মুজফফরনগর, 28 নভেম্বর: যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে কলেজের ফ্যাশন শোতে বোরখা পরে ব়্যাম্পে হাঁটলেন কয়েকজন ছাত্রী ৷ আর তাই নিয়েই প্রতিবাদে সরব হয়েছে মুসলিম সংগঠনগুলি ৷
মুজফফরনগর জেলার শ্রীরাম কলেজে আয়োজিত ফ্যাশন শোকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত ৷ সেই অনুষ্ঠানে বলিউডের প্রবীণ অভিনেত্রী মন্দাকিনী এবং অন্যান্য সেলিব্রিটিরাও উপস্থিত ছিলেন । রবিবার অনুষ্ঠানের শেষ দিনে কয়েকজন ছাত্রী বোরখা পরে ফ্যাশন শোয়ের ব়্যাম্পে হাঁটেন । সোশাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় ৷ তা দেখে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে মুসলিম সংগঠনগুলি । জমিয়ত-এ-উলেমা নেতারা বলেছেন, বোরখা মুসলিম নারীদের পর্দা, এটাকে ফ্যাশন শোয়ের অংশ করা উচিত নয় ।
সংগঠনটির দাবি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার চেষ্টা করা হয়েছে । জমিয়ত-এ-উলেমার জেলা আহ্বায়ক মৌলানা মোকাররম কাসমি বলেন, "বোরখা কোনও ফ্যাশন শোয়ের অংশ হবে না । শিশুরা অশ্লীলতার মুখোমুখি হয়েছে । এটি একটি ধর্মকে নিশানা করার জন্য করা হয়েছে । এটি করে মুসলিম সম্প্রদায় এবং তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার চেষ্টা করা হয়েছে ।"
তিনি আরও বলেন, জমিয়ত-এ-উলেমা এ ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে । আলেম আরও বলেন যে, তিনি কলেজ প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনের কাছে বিষয়টি দেখার জন্য আবেদন করেছেন । মৌলানা কাসমি বলেন, "কেউ যদি আবার এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, তাহলে সংগঠন তার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করবে । আমরা এর জন্য হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যেতেও দ্বিধা করব না । বোরখা হল এমন একটি কাপড় যা একজন মুসলিম মহিলা যখনই ঘর থেকে বের হন তখনই পরেন, যাতে অন্য কেউ তাঁর মুখ দেখতে না পারেন । বোরখাকে পর্দা হিসাবে ব্যবহার করা হয় । লাল বা হলুদ কাপড়ে সেলাই করে ফ্যাশন শোতে বোরখা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ ভুল ৷"
ক্যাটওয়াকে অংশ নেওয়া এক মুসলিম ছাত্রী বলেন, তাঁর কলেজের শিক্ষক তাঁকে সৃজনশীলভাবে বোরখা পরতে বলেছিলেন । মুসলিম সম্প্রদায়ের মেয়েটির কথায়, তিনি ভেবেছিলেন যে বহু রঙের বোরখা পরলে ব্যাপারটা অনন্য হবে ৷ তিনি বলেন, "আমরা এ বার ভিন্ন রঙের বোরখা পরতে চেয়েছিলাম । এই চিন্তা থেকেই আমরা ফ্যাশন শোতে ভিন্নভাবে বোরখা পরার কথা ভেবেছিলাম ।"
আরও পড়ুন: