রুরকি (উত্তরাখণ্ড), 2 ফেব্রুয়ারি: ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করে দিয়েছিলেন (Dead Gyan Devi becomes alive in Roorkee)৷ শেষকৃত্যের জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দেন পরিবারের লোকজন ৷ কিন্তু সৎকারের কয়েক মুহূর্তে আগে হঠাৎ নড়চড়ে উঠলেন 109 বছরের বৃদ্ধা ৷ চোখ মেলে তাকালেনও ৷ তাই দেখে হতবাক উপস্থিত সবাই ৷ উত্তরাখণ্ডের রুরকির ঘটনা (Dead Dadi Becomes Alive)৷
মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তার: 109 বছরের জ্ঞান দেবী ৷ রুরকির মঙ্গলৌর এলাকার নরসান খুর্দ গ্রামের বাসিন্দা ৷ কয়েক সপ্তাহ ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন ৷ 31 জানুয়ারি হঠাৎ তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান । নাতি বিনোদ এবং জামাতা মাঙ্গে রাম-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে একজন ডাক্তারকে বাড়িতে ডেকে আনেন ৷ ডাক্তার পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে ৷ আত্মীয়রা জ্ঞান দেবীর শেষকৃত্যের প্রস্তুতি শুরু করে ৷ বৃদ্ধার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন গ্রামবাসীরাও ৷
শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার আগেই চোখ মেলে তাকালেন বৃদ্ধা: বৃদ্ধার দেহ খাটিয়ায় তুলে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার তোরজোর শুরু হয় ৷ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট আগে এক আত্মীয়ের চোখ পড়ে জ্ঞান দেবীর উপর ৷ তাঁকে নড়াচড়া করতে দেখেন সেই আত্মীয় ৷ তিনি সবাইকে বিষয়টি বললে প্রথমে অনেকে বিশ্বাস করতে চাননি ৷ এরপরই যাবতীয় জল্পনা কাটিয়ে সবাইকে হতবাক করে চোখ মেলে তাকান বৃদ্ধা ৷
আরও পড়ুন: হাসপাতালে যাওয়ার পথে গাড়িতে আগুন, পুড়ে মৃত গর্ভবতী ও তাঁর স্বামী
আনন্দিত বাড়ির লোকজন: বৃদ্ধার নাতি বিনোদ ইটিভি ভারতকে জানিয়েছেন, "সকাল 8টার দিকে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন । তাই আমরা একজন ডাক্তারকে ডেকেছিলাম ৷ যিনি বলেন যে, তিনি (ঠাকুমা) মারা গিয়েছেন । তারপরে আমরা সৎকারের প্রস্তুতি শুরু করি । আমাদের আত্মীয়রাও আসতে শুরু করেন এবং আমরা দাহ করার জন্য জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করছি । বিকাল 3টের মধ্যে হঠাৎ করে তিনি জ্ঞান ফিরে পান এবং তাঁর হাত-পা নাড়াচাড়া করেন । সবাই অবাক হয়ে যাই ৷"
বিনোদ আরও বলেন, "সবাই তাঁকে জিজ্ঞেস করতে থাকেন তিনি কিছু খেতে চান কি না । কেউ কেউ জিজ্ঞেস করেন তিনি কি রসগোল্লা খেতে চান ? তিনি বলেন না । তখন আমার এক ভাই জিজ্ঞেস করে 'দাদি, আপনি কি চাট খেতে চান ?' তিনি বলেন 'হ্যাঁ!'। তারপর আমরা চাট নিয়ে এসেছি । তিনি এটি জমিয়ে খান ৷ স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে শুরু করেন । প্রায় 6 থেকে 7 ঘণ্টা তিনি মৃতের মতো পড়েছিলেন ৷" বিনোদ জানান, তাঁর ঠাকুমার বয়স প্রায় 109 বছর ।
অলৌকিক, বলছে পরিবার: বৃদ্ধার জামাই মাঙ্গে রামও ঘটনার কথা জানিয়ে বলেন যে এটি একটি 'অলৌকিক' ঘটনা । তাঁর কথায়, "তিনি (বৃদ্ধা) যখন চোখ খুললেন, তখন আমরা বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না ৷ সবাই খুব আনন্দিত হয় ৷"