ইম্ফল (মণিপুর), 5 মে: আপাত শান্ত মণিপুর ৷ বুধবার থেকে সংঘর্ষের জেরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে প্রসাসনের দাবি ৷ প্রতিবেশী রাজ্যগুলি থেকে সড়ক ও আকাশ পথে আরও সেনা আনা হয়েছে শুক্রবার ৷ এ দিন সকালে একটি উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর গুলির লড়াইয়ের খবরও পাওয়া গিয়েছে ৷ তবে সেই সংঘর্ষে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি ৷
মণিপুরে সেনা ও অসম রাইফেলস মিলিয়ে প্রায় 10 হাজার জওয়ান ইতিমধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে ৷ নয়াদিল্লির একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, সিআরপিএফের পাঁচজন ডিআইজি, সাতজন এসএসপি ও এসপি পদমর্যাদার আধিকারিককে সেনা মোতায়েন নিয়ে সমন্বয় সাধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ সিএপিএফ, সিআরপিএফ ও বিএসএফের 20 কোম্পানি পাঠানো হয়েছে উত্তর পূর্ব ভারতের ওই রাজ্যে ৷
ওই রাজ্য়ের উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ৷ অনেকে আহত হয়েছে৷ ইতিমধ্যে 500 জনকে পশ্চিম ইম্ফলের লাঙ্গোল এলাকা থেকে বের করে এনেছে সেনাবাহিনীর শিখ রেজিমেন্ট ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর সরকারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করছেন ৷ পরিস্থিতির সম্পর্কে সব তথ্য নিচ্ছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
প্রসঙ্গত, মণিপুর নাগা ও কুকি উপজাতিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মেটেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতি মর্যাদা দেওয়ার প্রতিবাদে একটি ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ আয়োজন করা হয়েছিল ৷ ওই মিছিলের পরই বুধবার থেকে ওই রাজ্য়ের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ ৷ তার জেরেই মণিপুরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ বৃহস্পতিবার সেখানকার রাজ্যপালের তরফে বিবৃতি দিয়ে শুট অ্যাট সাইটের অর্ডার দেওয়া হয় ৷
এদিকে মণীপুরগামী বেশকিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে ৷ সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা মাথায় এই সিদ্ধান্ত বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ট্রেন চলবে বলেও জানানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: হামলায় আশংকাজনক অবস্থা বিজেপি বিধায়কের, মণিপুরে জারি 355 ধারা