নয়াদিল্লি,9 মার্চ: প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য় করায় স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ পাঠানো হল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ৷ চলতি মাসের 25 তারিখের মধ্য়ে সেই নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে তৃণমূল সাংসদকে৷ যদিও এবিষয়ে মহুয়া মৈত্র জানিয়েছেন, তিনি এখনও কোনও নোটিস পাননি৷
একটি বেসরকারি টিভি চ্য়ানেল সূত্রে জানা গিয়েছিল মহুয়ার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে না কেন্দ্র৷ কিন্তু সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, মহুয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ তিনি বলেছিলেন, "এ ভাবে রাম মন্দির রায়, প্রধান বিচারপতি এবং অন্য়ান্য় প্রসঙ্গ তুলে ধরা গুরুতর ব্য়পার ৷ আমরা উপযুক্ত পদক্ষেপ করার কথা ভাবছি৷"
জোশীর সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হতে চলেছে৷ স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস পাঠানো হল মহুয়াকে৷ বিধি অনুযায়ী, সংসদে বিতর্কের সময় প্রতিটি সদস্য়কে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের সম্মানরক্ষার বিষয়টি স্মরণে রাখতে হবে৷ কিন্তু বিজেপির ওই সাংসদের মতে নিয়ম ভেঙেছেন মহুয়া৷ সেকারণে নোটিস পাঠানো পাঠানো হচ্ছে তাঁকে৷ যদিও নিজের বক্তব্য়ের কোথাও প্রধান বিচারপতির নাম উল্লেখ করেননি তিনি৷ অন্য় একটি সূত্রের খবর, সংসদের বিতর্কের সময় বর্তমান বিচারপতিদের সম্মান রক্ষার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে৷ প্রাক্তনদের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য় হবে কি না সেই প্রশ্নও উঠছে৷
আরও পড়ুন- সংসদে বক্তৃতার জন্য মহুয়ার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার
সংসদে কী বলেছিলেন মহুয়া যা নিয়ে এত বিতর্ক ?
9 ফেব্রুয়ারি৷ সেদিন বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য়ের উপর আলোচনা চলছিল৷ বক্তব্য় রাখছিলেন মহুয়া মৈত্র৷ তিনি বলেন, "দেশের বিচারব্য়বস্থা আর পবিত্র নেই৷ যে দিন থেকে প্রধান বিচারপতি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নির্যাতনের অভিযোগের বিচার নিজেই করছেন সেদিন থেকে ভারতীয় বিচারব্য়বস্থার পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে৷ নিজেকে নির্দোষ ঘোষণা করা এবং রাজ্য়সভায় সাংসদ হিসেবে নিজের মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ জ়েড ক্য়াটাগরির নিরাপত্তা পেয়েছেন৷" মহুয়া মৈত্র দেশের বিচারব্য়বস্থা নিয়ে বললেও কোনও বিচারপতির নাম তিনি করেননি৷
আরও পড়ুন- মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে লোকসভার স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস বিজেপি সাংসদের
কেন যৌন হেনস্থার অভিযোগ ?
2019 সালের এপ্রিল মাসে জুনিয়র কোর্ট অ্য়াসিস্টেন্ট হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে চাকরি করতেন এক মহিলা৷ তিনি অভিযোগ করেন, 2018 সালের 11 ও 12 অক্টোবর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন৷
মহুয়ার ওই বক্তব্য়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস পাঠিয়েছেন বিজেপি সাংসদ৷