ETV Bharat / bharat

Mangaluru Rape Case: নাবালিকা সন্তানের যৌন নির্যাতনে সাহায্য ধর্ষককে, 14 বছরের হাজতবাস মায়ের - হাজতবাস মায়ের

দিনের পর দিন নাবালিকার (Minor raped in Mangaluru) উপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে যাওয়ায় তাকে 15 বছরের হাজতবাসের সাজা শোনাল আদালত ৷ এই অপরাধে তাকে সাহায্য করত মেয়েটির মা ৷ তাকেও 14 বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ম্যাঙ্গালুরুর আদালত (Mangaluru Rape Case)৷

mother-among-three-sentenced-to-imprisonment-in-minors-rape-in-mangaluru
নাবালিকা সন্তানের যৌন নির্যাতনে সাহায্য ধর্ষককে, 14 বছরের হাজতবাস মায়ের
author img

By

Published : Dec 8, 2022, 6:14 PM IST

ম্যাঙ্গালুরু, 8 ডিসেম্বর: মায়ের প্রশ্রয়েই দিনের পর দিন লালসার শিকার হয়েছে নাবালিকা কন্যা (Minor raped in Mangaluru)৷ কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুর (Mangaluru Rape Case) এই ঘটনায় যৌন নির্যাতনের শিকার নাবালিকার মা-সহ (Mother among three sentenced to imprisonment) তিনজনকে কারাদণ্ডের সাজা শোনাল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত ৷ 2016 সালে টানা এক বছর ধরে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনে প্রধান অভিযুক্ত 49 বছর বয়সি ব্যক্তিকে পস্কো আইনে 15 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত ৷

বিচারক কেএম রাধাকৃষ্ণ দোষী সাব্যস্ত হওয়া কোটেকরের চিত্রশিল্পী ডেরভি ডি'সুজাকে 50,000 টাকা জরিমানা করেছেন ৷ তাকে অপরাধে সাহায্য করত নিগৃহীতার মা ৷ তাকেও পক্সো আইনের 17 নং ধারায় (যৌন নির্যাতনের প্ররোচনা) 14 বছরের হাজতবাস ও 25,000 টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ আরেকজন অভিযুক্ত মেলভিন ডি'সুজা, যে নিগৃহীতা ও তার মাকে আশ্রয় দিয়েছিল, সে অভিযোগ না জানানোয় তাকে 6 মাসের কারাদণ্ড এবং 30,000 টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ প্রধান অভিযুক্ত ডেরভি ডি'সুজাকে আইপিসি ধারা 366 (অপহরণ) এর অধীনেও সাত বছরের কারাদণ্ড এবং 25,000 টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং আইপিসি ধারা 343 (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা) এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য আরও দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে ।

বিচারক বলেন, সাজা একই সঙ্গে চলবে । চার্জশিটে বলা হয়েছে, নিগৃহীতার বয়স যখন 15 বছর, তখন সে তার মায়ের সঙ্গে থাকত, কারণ বাবার মৃত্যু হয়েছিল ৷ ডেরভি ডি'সুজা প্রায়ই তাদের বাড়িতে যেত এবং নিগৃহীতার মাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করত । 2016 সালে তাদের বাড়িতে গিয়ে নাবলিকাকে ডেরভি যৌন নির্যাতন করে ।

আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে যুবককে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন, গ্রেফতার তিন মহিলা-সহ 6

ওই কিশোরী তার মাকে এ বিষয়ে জানালেও কোনও লাভ হয়নি ৷ এরপরেও বহুবার মায়ের প্রশ্রয়েই তার মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেছে ডি'সুজা ৷ প্রতিবেশীরা সন্দেহ প্রকাশ করা শুরু করলে, ডেরভি ডি'সুজা মেয়েটি এবং তার মাকে 2016 সালে মেলভিনের বাড়িতে নিয়ে যায় ৷ সেখানেও সেই কিশোরীর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে । সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গত 17 ডিসেম্বর জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে । এরপর তার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং বিস্তারিত তদন্তের পর চার্জশিট দাখিল করা হয় । বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ভেঙ্কটরমানস্বামী বিচার চলাকালীন মোট 20 জন সাক্ষীর বক্তব্য খুঁটিয়ে দেখেছেন ৷ বিচারক তাঁর আদেশে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে নিগৃহীতা কিশোরীকে 1 লাখ টাকা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন ।

ম্যাঙ্গালুরু, 8 ডিসেম্বর: মায়ের প্রশ্রয়েই দিনের পর দিন লালসার শিকার হয়েছে নাবালিকা কন্যা (Minor raped in Mangaluru)৷ কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুর (Mangaluru Rape Case) এই ঘটনায় যৌন নির্যাতনের শিকার নাবালিকার মা-সহ (Mother among three sentenced to imprisonment) তিনজনকে কারাদণ্ডের সাজা শোনাল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত ৷ 2016 সালে টানা এক বছর ধরে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনে প্রধান অভিযুক্ত 49 বছর বয়সি ব্যক্তিকে পস্কো আইনে 15 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত ৷

বিচারক কেএম রাধাকৃষ্ণ দোষী সাব্যস্ত হওয়া কোটেকরের চিত্রশিল্পী ডেরভি ডি'সুজাকে 50,000 টাকা জরিমানা করেছেন ৷ তাকে অপরাধে সাহায্য করত নিগৃহীতার মা ৷ তাকেও পক্সো আইনের 17 নং ধারায় (যৌন নির্যাতনের প্ররোচনা) 14 বছরের হাজতবাস ও 25,000 টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ আরেকজন অভিযুক্ত মেলভিন ডি'সুজা, যে নিগৃহীতা ও তার মাকে আশ্রয় দিয়েছিল, সে অভিযোগ না জানানোয় তাকে 6 মাসের কারাদণ্ড এবং 30,000 টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ প্রধান অভিযুক্ত ডেরভি ডি'সুজাকে আইপিসি ধারা 366 (অপহরণ) এর অধীনেও সাত বছরের কারাদণ্ড এবং 25,000 টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং আইপিসি ধারা 343 (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা) এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য আরও দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে ।

বিচারক বলেন, সাজা একই সঙ্গে চলবে । চার্জশিটে বলা হয়েছে, নিগৃহীতার বয়স যখন 15 বছর, তখন সে তার মায়ের সঙ্গে থাকত, কারণ বাবার মৃত্যু হয়েছিল ৷ ডেরভি ডি'সুজা প্রায়ই তাদের বাড়িতে যেত এবং নিগৃহীতার মাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করত । 2016 সালে তাদের বাড়িতে গিয়ে নাবলিকাকে ডেরভি যৌন নির্যাতন করে ।

আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে যুবককে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন, গ্রেফতার তিন মহিলা-সহ 6

ওই কিশোরী তার মাকে এ বিষয়ে জানালেও কোনও লাভ হয়নি ৷ এরপরেও বহুবার মায়ের প্রশ্রয়েই তার মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেছে ডি'সুজা ৷ প্রতিবেশীরা সন্দেহ প্রকাশ করা শুরু করলে, ডেরভি ডি'সুজা মেয়েটি এবং তার মাকে 2016 সালে মেলভিনের বাড়িতে নিয়ে যায় ৷ সেখানেও সেই কিশোরীর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে । সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গত 17 ডিসেম্বর জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে । এরপর তার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং বিস্তারিত তদন্তের পর চার্জশিট দাখিল করা হয় । বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ভেঙ্কটরমানস্বামী বিচার চলাকালীন মোট 20 জন সাক্ষীর বক্তব্য খুঁটিয়ে দেখেছেন ৷ বিচারক তাঁর আদেশে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে নিগৃহীতা কিশোরীকে 1 লাখ টাকা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.