নয়াদিল্লি, 26 মার্চ: অল্পের জন্য় মাঝ আকাশে রক্ষা পেল দুটি বিমান ৷ এড়ানো গিয়েছে বড়সড় বিপত্তিও ৷ এয়ার ইন্ডিয়া এবং নেপাল এয়ারলাইন্সের দুটি বিমান এদিন প্রায় মুখোমুখি চলে আসে ৷ যদিও সেই বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে ৷ এই ঘটনায় নেপালের সিবিল অ্য়াভিয়েশন অথরিটির দু'জন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ (Mid-air collision avoided between Air India Nepal Airlines)
জানা গিয়েছে, নেপাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি মালয়েশিয়া থেকে কাঠমান্ডু আসছিল ৷ অন্য়হিকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি নয়াদিল্লি থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিল ৷ দুটি বিমান একই সঙ্গে নেপালের ত্রিভূবন বিমানবন্দরে অবতরণ করতে যাচ্ছিল ৷ জানা গিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি প্রায় 19 হাজার ফুট উপর থেকে এবং নেপাল এয়ারলায়েন্সের বিমানটি 15 হাজার ফুট উঁচু থেকে একই জায়গায় অবতরণ করছিল ৷ আচমকা কাছাকাছি চলে আসে দুটি বিমান ৷
যদিও নেপাল এয়ার লায়েন্সের পাইলট প্রায় সাত হাজার ফুট নিচে বিমান নামিয়ে দেয় ৷ মুখোমুখি হলে তো বটেই, নেপালের পাহাড় ঘেরা ত্রিভূবন বিমান বন্দরে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত ৷ অবশ্য় বিপত্তি ঘটতে গিয়েও অল্পের জন্য় দুটি বিমানই রক্ষা পেয়েছে ৷ এই ঘটনার আগেই অবশ্য় জানুযারির বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল নেপালের সিভিল অ্য়াভিয়েশন অথরিটি। তার রিপোর্ট আসার আগে ফের বিপত্তি এল নেপাল বিমান বন্দরে ৷
আরও পড়ুন: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক ! অভিনন্দনবার্তা রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর
সিভিল অ্য়াভিয়েশন অথরিটি অফ নেপালের মুখপাত্র জগন্নাথ নিরৌলা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় নেপাল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের দুই কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, এর আগেও একবার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে নেপালে। সেই দুর্ঘটনায় 71 জনের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে 5 জন ভারতীয় ছিলেন। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে সেতি নদীর উপর ভেঙে পড়ে বিমানটি ৷ সেই ঘটনার কারণ হিসাবেও গাফিলতিকে দায়ী করা হয়েছিল ৷