নয়াদিল্লি, 3 সেপ্টেম্বর: 'এক দেশ, এক ভোট' নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রকে নিশানা করল কংগ্রেস ৷ ইতিমধ্য়েই এই বিষয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র ৷ সেই কমিটি থেকে অবশ্য সরে দাঁড়িয়েছে লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী ৷ আর সেই বিষয়ে রবিবার কংগ্রেস সাংসদ কে সি বেনুগোপাল জানান, যেভাবে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাকে পাশ কাটিয়ে এই কমিটি গঠন করেছে সরকার, তা গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার সমান ৷
'এক দেশ, এক ভোট' নিয়ে যাবতীয় বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে আট সদস্যের কমিটি গঠন করে কেন্দ্র ৷ যে কমিটিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, গুলামনবি আজাদ, আইনজীবী হরিশ সালভের সঙ্গেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও রাখা হয়েছিল ৷ একই সঙ্গে, আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে কমিটির প্রতিটি বৈঠকে থাকবেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল ৷ শনিবার রাতেই গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ করে এই কমিটি এবং রেজলিউশনের প্রাথমিক বিষয়গুলি সামনে আনে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এরপরই অবশ্য অধীর চৌধুরী পালটা চিঠি দিয়ে অমিত শাহকে জানান, তিনি এই কমিটিতে থাকতে অপারগ ৷ রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাকে কমিটিতে না রাখার বিষয়টিও চিঠিতে জানিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী ৷
এদিন দুপুরে কংগ্রেস সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে বৈঠকে বসেন রাহুল গান্ধি, কে সি বেনুগোপালরা ৷ বৈঠক শেষে রাহুল কিছু না বললেও, মুখ খুলেছেন বেনুগোপাল ৷ এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রীতিমতো ঝাঁঝালো আক্রমণ করে কে সি বেনুগোপাল বলে, "এটা যে সম্পূর্ণ জুমলা তা তো আমরা বলছি ৷ আদতে ভারত সরকার আদানি ইস্যুকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে চায় ৷ তাই তারা এই সব কাজ (এক দেশ, এক ভোট) করছে। এই কাজগুলো করার সময়, তারা সংসদীয় রীতিনীতি এবং কনভেনশনকে সম্পূর্ণভাবে ধূতিস্যাৎ করছে।"
আরও পড়ুন: ড্রাগন-কাঁটা! স্থগিত হল রাজনাথ সিংয়ের শ্রীলঙ্কা সফর
অন্যদিকে, আগামী 18 থেকে 22 সেপ্টেম্বর সংসদের যে বিশেষ অধিবেশন হতে চলেছে, সেখানে কংগ্রেস যে ফের আদানি ইস্যুতে সরব হবে, তা এদিন বেনুগোপালের কথা থেকেই স্পষ্ট ৷ এর আগে মুম্বইয়ে জোটের বৈঠকে আদানি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল গান্ধি ৷ সুতরাং মনে করা হচ্ছে এই ইস্যুকে সামনে রেখেই ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠতে চলেছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ৷