গুয়াহাটি,5 মার্চ: বাবার বিরুদ্ধে পাঁচ মাসের সন্তানকে মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অসমে। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । তবে ঠিক কী কারণে ওই ব্যক্তি নিজের একরত্তি সন্তানকে মারধর করেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয় (Police is yet to find out the cause of the incident)। অন্যদিকে, গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয়েছে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে । প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দুটি পা এবং একটি হাত ভেঙেছে। শরীরের অন্য কোথাও আঘাত লেগেছে কিনা তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
পুলিশ জানিয়েছে, গুয়াহাটির কাছে কালিপাহাড় এলাকার জার্নালিস্ট কলোনিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। স্ত্রীকে না জানিয়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে অলকেশ গোস্বামী নামে ওই ব্যক্তি। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়। এরপর শুক্রবার সকালেও শিশুটির কান্নার আওয়াজ শোনা যায়। কী ঘটেছে জানতে বাড়িতে যান এক মহিলা ।
এরপর ধীরে ধীরে গোটা ঘটনা স্পষ্ট হতে থাকে । স্থানীয়দের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সন্তানকে মারধরের ঘটনা স্বীকার করে স্বামী। খবর দেওয়া হয় পুলিশে । পাশাপাশি শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয় গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে । আপাতত সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে । অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ভগদত্তপুর থানা।
ঠিক কী কারণে সন্তানকে মারধর করল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। কোনও পারিবারিক অশান্তির জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি গোটা ঘটনায় শিশুটির মায়ের ভূমিকা কী ছিল সেটাও জানার চেষ্টা হচ্ছে। আগে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেছে কিনা তা জানতে পরিবার থেকে শুরু করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবে পুলিশ। তাছাড়া অলকেশের বন্ধুদের সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলছে পুলিশ। সম্প্রতি সে কোনও মানসিক অশান্তির স্বীকার হয়েছিল কি না সেটাও জানার চেষ্টা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুকুলের ম্যাজিক ? মেঘালয়ে সরকার গড়ার ঘোষণা করেও হোঁচট এনপিপি'র