আইজল, 3 নভেম্বর : আসামে বসবাসকারী মিজ়োদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সেখানকার স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি দিলেন মিজ়োরামের স্বরাষ্ট্রসচিব লাইবিয়াকসাংগি ৷ অসমে তৈরি হওয়া উত্তেজনার মধ্য়েই ভাইরেংতে মিজোরামের এক বাসিন্দার মৃত্য়ুর প্রেক্ষিতে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে ৷ অসমের স্বরাষ্ট্রসচিব জিডি ত্রিপাঠীকে সেই চিঠিতে লাইবিয়াকসাংগি লিখেছেন, আসামে বসবাসকারী কোনও মিজোর বিরুদ্ধে যেন প্রতিশোধমূলক আচরণ না করা হয় ৷
প্রসঙ্গত, গত একমাস ধরে আসাম-মিজোরাম সীমানায় বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ৷ অনেক বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুরও চালিয়েছে একদল দুষ্কৃতী ৷ সেখানে ইনতাজুল নামে এক ব্য়ক্তিকে মাদক পাচারে পাকড়াও করার পর থেকেই এই উত্তেজনা শুরু হয় ৷ যার পরিপ্রেক্ষিতেই এই কথা বলেছেন মিজোরামের স্বরাষ্ট্রসচিব ৷ সেই চিঠিতে তিনি লেখেন, আসামে বসবাসকারী মিজো সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করুক সেখানকার সরকার ৷ পাশাপাশি শিলচরে অবস্থিত মিজোরাম হাউসেরও নিরাপত্তা বাড়াতে বলা হয়েছে ৷ চাছর, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্ডিতে গত কয়েকদিন ধরে ট্রাক ও ট্য়াঙ্কার জ্বালানো হচ্ছে ৷ সে নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করেন লাইবিয়াকসাংগি ৷ পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়, যখন ইনতাজুল লস্করের মৃত্য়ু হয় ৷ জানা গিয়েছে সে মাদক সরবরাহ করত ৷ তার বাড়ি চাছর জেলায় ৷ ইনতাজুলকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে আসাম সরকার ৷ তার শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল ৷ সেই অবস্থাতেই পালাতে গিয়ে তার মৃত্য়ু হয় ৷ মিজোরামের এক জনসংযোগ আধিকারিক জানান, সাময়ীক এই উত্তেজনা সাম্প্রদায়িক সঙ্ঘাতে পরিণত হতে পারে ৷ এই আশঙ্কায় কয়েকজন মিজো মণিপুরের জিরিবামে পালিয়ে গিয়েছেন ৷
আসামের পদস্থ এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ইনতাজুল লস্করকে 420 গ্রাম মাদক সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৷ পুলিশ জানিয়েছে, লস্কর গুরুতরভাবে জখম হওয়ার পর মিজো অ্যাসোসিয়েশনের যুবকদের খপ্পর থেকে পালানো চেষ্টা করে ৷ তাঁরাই লস্করকে প্রথম মাদকের প্য়াকেট সহ ধরেছিল ৷ ইনতাইজুল লস্করের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ৷ সেই পুরো পদ্ধতিটি রেকর্ডও করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ৷