নয়াদিল্লি, 7 জুলাই : 2014 সাল । গোটা দেশে তখন নরেন্দ্র মোদির স্তুতি । মোদি ম্যাজিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লির তখতে বসল বিজেপি । নতুন সরকার গঠনের পরেই আশার আলো জাগিয়েছিলেন মোদি । বলেছিলেন মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্নেন্স । অর্থাৎ, সরকারের বিশেষত মন্ত্রিসভার আকার-আয়তন যতটা সম্ভব ছোট করে নাগরিক পরিষেবাকে সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাওয়া ।
শুরুটা করেছিলেনও সেইরকমভাবেই । 2014 সালে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা ছিল অনেকটাই ছোট । 2019 সালে মোদির দ্বিতীয় জমানাতেও যখন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়, তার আকার-আয়তন ছোটই রাখা হয় । রাজনীতিবিদদের অনেকেই এতদিন ধরে বলতেন, ছোট মন্ত্রিসভাতেই বিশ্বাস রাখেন মোদি ।
কিন্তু আজকের রদবদলের পর সেই চিন্তাটা যেন পুরোটাই ওলট-পালট হয়ে গেল । কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি দাঁড়াল, তাতে মোট 81 জন মন্ত্রী । মন্ত্রিসভায় শাসক দল কতজন সদস্য রাখবে, বেশি না কম... তা একান্ত সেই দলের বিষয় । কিন্তু দেশ যখন এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, যখন করোনার ধাক্কায় বেসামাল অর্থনীতি তখন মন্ত্রিসভাকে এতটা সম্প্রসারণ করা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ।
আরও পড়ুন : বাংলার সরোবরে ফুটে ওঠার আগেই কি শুকিয়ে যাবে পদ্মের পাপড়ি ?
মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়ানো মানেই সেখানে একটি অতিরিক্ত খরচ । মন্ত্রীদের গাড়ির খরচ, তাঁদের ভাতা, আবাসন... সব মিলিয়ে বড় অঙ্কের বাড়তি খরচ । এখন করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই বাড়তি খরচ কেন ? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছেন অনেকে ।