হায়দরাবাদ, 12 জুলাই: পরকীয়ার সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মেয়ে, এমনটাই মনে করেছিলেন মা ৷ তার জেরে মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থায় বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে ৷ নিহত মেয়েটির বয়স মাত্র চার৷ তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে ৷ তার পর গ্রেফতার করা হয় মা ও তাঁর প্রেমিককে৷ ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের কুশাইগুড়াতে ৷
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির নাম তানভিটা ৷ বয়স চার বছর ৷ তাঁর বাবা নায়কবাড়ি রমেশ ও মায়ের নাম কল্যাণী ৷ রমেশ ও কল্যাণীর পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় ৷ রমেশ অটোচালক ৷ তাঁর মদ্যপানের অভ্যাস নিয়ে কল্যাণীর সঙ্গে সমস্যা তৈরি হয় ৷ এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোলমাল লেগে থাকত প্রায় ৷ বছর দুয়েক আগে তাই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে মেয়েকে নিয়ে বাপেরবাড়ি চলে আসেন কল্যাণী ৷
আরও পড়ুন: 'সন্তান আমার মতো দেখতে নয়', স্ত্রী ব্যাভিচারী সন্দেহে 26 দিনের শিশুকে রক্তাক্ত করল বাবা !
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে তাঁর এক দূরসম্পর্কের দাদা ইন্দলা নবীনের সঙ্গে ফের যোগাযোগ তৈরি হয় কল্যাণীর ৷ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁদের যোগাযোগ তৈরি হয় ৷ ধীরে ধীরে সেই সম্পর্কে পরকীয়ায় পরিণত হয় ৷ কিন্তু তাঁরা দু’জনেই মনে করতেন যে তাঁদের এই সম্পর্কের পথে কাঁটা বছর চারেকের তানভিটা ৷ সেই কারণে তানভিটাকে কীভাবে পথ থেকে সরানো যায় সেই নিয়ে তাঁরা পরিকল্পনা করেন ৷ শেষে মেয়েকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন কল্যাণী ৷
পুলিশের দাবি, গত 1 জুলাই সকালে স্কুলে যায় তানভিটা ৷ দুপুরে বাড়ি ফিরে আসে ৷ তার পর বাড়িতে আর কেউ ছিল না ৷ সেই সুযোগে ঘুমন্ত তানভিটার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন কল্যাণী ৷ তার পর সবাইকে জানান যে কীভাবে তানভিটার মৃত্যু হয়েছে তিনি জানেন না ৷
মেয়ের মৃত্যুর খবর যায় রমেশের কাছে ৷ তিনি শ্বশুরবাড়িতে যান ৷ তার পর কুশাইগুড়া থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেন ৷ মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তের আর্জি জানান ৷ তার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে ৷ সেই তদন্তেই কল্যাণী ও নবীনের পরকীয়ার কথা সামনে আসে ৷ সেই সূত্র ধরে তদন্ত এগোতেই কল্যাণীর উপর সন্দেহ হয় ৷ তাঁকে আটক করা হয় ৷
আরও পড়ুন: নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বিশাখাপত্তনমে গ্রেফতার স্কুলের অশিক্ষক কর্মচারী
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কল্যাণীকে ৷ সেই সময় তিনি ভেঙে পড়েন ৷ তার পর মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করেন ৷ পরকীয়ার সম্পর্ক বাঁচাতেই মেয়েকে খুন করেছেন বলে তিনি স্বীকার করেন ৷ এর পর পুলিশ কল্যাণী ও নবীনকে গ্রেফতার করে ৷