তেজপুর, 29 জুলাই: দেশ লজ্জিত ৷ মণিপুরে কুকি সম্প্রদায়ের দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনাকে এই ভাবেই ব্যাখ্যা করলেন সে রাজ্যের রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকে ৷ শনিবার তিনি মণিপুরের একাধিক ত্রাণ শিবির পরিদর্শণে যান ও ঘরছাড়াদের সাহায্য তুলে দেন ৷ নির্যাতিতা ওই দুই মহিলার পরিবারের হাতে এদিন 10 লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন রাজ্যপাল ৷
উল্লেখ্য, শনিবারই মণিপুরে পৌঁছেছে 26টি বিরোধী দলের 'ইন্ডিয়া' জোটের 20 জনের প্রতিনিধি দল ৷ আর এদিনই ত্রাণ শিবিরে গেলেন রাজ্যপাল ৷ এদিন প্রথমে 36 অসম রাইফেলের হেলিপ্যাডে পৌঁছন অনুসূয়া উইকে ৷ সেখান থেকে তিনি প্রথমে যান সেন্ট পল ইনস্টিটিউটের ত্রাণ শিবিরে ৷ এরপর তিনি যান রেঙ্গকাই এলাকার ইয়ং লার্নারস স্কুলে ৷ এই দুই ত্রাণ শিবিরে প্রায় 160 থেকে 170 জন আশ্রয় নিয়েছেন ৷ এদিন রাজ্যপাল ত্রাণ শিবিরগুলি ঘুরে দেখেন ও সেখানে স্থান নেওয়া ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ তাঁদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী ও আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকে ৷ কথা বলেন বাচ্চাদের সঙ্গেও ৷
আরও পড়ুন: মণিপুরে বিবস্ত্র ভিডিয়ো সংক্রান্ত প্রথম এফআইআর সিবিআইয়ের, ইম্ফলে পৌঁছল 'ইন্ডিয়া'
এদিন যুব সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে রাজ্যপাল আবেদন জানিয়েছেন আইন নিজেদের হাতে তুলে না-নেওয়ার জন্য ৷ বেআইনি ও অসামাজিক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্যও তিনি মণিপুরের যুব সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানান ৷ তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের সবরকমভাবে সাহায্য করবে সরকার ৷ রাজ্যে শান্তি স্থাপনে তিনি সাধ্য মতো চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন অনুসূয়া উইকে ৷ এদিন টুইবং এলাকায় প্রাক্তন সেনাকর্মীদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন মণিপুরের রাজ্যপাল ৷ সেখানে একাধিক কুকি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ উল্লেখ্য, বর্তমানে মণিপুরেই রয়েছেন বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা ৷ রবিবার পর্যন্ত 2টি দলে ভাগ হয়ে একাধিক এলাকার ত্রাণ শিবিরে যাওয়ার কথা তাঁদের ৷ তাঁরা কথা বলতে পারেন রাজ্যপালের সঙ্গেও ৷