ETV Bharat / bharat

Mahua Moitra Tweets: বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের শিক্ষাগত যোগ্যতা ভুয়ো, টুইটে দাবি মহুয়ার

ঝাড়খণ্ডের বিজেপি লোকসভা সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকে আগে 'গুন্ডা' বলেছিলেন মহুয়া ৷ এবার বিজেপি সাংসদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুয়ো নথি পোস্ট করলেন (TMC MP Mahua Moitra over Nishikant Dubey) ৷ লিখলেন, "এতগুলো এমবিএ ডিগ্রি দেখে ভালো লাগছে, কোনটা কাজে লাগবে ?"

Mahua Moitra
মহুয়া মৈত্র
author img

By

Published : Mar 17, 2023, 10:46 AM IST

নয়াদিল্লি, 17 মার্চ: বিজেপি সাংসদ তাঁর হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যা তথ্য উল্লেখ করেছেন । এমনই অভিযোগ তুললেন মহুয়া মৈত্র ৷ এ নিয়ে শুক্রবার সকালে তিনি একের পর এক টুইট করেন এবং তাঁর বক্তব্যের পক্ষে একাধিক 'প্রমাণ'ও তুলে ধরেন (TMC MP Mahua Moitra tweets over Nishikant Dubey Educational qualification) ৷ প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, "আমি সাধারণত লিঙ্ক করা টুইট করি না ৷ কিন্তু আজ সকালে আমার হাতে এত বেশি তথ্য (বা বলা ভালো ভুয়ো তথ্য) এসেছে, তাই পরবর্তী তিনটি টুইটের একটির সঙ্গে আরেকটির সম্পর্ক রয়েছে ৷"

  • In 2019 Lok Sabha affidavit Hon’ble Member makes no mention of MBA and instead only states he has a PhD in Management from Pratap University Rajasthan in 2018 .
    Please note- One cannot do a PhD from UGC deemed uni without valid masters degree (3/3) pic.twitter.com/Ym4fGxFYSx

    — Mahua Moitra (@MahuaMoitra) March 17, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

এই তিনটির টুইটে প্রথমটিতে তিনি ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের (BJP MP Nishikant Dubey) 2009 সালে মনোনয়নপত্রের হলফনামার ছবি পোস্ট করেন ৷ সেখানে নিশিকান্ত তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রসঙ্গে তথ্য দিয়েছেন। লিখেছেন, তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (Delhi University) থেকে 1993 সালে এমবিএ করেছেন ৷ মহুয়া লেখেন, "মাননীয় সদস্য 2009 এবং 2014 সালের হলফনামায় দাবি করেছেন তিনি 'আংশিক সময়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছেন' ৷ এখানে উল্লেখ্য, 2019 সালের আগে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার পুরো তালিকাটি দেখানো প্রয়োজন ৷"

  • Now finally see this. Hon’ble member in his PhD application to Pratap Uni makes NO mention of DU MBA degree & instead miraculously has another MBA transcript from Pratap Uni itself from 2013-15! Clearly loves collecting MBA degrees :-) - never know which one may work. pic.twitter.com/HdzVg9Xahy

    — Mahua Moitra (@MahuaMoitra) March 17, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

এরপর এই সিরিজের দ্বিতীয় টুইট করেন মহুয়া ৷ তাতে ঝাড়খণ্ডের পুলিশ ইনস্পেক্টরকে লেখা দিল্লি বিশ্বিবিদ্যালয়ের ডিনের একটি চিঠি তুলে ধরা হয়েছে ৷ 2020 সালের 28 জুলাই লেখা ওই চিঠির বক্তব্য, নিশিকান্ত দুবে নামের কোনও ব্যক্তি 1993 সালে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ থেকে পাশ করেননি ৷ আরটিআইয়ের মাধ্যমে যে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ মহুয়া লেখেন, "2020 সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় লিখিতভাবে উত্তর দিয়েছে ৷ সেখানে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, মাননীয় সদস্যের নামে কোনও ব্যক্তি 1993 সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ প্রোগ্রামে না ভরতি হননি। অতএব পাশও করেননি ৷ এমনকী আরটিআইও একই কথা বলছে ৷"

  • Hon’ble Member in his 2009 and 2014 Lok Sabha affidavit claimed to be “part time MBA from Delhi University”. Please note- prior to 2019 full list of educational qualifications was required to be listed.
    (1/3) pic.twitter.com/dcI3FaAuFa

    — Mahua Moitra (@MahuaMoitra) March 17, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

আরও পড়ুন: অধ্যক্ষের নেতৃত্বেই গণতন্ত্রের উপর আঘাত নেমে আসছে, তীব্র আক্রমণ মহুয়ার

এরপর তিন নম্বর টুইটে ঝাড়খণ্ড সরকারের স্ট্যাম্প দেওয়া দু'টি পাতা পোস্ট করেন তিনি ৷ সেটি 2019 সালে নিশিকান্ত দুবের জমা দেওয়া হলফনামা ৷ আরেকটি পাতায় নিশিকান্ত দুবে তাঁর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে 2018 সালে রাজস্থানের প্রতাপ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডক্টর অফ ফিলোজফি ইন ম্যানেজমেন্ট' করার কথা জানিয়েছেন ৷ বিষয় 'ইমার্জিং ইস্যু অফ রুরাল পভার্টি ইন ইন্ডিয়া: আ ম্যাক্রো ভিউ' ৷ মহুয়া লেখেন, "2019 সালে লোকসভার মাননীয় সদস্য এমবিএ-র উল্লেখ করেননি ৷ জানিয়েছেন, তিনি 2018 সালে রাজস্থানের প্রতাপ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন ৷ প্রসঙ্গত, ইউজিসি স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা শেষ না-করে কেউ পিএইচডি করতে পারেন না ৷"

এরপরে তিনি নিশিকান্ত দুবের শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য নিয়ে আরও তিনটি টুইট করেছেন ৷ সেখানে প্রতাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সার্টিফিকেট পোস্ট করেছেন ৷ যেখানে বিষয়ের জায়গায় মাস্টার অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লেখা রয়েছে ৷ তিনি লেখেন, "মাননীয় সদস্য তাঁর পিএইচডি-র আবেদনপত্রে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রির উল্লেখ করেননি ৷ তার বদলে 2013-15 সালে প্রতাপ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এমবিএ করার উল্লেখ রয়েছে ৷ সত্যি, এমবিএ ডিগ্রিগুলোর সংগ্রহ ভালো লাগছে ৷ কোনটা কাজ করবে বুঝতে পারছি না !"

তিনি আরও লেখেন, "যাঁরা কাচের ঘরে থাকেন, তাঁদের পাথর ছোড়া উচিত নয় ৷ আর যারা ভুয়ো ডিগ্রি এবং হলফনামায় মিথ্যে কথা লেখেন, তাঁদের রুলবুক ছুড়ে ফেলা উচিত নয় ৷ এবার দেশ দেখতে চায়, 1993 সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় সদস্যকে কী সার্টিফিকেট দিয়েছিল ৷ তিনি একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ করতে পারেন (Maybe he can do a whatsap forward of the same) "

আরও পড়ুন: আদানি ইস্যুতে মোদিকে অস্কার খোঁচা মহুয়ার

নয়াদিল্লি, 17 মার্চ: বিজেপি সাংসদ তাঁর হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যা তথ্য উল্লেখ করেছেন । এমনই অভিযোগ তুললেন মহুয়া মৈত্র ৷ এ নিয়ে শুক্রবার সকালে তিনি একের পর এক টুইট করেন এবং তাঁর বক্তব্যের পক্ষে একাধিক 'প্রমাণ'ও তুলে ধরেন (TMC MP Mahua Moitra tweets over Nishikant Dubey Educational qualification) ৷ প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, "আমি সাধারণত লিঙ্ক করা টুইট করি না ৷ কিন্তু আজ সকালে আমার হাতে এত বেশি তথ্য (বা বলা ভালো ভুয়ো তথ্য) এসেছে, তাই পরবর্তী তিনটি টুইটের একটির সঙ্গে আরেকটির সম্পর্ক রয়েছে ৷"

  • In 2019 Lok Sabha affidavit Hon’ble Member makes no mention of MBA and instead only states he has a PhD in Management from Pratap University Rajasthan in 2018 .
    Please note- One cannot do a PhD from UGC deemed uni without valid masters degree (3/3) pic.twitter.com/Ym4fGxFYSx

    — Mahua Moitra (@MahuaMoitra) March 17, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

এই তিনটির টুইটে প্রথমটিতে তিনি ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের (BJP MP Nishikant Dubey) 2009 সালে মনোনয়নপত্রের হলফনামার ছবি পোস্ট করেন ৷ সেখানে নিশিকান্ত তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রসঙ্গে তথ্য দিয়েছেন। লিখেছেন, তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (Delhi University) থেকে 1993 সালে এমবিএ করেছেন ৷ মহুয়া লেখেন, "মাননীয় সদস্য 2009 এবং 2014 সালের হলফনামায় দাবি করেছেন তিনি 'আংশিক সময়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছেন' ৷ এখানে উল্লেখ্য, 2019 সালের আগে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার পুরো তালিকাটি দেখানো প্রয়োজন ৷"

  • Now finally see this. Hon’ble member in his PhD application to Pratap Uni makes NO mention of DU MBA degree & instead miraculously has another MBA transcript from Pratap Uni itself from 2013-15! Clearly loves collecting MBA degrees :-) - never know which one may work. pic.twitter.com/HdzVg9Xahy

    — Mahua Moitra (@MahuaMoitra) March 17, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

এরপর এই সিরিজের দ্বিতীয় টুইট করেন মহুয়া ৷ তাতে ঝাড়খণ্ডের পুলিশ ইনস্পেক্টরকে লেখা দিল্লি বিশ্বিবিদ্যালয়ের ডিনের একটি চিঠি তুলে ধরা হয়েছে ৷ 2020 সালের 28 জুলাই লেখা ওই চিঠির বক্তব্য, নিশিকান্ত দুবে নামের কোনও ব্যক্তি 1993 সালে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ থেকে পাশ করেননি ৷ আরটিআইয়ের মাধ্যমে যে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ মহুয়া লেখেন, "2020 সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় লিখিতভাবে উত্তর দিয়েছে ৷ সেখানে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, মাননীয় সদস্যের নামে কোনও ব্যক্তি 1993 সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ প্রোগ্রামে না ভরতি হননি। অতএব পাশও করেননি ৷ এমনকী আরটিআইও একই কথা বলছে ৷"

  • Hon’ble Member in his 2009 and 2014 Lok Sabha affidavit claimed to be “part time MBA from Delhi University”. Please note- prior to 2019 full list of educational qualifications was required to be listed.
    (1/3) pic.twitter.com/dcI3FaAuFa

    — Mahua Moitra (@MahuaMoitra) March 17, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

আরও পড়ুন: অধ্যক্ষের নেতৃত্বেই গণতন্ত্রের উপর আঘাত নেমে আসছে, তীব্র আক্রমণ মহুয়ার

এরপর তিন নম্বর টুইটে ঝাড়খণ্ড সরকারের স্ট্যাম্প দেওয়া দু'টি পাতা পোস্ট করেন তিনি ৷ সেটি 2019 সালে নিশিকান্ত দুবের জমা দেওয়া হলফনামা ৷ আরেকটি পাতায় নিশিকান্ত দুবে তাঁর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে 2018 সালে রাজস্থানের প্রতাপ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডক্টর অফ ফিলোজফি ইন ম্যানেজমেন্ট' করার কথা জানিয়েছেন ৷ বিষয় 'ইমার্জিং ইস্যু অফ রুরাল পভার্টি ইন ইন্ডিয়া: আ ম্যাক্রো ভিউ' ৷ মহুয়া লেখেন, "2019 সালে লোকসভার মাননীয় সদস্য এমবিএ-র উল্লেখ করেননি ৷ জানিয়েছেন, তিনি 2018 সালে রাজস্থানের প্রতাপ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন ৷ প্রসঙ্গত, ইউজিসি স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা শেষ না-করে কেউ পিএইচডি করতে পারেন না ৷"

এরপরে তিনি নিশিকান্ত দুবের শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য নিয়ে আরও তিনটি টুইট করেছেন ৷ সেখানে প্রতাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সার্টিফিকেট পোস্ট করেছেন ৷ যেখানে বিষয়ের জায়গায় মাস্টার অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লেখা রয়েছে ৷ তিনি লেখেন, "মাননীয় সদস্য তাঁর পিএইচডি-র আবেদনপত্রে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রির উল্লেখ করেননি ৷ তার বদলে 2013-15 সালে প্রতাপ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এমবিএ করার উল্লেখ রয়েছে ৷ সত্যি, এমবিএ ডিগ্রিগুলোর সংগ্রহ ভালো লাগছে ৷ কোনটা কাজ করবে বুঝতে পারছি না !"

তিনি আরও লেখেন, "যাঁরা কাচের ঘরে থাকেন, তাঁদের পাথর ছোড়া উচিত নয় ৷ আর যারা ভুয়ো ডিগ্রি এবং হলফনামায় মিথ্যে কথা লেখেন, তাঁদের রুলবুক ছুড়ে ফেলা উচিত নয় ৷ এবার দেশ দেখতে চায়, 1993 সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় সদস্যকে কী সার্টিফিকেট দিয়েছিল ৷ তিনি একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ করতে পারেন (Maybe he can do a whatsap forward of the same) "

আরও পড়ুন: আদানি ইস্যুতে মোদিকে অস্কার খোঁচা মহুয়ার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.