেলে 10 দিন! সোমবার রাতে গরম খিচুড়ি-ডাল পেলেন আটকে থাকা শ্রমিকরা

উত্তরকাশী, 22 নভেম্বর: আজ সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে থাকা শ্রমিকদের 11তম দিন ৷ শ্রমিকদের উদ্ধারে এবার টানেলটি উল্লম্বভাবে খোঁড়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ এরই মধ্যে আশার কথা শোনালেন এনডিআরএফ-এর সেকন্ড ইন কম্যান্ড রবি এস বাধানি ৷

তিনি বলেন, "উদ্ধারকার্য ভালোভাবেই চলছে ৷ অনুভূমিকভাবে ড্রিলিং করা হচ্ছে ৷ আমি যতটুকু খবর পেয়েছি, তাতে আমরা ওই আটকে থাকা শ্রমিকদের খুব কাছেই আছি ৷ তবে ঠিক কবে তা হবে, সেই সময়ের কথা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না ৷ আর এই কাজে সময় লাগবে ৷"

তিনি আরও জানিয়েছেন, আটকে থাকা শ্রমিকরা ভালো আছেন ৷ তাঁরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন ৷ তাঁদের মনের জোর এখনও অটুট আছে ৷ বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন বা বিআরও কমান্ডার বিবেক শ্রীবাস্তব এদিন বলেন, "সিল্কইয়ারার কাছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রগুলি পৌঁছে গিয়েছে ৷ সেখানে ড্রিলিং করার কাজও শুরু হয়েছে ৷ বারকোটের দিক থেকে খোঁড়াখুঁড়ির কাজও আজই শুরু হবে ৷"

  • VIDEO | "I just want 41 men home to their families and I don't want any of you hurt. My feeling is we are going to get that. My feeling is we are going to get 41 men home and none of you guys hurt as well," says international tunneling expert Arnold Dix on Uttarkashi tunnel… pic.twitter.com/xrQ9V5HLu6

    — Press Trust of India (@PTI_News) November 22, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

এদিকে আন্তর্জাতিক টানেল বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স বুধবার সকালে বলেন, "আমি শুধু চাই, আটকে থাকা 41 জন শ্রমিক বাড়ি ফিরুক, তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরে যাক ৷" তবে কবে তা সম্ভব হবে, তা ঠিক বলতে পারেননি তিনি ৷ মঙ্গলবার টানেলের মধ্যে দিয়ে 6 ইঞ্চির একটি পাইপ বসানো হয়েছে ৷ সেই পাইপের মাধ্যমে এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরা পাঠিয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে ৷ সোমবার রাতে ওই শ্রমিকদের গরম খিচুড়ি, ডাল দেওয়া হয়েছিল ৷ মঙ্গলবার রাতে 41 জন শ্রমিককে ভেজ পোলাও, মটর পনির, মাখন লাগানো চাপাটি দেওয়া হয় ৷

12 নভেম্বর ভোরে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে নির্মীয়মান টানেলে ধস নামে ৷ টানেলের কিছুটা অংশ ভেঙে আটকে পড়েন শ্রমিকেরা ৷ সেই সময় পুলিশের হেড কনস্টেবল সুরেশ কুমারই প্রথম ব্যক্তি যিনি উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারায় নির্মীয়মান টানেলে পৌঁছেছিলেন ৷ উত্তরাখণ্ডের ধারাসু তানার গেনওয়ালা পুলিশ পোস্টে গত দেড় বছর ধরে কাজ করছেন তিনি ৷ এই থানা থেকে সিল্কিয়ারা টানেলের দূরত্ব 10 কিমি ৷ সংবাদসংস্থার কাছে তিনি জানান, সাইটে থাকা ইঞ্জিনিয়ার তাঁকে ফোন করে নির্মীয়মান টানেলে ধস নামার খবরটি দেন ৷ তারপর পুলিশর পক্ষ থেকে তিনিই প্রথম সাড়া দিয়েছিলেন ৷

পৌরি গাড়ওয়ালের বাসিন্দা সুরেশ কুমার বলেন, "তখন সকাল 8টা হবে ৷ আমি স্নান করছিলাম ৷ ফোনে খবরটা পেলাম ৷ সঙ্গে সঙ্গে আমার সঙ্গে একটি অধস্তন কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই ৷" হেড কনস্টেবল গত মাসে টানেলটির অবস্থা দেখতে গিয়েছিলেন ৷ তখন সব ঠিকঠাকই ছিল ৷

এ নিয়ে কুমারের কথায়, "টানেলের মধ্যে 2 কিমি পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছিল ৷ কাজকর্ম বেশ ভালোই চলছিল ৷ এরকমটা যে হবে, তা কখনও ভাবতে পারিনি ৷" তবে একই সঙ্গে তাঁর আক্ষেপ, টানেল ধসের ঘটনাটি ঘটেছিল ভোর 5.30টা নাগাদ ৷ আর পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে খবরটা পৌঁছতে কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছিল ৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে হেড কনস্টেবল সুরেশ কুমার কী দেখলেন ? আমি দেখলাম টানেলের মধ্যে 200 মিটার পর্যন্ত শুধু ধ্বংসস্তূপ ৷ ভিতরে যাওয়ার রাস্তাটাই বন্ধ করে দিয়েছে ৷ আমি থানায় আমার শীর্ষ কর্তাদের খবর দিলাম ৷ তড়িঘড়ি উদ্ধারকারী দল টানেলে পৌঁছে গিয়েছিল ৷

আরও পড়ুন:

  1. 'মা ভালো আছি, চিন্তা করো না', আশ্বস্ত করলেন সিল্কিয়ারার টানেলে আটকে পড়া বাংলার শ্রমিক
  2. প্রকাশ্যে সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে থাকা 41 জন শ্রমিকের ছবি-ভিডিয়ো
  3. সিল্কিয়ারা টানেলে 10 দিন! সোমবার রাতে গরম খিচুড়ি-ডাল পেলেন আটকে থাকা শ্রমিকরা
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.