ওয়ারাঙ্গল(তেলেঙ্গানা), 2 নভেম্বর: 30 বছর আগে তাঁর বাবা-মার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় (Parents got separated) । দুজনে আলাদা হওয়ার পর বাবার কাছ থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার কথা ছিল মায়ের ৷ কিন্তু তিনি তা পাননি ।
তখন ছেলেটি ছোট ছিল এবং সে স্কুলে পড়ত ৷ মায়ের সঙ্গে ভরণপোষণের জন্য একাধিকবার আদালতে যেতে হয়েছে তাকে । কিন্তু কোনও ফল হয়নি । তবে সে মায়ের সঙ্গে লড়াই করা বন্ধ করেনি । এর মধ্যে পেরিয়ে গিয়েছে 30টা বছর ৷ আজ সেই ছেলেই আইনকে পেশা করেছেন । তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন ৷ শুধু তাই নয় মায়ের হয়ে মামলা লড়ে বাবার থেকে ভরণপোষণ দেওয়াতে সফল হয়েছেন তিনি ৷
ঘটনাটি 1971 সালের ৷ রায়পার্থী মন্ডলের সান্নুর গ্রামের বাসিন্দা সুলোচনা (Sulochana) ওয়ারঙ্গল শহরের বাসিন্দা পামু সোমায়ার (Pamu Somayya) সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । তাদের দুই ছেলে শরৎ বাবু (Sarath Babu) ও রাজা রবিকিরণ (Raja Ravikiran) । স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত । শেষ পর্যন্ত 1992 সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় । সুলোচনা তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে আসেন ৷ সেখানেই তাঁদের মানুষ করেন ।
সেই সময়ে সুলোচনা তাঁর স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ পেতে ওয়ারঙ্গল জেলা আদালতের (Warangal District Court) দ্বারস্থ হন । কিন্তু আইনজীবী সেবিষয়ে তাঁদের সঠিক তথ্য দেননি । বড় ছেলে শরৎ বাবু রায় পাওয়ার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন । এরপরই শরৎ তাঁর মাকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে আইনজীবী হতে চান (Man studied LAW to win his mothers alimony case) ।
প্রথমে তাঁদের পারিবারিক আর্থিক অবস্থার কারণে শরৎ একটি প্রাইভেট চাকরি করেন । তারপর 2019 সালে এলএলবি শেষ করে আইন পেশায় যোগ দেন তিনি । 2021 সালের অগস্ট মাসে বাবার কাছ থেকে মায়ের ভরণপোষণের খরচার জন্য একটি মামলা দায়ের করেন শরৎ।
আরও পড়ুন: স্ত্রী প্রয়াত শুনে সংজ্ঞা হারালেন স্বামী, জ্ঞান ফিরল না আর !
লোক আদালতের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি হয় । 19 সেপ্টেম্বর রায় দেওয়া হয় ৷ যেখানে বলা হয়, সুলোচনাকে (62) তাঁর স্বামী সোমায়াকে (72) প্রতি মাসে 30 হাজার টাকা হারে ভরণপোষণ দিতে হবে । ছেলের জেদ ও লড়াইয়ের কাছে হার মানল সময় ও বাবা ৷ 30 বছর পর ন্যায্য বিচার পেলেন মা ৷ জিতে গেলেন শরৎ(Mother-Son Story) ৷