দামোহ (মধ্যপ্রদেশ), 24 ডিসেম্বর: একজন পুলিশ কর্মীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) দামোহতে (Policeman Murder In Damoh) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় বাজারিয়া ওয়ার্ডের কসাই মান্ডি এলাকায় ৷
জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে কাজের ফাঁকে পেশায় কনস্টেবল সুরেন্দ্র সিং খাবার খাচ্ছিলেন, সেই সময় কিছু লোক পুলিশ ফাঁড়ির বাইরে শব্দ করতে শুরু করেন । ওই কনস্টেবল সেই ছেলেদের আওয়াজ করতে নিষেধ করলে ক্ষুব্ধ দুষ্কৃতীরা (Miscreants) পাথর নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করে । এই হামলায় সুরেন্দ্র গুরুতর জখম হন ৷
তারপর স্থানীয় লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এর জেরে ওই এলাকায় উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয় ৷ তার পরিপ্রেক্ষিতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে ৷ এর পাশাপাশি, পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে ।
জানা গিয়েছে, কসাই মান্ডিতে অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়ি কাছেই থাকেন স্থানীয় কাউন্সিলর কবিতা রাই ৷ চিৎকার শুনে তিনি স্থানীয়রা বেরিয়ে আসেন ৷ তখনই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ৷ তখনই ওই কনস্টেবল গুরুতর জখম হয়েছেন ৷ ওই ফাঁড়ির অন্য পুলিশ কর্মীরা বেরিয়ে এসেছিলেন সুরেন্দ্রকে বাঁচাতে ৷ তাঁরা দুষ্কৃতীদের আক্রমণে আহত হন ৷ কাউন্সিলর ও স্থানীয়রা পুলিশকে সাহায্য করেন সুরেন্দ্র জেলা হাসপাতালে নিয়ে যেতে ৷
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ সুপার ডিআর টেনিওয়ার বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করেন এবং নিজে জেলা হাসপাতালে পৌঁছান, ততক্ষণে চিকিৎসকরা আহত সুরেন্দ্রকে মৃত ঘোষণা করেন । হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর মাথায় কিছু পাথর লেগেছে৷ যার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় ৷ তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে । এছাড়া শরীরের অন্যান্য অংশেও গুরুতর জখম হয়েছিল ৷
ঘটনার বিষয়ে পুলিশ সুপার ডিআর টেনিওয়ার বলেছেন, "প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, কনস্টেবল সুরেন্দ্র সিং কিছু লোককে আক্রমণ করতে বাধা দিতে পোস্ট থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছিল । মাথায় একটি গভীর পাথরের আঘাত ছিল । রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে । ওই কনস্টেবল ছিলেন 10ম ব্যাটালিয়নের সদস্য৷ ঘটনার মূল কারণ কী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । অভিযুক্তরা এখনও পলাতক, তাদের খোঁজ চলছে ।"
এলাকার কাউন্সিলর ও প্রত্যক্ষদর্শী কবিতা রাই বলেন, "জেলায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে ৷ প্রতিদিনই ঘটছে ছুরিকাঘাত, গুলি করার মতো ঘটনা । যখন একজন পুলিশ কনস্টেবলকে জনসম্মুখে হত্যা করা যেতে পারে, তখন সাধারণ মানুষের কী হবে, তা সহজেই অনুমান করা যায় ।"