ETV Bharat / bharat

Non Muslim Studying in Madrasas: মুসলিম নয় এমন 749 শিক্ষার্থী পড়ছে উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসাগুলিতে, কারণ খুঁজছে প্রশাসন

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 8, 2023, 7:09 PM IST

মুসলিম নয় এমন পরিবারের 749 শিক্ষার্থী পড়ছে উত্তরাখণ্ডের তিনটি জেলার 30টি মাদ্রাসায় ৷ বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসার পরই তার কারণ খুঁজতে নেমেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর ৷

Madrasas
উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসা

দেরাদুন, 8 নভেম্বর: দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসাগুলিতে পড়াশোনা করছে মুসলিম নয় এমন 749 জন ছাত্র-ছাত্রী ৷ এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে উত্তরাখণ্ড শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি রিপোর্টে ৷ ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের মোট তিনটি জেলায় 30টি মাদ্রাসায় মুলসিম নয় এমন ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করছে ৷

জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ড শিশু সুরক্ষা কমিশন দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে শিশুদের হেনস্তা-সহ একাধিক মামলার তদন্ত করছে। কমিশন অভিযোগ পেয়েছিল যে অনেক স্কুল নিয়ম উপেক্ষা করে কাজ করছে ৷ তাই সেই অভিযোগের তদন্ত করছিল উত্তরাখণ্ড শিশু সুরক্ষা কমিশন ৷ এই তদন্ত চলাকালীনই মাদ্রাসায় মুসলিম নয় এমন ছাত্রদের পড়ার খবর সামনে আসে ৷ তদন্তে জানা গিয়েছে হরিদ্বার, উধম সিং নগর এবং নৈনিতালের মতো জেলাগুলিতে স্কুলের পাশাপাশি মাদ্রাসাও পরিচালিত হচ্ছে । সেখানে তিনটি জেলার 30টি মাদ্রাসায় 749 জন মুসলিম নয় এমন পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণ করছে । শিশু সুরক্ষা কমিশন, শিক্ষা দফতর এবং রাজ্য সরকার খতিয়ে দেখছে কী কারণে এইসব ছাত্রদের মাদ্রাসায় পড়তে হচ্ছে এবং কতদিন ধরে তারা সেখানে পড়ছে ৷

ইটিভি ভারত এই বিষয়ে উত্তরাখণ্ড শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন গীতা খান্নার সঙ্গে কথা বলেছে । তিনি বলেন, "কমিশন দীর্ঘদিন ধরে স্কুলগুলির বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পেয়ে আসছে ৷ যে কারণে আমরা তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিই । তদন্তে উঠে এসেছে যে, একদিকে স্কুল ও অন্যদিকে অনেক জায়গায় মাদ্রাসা চলছে । এই মাদ্রাসাগুলিতে অনেক হিন্দু পরিবারের ছেলেমেয়েরাও পড়ছে ।" এরপরেই তিনি অবিলম্বে উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা কাউন্সিল থেকে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট তলব করেন । ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুসলিম নয় এমন পরিবারের 749 জন ছাত্রছাত্রী তিনটি জেলার মাদ্রাসায় পড়ছে।

মুসলিম নয়, এমন পরিবারগুলিকে কী বাধ্য করা হয়েছে বাচ্চাদের মাদ্রাসায় পড়াতে ৷ সন্তানদের কোনও স্কুলে না-পাঠিয়ে মাদ্রাসায় কেন ভরতি করা হল? এসবের পেছনে কোনও আর্থিক লাভ-ক্ষতির ব্যাপার আছে কি না, তা কমিশনের পাশাপাশি শিক্ষা দফতরও খতিয়ে দেখছে । এই প্রসঙ্গে উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান মুফতি শাহমুন কাজমি বলেছেন, "আমার কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল ৷ আমি শিশু সুরক্ষা কমিশনে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছি । তবে দেরাদুনের সমীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি । তাই সেই তথ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনকে দেওয়া ওই রিপোর্টে নেই ৷ বর্তমানে তিন জেলার রিপোর্ট আমরা কমিশনে দিয়েছি ।"

আরও পড়ুন: রমরমিয়ে চলছিল বেআইনি মাদ্রাসা, ভরতি হওয়া 24 শিশুকে উদ্ধার করল পুলিশ

মুফতির দাবি, যদিও মুসলিম নয় এমন ছেলেমেয়েরা মাদ্রাসায় পড়ছে ৷ তবে তাদের কোনও ধরনের উর্দু-ফার্সি শিক্ষা বা মুসলিম শিশুরা যে শিক্ষা গ্রহণ করছে তা দেওয়া হয় না ৷ বরং তাদের এনসিইআরটি কোর্সের অধীনে পড়াশোনা করানো হচ্ছে । তাঁর কথায়, কেউ যদি মনে করেন যে ধর্মীয় বা অন্য কোনও চাপে তাদের মাদ্রাসায় পড়ার জন্য ডাকা হয়েছে, তাহলে তা ভুল এবং এর তদন্ত হওয়া উচিত । অন্যদিকে, এই রিপোর্ট নিয়ে উত্তরাখণ্ড সরকারকে চিঠি পাঠিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিশু সুরক্ষা কমিশন ।

দেরাদুন, 8 নভেম্বর: দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসাগুলিতে পড়াশোনা করছে মুসলিম নয় এমন 749 জন ছাত্র-ছাত্রী ৷ এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে উত্তরাখণ্ড শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি রিপোর্টে ৷ ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের মোট তিনটি জেলায় 30টি মাদ্রাসায় মুলসিম নয় এমন ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করছে ৷

জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ড শিশু সুরক্ষা কমিশন দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে শিশুদের হেনস্তা-সহ একাধিক মামলার তদন্ত করছে। কমিশন অভিযোগ পেয়েছিল যে অনেক স্কুল নিয়ম উপেক্ষা করে কাজ করছে ৷ তাই সেই অভিযোগের তদন্ত করছিল উত্তরাখণ্ড শিশু সুরক্ষা কমিশন ৷ এই তদন্ত চলাকালীনই মাদ্রাসায় মুসলিম নয় এমন ছাত্রদের পড়ার খবর সামনে আসে ৷ তদন্তে জানা গিয়েছে হরিদ্বার, উধম সিং নগর এবং নৈনিতালের মতো জেলাগুলিতে স্কুলের পাশাপাশি মাদ্রাসাও পরিচালিত হচ্ছে । সেখানে তিনটি জেলার 30টি মাদ্রাসায় 749 জন মুসলিম নয় এমন পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণ করছে । শিশু সুরক্ষা কমিশন, শিক্ষা দফতর এবং রাজ্য সরকার খতিয়ে দেখছে কী কারণে এইসব ছাত্রদের মাদ্রাসায় পড়তে হচ্ছে এবং কতদিন ধরে তারা সেখানে পড়ছে ৷

ইটিভি ভারত এই বিষয়ে উত্তরাখণ্ড শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন গীতা খান্নার সঙ্গে কথা বলেছে । তিনি বলেন, "কমিশন দীর্ঘদিন ধরে স্কুলগুলির বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পেয়ে আসছে ৷ যে কারণে আমরা তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিই । তদন্তে উঠে এসেছে যে, একদিকে স্কুল ও অন্যদিকে অনেক জায়গায় মাদ্রাসা চলছে । এই মাদ্রাসাগুলিতে অনেক হিন্দু পরিবারের ছেলেমেয়েরাও পড়ছে ।" এরপরেই তিনি অবিলম্বে উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা কাউন্সিল থেকে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট তলব করেন । ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুসলিম নয় এমন পরিবারের 749 জন ছাত্রছাত্রী তিনটি জেলার মাদ্রাসায় পড়ছে।

মুসলিম নয়, এমন পরিবারগুলিকে কী বাধ্য করা হয়েছে বাচ্চাদের মাদ্রাসায় পড়াতে ৷ সন্তানদের কোনও স্কুলে না-পাঠিয়ে মাদ্রাসায় কেন ভরতি করা হল? এসবের পেছনে কোনও আর্থিক লাভ-ক্ষতির ব্যাপার আছে কি না, তা কমিশনের পাশাপাশি শিক্ষা দফতরও খতিয়ে দেখছে । এই প্রসঙ্গে উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান মুফতি শাহমুন কাজমি বলেছেন, "আমার কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল ৷ আমি শিশু সুরক্ষা কমিশনে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছি । তবে দেরাদুনের সমীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি । তাই সেই তথ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনকে দেওয়া ওই রিপোর্টে নেই ৷ বর্তমানে তিন জেলার রিপোর্ট আমরা কমিশনে দিয়েছি ।"

আরও পড়ুন: রমরমিয়ে চলছিল বেআইনি মাদ্রাসা, ভরতি হওয়া 24 শিশুকে উদ্ধার করল পুলিশ

মুফতির দাবি, যদিও মুসলিম নয় এমন ছেলেমেয়েরা মাদ্রাসায় পড়ছে ৷ তবে তাদের কোনও ধরনের উর্দু-ফার্সি শিক্ষা বা মুসলিম শিশুরা যে শিক্ষা গ্রহণ করছে তা দেওয়া হয় না ৷ বরং তাদের এনসিইআরটি কোর্সের অধীনে পড়াশোনা করানো হচ্ছে । তাঁর কথায়, কেউ যদি মনে করেন যে ধর্মীয় বা অন্য কোনও চাপে তাদের মাদ্রাসায় পড়ার জন্য ডাকা হয়েছে, তাহলে তা ভুল এবং এর তদন্ত হওয়া উচিত । অন্যদিকে, এই রিপোর্ট নিয়ে উত্তরাখণ্ড সরকারকে চিঠি পাঠিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিশু সুরক্ষা কমিশন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.