দিল্লি, 26 জানুয়ারি: সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষক বিক্ষোভে উত্তপ্ত দিল্লিতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ও আইনশৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করতে অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে হওয়া উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার কৃষক বিক্ষোভের জেরে রাজধানীতে তীব্র উত্তেজনা ছড়ানোর পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা, দিল্লির পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব-সহ পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই অতিরিক্ত আধা সামরিক বাহিনী মোতানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দিল্লির সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত বাহিনী। তবে ঠিক কত সংখ্যক অতিরিক্ত বাহিনী আনা হচ্ছে তা এখনই স্পষ্টভাবে জানা না-গেলেও আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সংখ্যাটা 1,500 থেকে 2,000 হতে পারে। সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ইতিমধ্যেই রাজধানীতে 4,500 আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
এদিন বিক্ষোভ চরম আকার নিলে সিঙ্ঘু, গাজিপুর, টিকরি, মুকারবা চক ও নাঙ্গলোইতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:দিল্লি-লালকেল্লা দখল কৃষকদের, দিনভর তপ্ত রাজধানী দেখল মৃত্যুও
26 জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দিল্লি। তবে যে এলাকায় মিছিলের অনুমতি ছিল না, সেখানেও এ দিন কৃষকরা ট্র্যাক্টর নিয়ে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে৷ তা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ পুলিশের সঙ্গে বাঁধে খণ্ডযুদ্ধ। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। লাঠিচার্জও করা হয়। বিক্ষোভকারীদের একাংশ লালকেল্লায় পৌঁছে সেখানে তাদের পতাকাও তুলে দেয়৷ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে দিল্লির কয়েকটি জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ দিল্লি মেট্রোর বেশ কয়েকটি স্টেশনের প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়৷