নয়াদিল্লি, 7 জানুয়ারি: লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে মোদিকে অপমান করায় মলদ্বীপের তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করল সে দেশের সরকার ৷ সেইসঙ্গে বহু ভারতীয়রা সোশাল মিডিয়ায় মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দিলেন ৷ উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেখানে গিয়ে তিনি বেশকিছু ছবি শেয়ার করেছিলেন সোশালে ৷ ছবিগুলি ছিল সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ৷ সেই ছবি দেখে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেন মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী ৷ যা নিয়ে চলছিল জোর বিতর্ক। শেষমেশ চাপের মুখে পিছু হটল মালদ্বীপ সরকার ৷ যদিও তিন মন্ত্রীর চাকরি যাওয়ার খবরটি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সে দেশের পরিবহণ এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের ডেপুটি মিনিস্টার হাসান জিহান ৷
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরকে কটাক্ষ করে তাঁদের মন্ত্রিসভার তিন সদস্যের পদ খোয়ানোর খবরটিকে 'মিথ্যে খবর' বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বর্ণনা করেছেন ৷ কিন্তু মলদ্বীপের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজুর সরকার তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন বলে প্রথমে খবর রটে যায়। সেদেশেরই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ, মহম্মদ সোলি-সহ একাধিক বিরোধী নেতা মন্ত্রীদের রোষের মুখে পড়ে মালে সরকার ওই মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায় ৷
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, যারা এই জল্পনার আগে মলদ্বীপ ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা সোশাল মিডিয়ায় অনেকেই বিমানের টিকিট এবং হোটেল বুকিং বাতিল করার স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। তাতে তাঁরা লিখেছেন, 'বয়কট মলদ্বীপ' ৷ নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন, লাক্ষাদ্বীপে ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট-ভিসা কিছু লাগে না। তা সত্ত্বেও যে দেশের সরকার এবং জনগণ ভারতীয়গের ঘৃণা করে, সেই দেশে কেন যাব?
উল্লেখ্য, মলদ্বীপের অর্থনীতি অনেকটাই পর্যটন ব্যবসার উপরে নির্ভরশীল ৷ প্রতি বছর হাজার হাজার ভারতীয় মলদ্বীপে বেড়াতে যান ৷ ফলে ভারতীয়রা বিমুখ হতেই মলদ্বীপ সরকারের টনক নড়ে ৷ তড়িঘড়ি বিবৃতি দিয়ে মলদ্বীপ সরকার দাবি করে, মন্ত্রীদের করা ভারত বিরোধী মন্তব্যের দায় একান্তই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ৷ এর সঙ্গে মলদ্বীপ সরকারের কোনওরকম যোগ নেই ৷
আরও পড়ুন: