ETV Bharat / bharat

Mahashivratri 2023: কীসে খুশি হবেন ভোলানাথ ? কী করলে রুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা মহাকালের

আসছে মহাশিবরাত্রি ৷ ভগবান শিবকে সন্তুষ্ট করার দিন ৷ এই ব্রত পালনের মধ্যে দিয়ে ভক্তরা সৌভাগ্য লাভ করে বলে বিশ্বাস ৷ জেনে নিন, এই দিন কী করবেন আর কী করবেন না (Do's and Don'ts on Mahashivratri)৷

Etv Bharat
মহাশিবরাত্রি 2023
author img

By

Published : Feb 16, 2023, 6:59 PM IST

নয়াদিল্লি, 16 ফেব্রুয়ারি: মহাশিবরাত্রি, যা দেশের অন্যতম শুভ উৎসব বলে বিবেচিত হয় ৷ এবছর মহাশিবরাত্রি (Mahashivratri) পালিত হবে 18 ফেব্রুয়ারি, শনিবার ৷ সুতরাং, এই দিন ভগবান শিবকে স্মরণ করতে প্রস্তুত থাকুন ৷ এটি বিশ্বাস করা হয়ে থাকে, হিন্দু ক্যালেন্ডারের প্রতি চন্দ্র-সৌর মাসে একটি শিবরাত্রি থাকলেও মহাশিবরাত্রি প্রতি বছর শুধুমাত্র একবার পালিত হয়ে থাকে ৷ যা সাধারণত ফেব্রুয়ারি/মার্চ যখন শীত শেষ হয়ে বসন্তের শুরু তখনই পালিত হয় ৷ মহাশিবরাত্রিকে বিশেষভাবে শুভ বলে মনে করা হয় ৷ কারণ এটি শিব ও শক্তির মিলনের রাত ৷ যার অর্থ পুরুষ ও নারী শক্তি যা বিশ্বের ভারসাম্যকে বজায় রাখে ৷ শিব এবং শক্তি প্রেম ও একতার মূর্ত প্রতীক হিসেবে সম্মানিত হয় ৷

মহাশিবরাত্রির তাৎপর্য (Significance of Mahashivratri) বর্ণনায় ইতিহাসে বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ রয়েছে ৷ এর মধ্যে কেউ কেউ বলেন, এই দিনে শিব ও দেবী পার্বতী গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন ৷ আবার কারও কথায়, সমুদ্র মন্থনের সময় গরল বা বিষের পাত্রটি শিব গিলে ফেলার পরিবর্তে গলায় ধরে রেখেছিলেন ৷ সেই কারণে তাঁর গলা নীল হয়ে যাওয়ায় তিনি নীলকন্ঠ নামে পরিচিত হন ৷ উত্তরাখণ্ড থেকে শুরু করে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলাঙ্গানা-সহ দেশের প্রতিটি রাজ্যে মহাশিবরাত্রি উদযাপিত হয় ৷ ভক্তরা এই দিন মন্দিরে গিয়ে শিবলিঙ্গে দুধ, বেলপাতা, ধুতুরা ফুল, চন্দন, ঘি, চিনি ঢেলে নিজ নিজ মনোস্কামনা জানান ৷ এরপর ওই শিবলিঙ্গ বা মন্দিরের চারপাশে ঘুরতেও দেখা যায় ভক্তদের ৷ শিব ভক্তরা এদিন 24 ঘণ্টা উপোস করে পরের দিন তা ভাঙেন ৷

আরও পড়ুন : প্রবল বরফবৃষ্টিতে জ্বলজ্বল করছে তুষারশুভ্র কেদারনাথ ধাম

কেউ সারাদিন জল পর্যন্ত না খেয়ে নির্জলা উপোস করেন আবার কেউ সারাদিন রাগি, সাবুদানা, ফলমূল ও নিরামিষ শাকসবজি খেয়ে থাকেন ৷ আপনি যদি মহাশিবরাত্রির উপোস করেন তাহলে কী করা উচিত আর কী করা অনুচিত তা দেখে নিন ৷

কী করবেন :

এইদিন খুব ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়ুন ৷ এরপর স্নান করে পরিষ্কার ও সাদা পোশাক পরা উচিত ৷ ভালো ফল পেতে সারাদিনে একাধিকবার 'ওম নমোঃ শিবায়' জপ করুন ৷ শিবরাত্রির পুজো রাতে হয় বলে ভক্তরা পুজো শুরুর আগে আরেকবার স্নান করেন৷ নৈবেদ্য হিসেবে ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে অর্পণ করুন দুধ, বেলপাতা, ধুতুরা ফুল, চন্দন, ঘি, চিনি ও মধু ৷ দৃকপঞ্চং অনুসারে, ব্রতের পূর্ণ সুফল পেতে ভক্তরা এদিন ভোর থেকে চতুর্দশী তিথির শেষের মধ্যে তাঁদের উপবাস ভঙ্গ করেন ৷

কী করবেন না :

এই দিন অনেকের মতে চাল, গম বা ডালের তৈরি কোনও জিনিস খেতে নেই ৷ সমস্ত রকম আমিষ জাতীয় খাবার এদিন এড়িয়ে চলুন ৷ শিবলিঙ্গে নারকেল জল নিবেদন করবেন না ৷ এটা বিশ্বাস করা হয়, আজকের দিনে যারা ভগবান শিবের পুজো, উপবাস ও প্রার্থনা করেন তাঁরা সৌভাগ্য লাভ করেন ৷

আরও পড়ুন : কালিম্পংয়ের শিবমন্দিরকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আবেদন

নয়াদিল্লি, 16 ফেব্রুয়ারি: মহাশিবরাত্রি, যা দেশের অন্যতম শুভ উৎসব বলে বিবেচিত হয় ৷ এবছর মহাশিবরাত্রি (Mahashivratri) পালিত হবে 18 ফেব্রুয়ারি, শনিবার ৷ সুতরাং, এই দিন ভগবান শিবকে স্মরণ করতে প্রস্তুত থাকুন ৷ এটি বিশ্বাস করা হয়ে থাকে, হিন্দু ক্যালেন্ডারের প্রতি চন্দ্র-সৌর মাসে একটি শিবরাত্রি থাকলেও মহাশিবরাত্রি প্রতি বছর শুধুমাত্র একবার পালিত হয়ে থাকে ৷ যা সাধারণত ফেব্রুয়ারি/মার্চ যখন শীত শেষ হয়ে বসন্তের শুরু তখনই পালিত হয় ৷ মহাশিবরাত্রিকে বিশেষভাবে শুভ বলে মনে করা হয় ৷ কারণ এটি শিব ও শক্তির মিলনের রাত ৷ যার অর্থ পুরুষ ও নারী শক্তি যা বিশ্বের ভারসাম্যকে বজায় রাখে ৷ শিব এবং শক্তি প্রেম ও একতার মূর্ত প্রতীক হিসেবে সম্মানিত হয় ৷

মহাশিবরাত্রির তাৎপর্য (Significance of Mahashivratri) বর্ণনায় ইতিহাসে বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ রয়েছে ৷ এর মধ্যে কেউ কেউ বলেন, এই দিনে শিব ও দেবী পার্বতী গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন ৷ আবার কারও কথায়, সমুদ্র মন্থনের সময় গরল বা বিষের পাত্রটি শিব গিলে ফেলার পরিবর্তে গলায় ধরে রেখেছিলেন ৷ সেই কারণে তাঁর গলা নীল হয়ে যাওয়ায় তিনি নীলকন্ঠ নামে পরিচিত হন ৷ উত্তরাখণ্ড থেকে শুরু করে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলাঙ্গানা-সহ দেশের প্রতিটি রাজ্যে মহাশিবরাত্রি উদযাপিত হয় ৷ ভক্তরা এই দিন মন্দিরে গিয়ে শিবলিঙ্গে দুধ, বেলপাতা, ধুতুরা ফুল, চন্দন, ঘি, চিনি ঢেলে নিজ নিজ মনোস্কামনা জানান ৷ এরপর ওই শিবলিঙ্গ বা মন্দিরের চারপাশে ঘুরতেও দেখা যায় ভক্তদের ৷ শিব ভক্তরা এদিন 24 ঘণ্টা উপোস করে পরের দিন তা ভাঙেন ৷

আরও পড়ুন : প্রবল বরফবৃষ্টিতে জ্বলজ্বল করছে তুষারশুভ্র কেদারনাথ ধাম

কেউ সারাদিন জল পর্যন্ত না খেয়ে নির্জলা উপোস করেন আবার কেউ সারাদিন রাগি, সাবুদানা, ফলমূল ও নিরামিষ শাকসবজি খেয়ে থাকেন ৷ আপনি যদি মহাশিবরাত্রির উপোস করেন তাহলে কী করা উচিত আর কী করা অনুচিত তা দেখে নিন ৷

কী করবেন :

এইদিন খুব ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়ুন ৷ এরপর স্নান করে পরিষ্কার ও সাদা পোশাক পরা উচিত ৷ ভালো ফল পেতে সারাদিনে একাধিকবার 'ওম নমোঃ শিবায়' জপ করুন ৷ শিবরাত্রির পুজো রাতে হয় বলে ভক্তরা পুজো শুরুর আগে আরেকবার স্নান করেন৷ নৈবেদ্য হিসেবে ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে অর্পণ করুন দুধ, বেলপাতা, ধুতুরা ফুল, চন্দন, ঘি, চিনি ও মধু ৷ দৃকপঞ্চং অনুসারে, ব্রতের পূর্ণ সুফল পেতে ভক্তরা এদিন ভোর থেকে চতুর্দশী তিথির শেষের মধ্যে তাঁদের উপবাস ভঙ্গ করেন ৷

কী করবেন না :

এই দিন অনেকের মতে চাল, গম বা ডালের তৈরি কোনও জিনিস খেতে নেই ৷ সমস্ত রকম আমিষ জাতীয় খাবার এদিন এড়িয়ে চলুন ৷ শিবলিঙ্গে নারকেল জল নিবেদন করবেন না ৷ এটা বিশ্বাস করা হয়, আজকের দিনে যারা ভগবান শিবের পুজো, উপবাস ও প্রার্থনা করেন তাঁরা সৌভাগ্য লাভ করেন ৷

আরও পড়ুন : কালিম্পংয়ের শিবমন্দিরকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আবেদন

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.