নয়াদিল্লি, 21 অগস্ট: মণিপুর ইস্যুতে জম্মু এবং কাশ্মীর হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তালের নেতৃত্বে যে কমিটি সুপ্রিম কোর্ট গঠন করেছিল, তারা সোমবার জানিয়েছে, চলতি বছর মে মাস থেকে জাতিগত হিংসায় আক্রান্তদের যাবতীয় যে নথিগুলি ধ্বংস বা হারিয়ে গিয়েছে তা ফের তৈরি করা হবে ৷
দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে, কমিটি এই মাসের শুরুতে মণিপুরের সব পক্ষের সঙ্গে দেখা করার পর শীর্ষ আদালতে তিনটি পৃথক রিপোর্ট দাখিল করেছে। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণে জানান, কমিটির দ্বারা জমা দেওয়া প্রথম রিপোর্টে রাজ্যের মানুষের প্রয়োজনীয় নথি হারানোর বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে ৷
কমিটির যাবতীয় রিপোর্টগুলি পরীক্ষা করার পর প্রধান বিচারপতি জানান, কমিটি এই নথিগুলির পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য একজন নোডাল অফিসার নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি আবেদনকারী এবং মণিপুর সরকার উভয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে জানান, দ্রুত আধার কার্ড অন্ত তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে ৷ কারণ এখন আধার কার্ডের মাধ্যেই অনেক পরিষেবা দেওয়া হয় ৷ এমনকী যা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গেও যুক্ত ৷
এই কমিটিতে বিচারপতি শালিনী ফাঁসালকার জোশী এবং আশা মেননও রয়েছেন ৷ উভয়ই হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। শীর্ষ আদালত উল্লেখ করেছে যে, কমিটির দ্বিতীয় রিপোর্টটি মণিপুরে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে ৷ শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই ক্ষতিপূরণ প্রকল্পটি জাতীয় আইনী পরিষেবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত স্কিমগুলির মতোই হওয়া উচিত। কমিটি আরও নির্দেশ করেছে যে, একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যিনি একটি প্রকল্প থেকে সুবিধা পেয়েছেন, তাকে ক্ষতিপূরণ প্রকল্পের অধীনে সুবিধার জন্য বিবেচনা করা হবে না।
আরও পড়ুন: গণধর্ষণের শিকার 11 বছরের নাবালিকার গর্ভপাত হবে এসএসকেএমে, জানাল হাইকোর্ট
শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে যে, অন্যান্য রাজ্য থেকে যদি অন্য কোনও স্কিমের অধীনে সুবিধা পেয়ে থাকে তবে এই স্কিমের অধীনে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করার সময় তাও বিবেচনা করা হবে। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কমিটির রিপোর্টগুলির মূল ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করে যেখানে কাজ করা দরকার, তার মধ্যে অবশ্যই হিংসার শিকার মহিলাদের পুনর্বাসন, মানসিক সহায়তা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা, ত্রাণ শিবির এবং পর্যবেক্ষণ। শীর্ষ আদালত বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য শুক্রবার দিন ধার্য করে।