ETV Bharat / bharat

Maharashtra-Karnataka Border Dispute: কর্ণাটকের সঙ্গে সীমানা বিবাদ নিয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় প্রস্তাব পাস - মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ

মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Maharashtra CM Eknath Shinde) ওই রাজ্যের বিধানসভায় কর্ণাটকের (Karnataka) সঙ্গে সীমানা বিবাদ একটি প্রস্তাব পেশ করেন ৷ ওই প্রস্তাব সর্বসম্মতিতে পাস হয় বিধানসভায় ৷ এই বিবাদ মেটাতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিন্ডে ৷

Maharashtra CM Eknath Shinde
মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে
author img

By

Published : Dec 27, 2022, 3:42 PM IST

Updated : Dec 27, 2022, 4:38 PM IST

মুম্বই, 27 ডিসেম্বর: কর্ণাটকের (Karnataka) সঙ্গে সীমানা বিরোধ নিয়ে প্রস্তাব পাস হল মহারাষ্ট্র বিধানসভায় (Maharashtra Assembly) ৷ মঙ্গলবার সর্বসম্মতিতে ওই প্রস্তাব পাস হয় ৷ বিধানসভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Maharashtra CM Eknath Shinde) । এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় সীমানা নিয়ে ওই প্রস্তাব পাঠ করেন তিনি । সেখানে তিনি জানান, তিনি গত 14 ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Union Home Minister Amit Shah) সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেছেন । এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের জন্য ওই আলোচনা হয় বলে শিন্ডে এদিন মহারাষ্ট্র বিধানসভায় জানান ৷

এর আগে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Maharashtra Deputy CM Devendra Fadnavis) এই পদক্ষেপের কথা বলেছিলেন । প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরের সমালোচনা করেন ৷ প্রসঙ্গত, ঠাকরে বিরোধপূর্ণ এলাকাগুলিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন ৷ তারই প্রেক্ষিতে ফড়নবীশ বলেন, "আমি অবাক হয়েছি যে গতকাল যিনি কথা বলেছেন, তিনি আড়াই বছর ধরে কিছুই করেননি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে । আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সীমানা বিরোধ শুরু হয়নি ।”

তিনি আরও জানান যে রাজ্যের বছরের পর বছর ধরে চলা সীমানা বিরোধ নিয়ে বিরোধীরা এখন একনাথ শিন্ডের সরকারকে দায়ী করছে । তিনি বলেন, "মহারাষ্ট্র ও ভাষাভিত্তিক প্রদেশ গঠনের তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটার শুরু ৷ এটি বছরের পর বছর ধরে চলছে । তারপর থেকে বছরের পর বছর ধরে যাদের সরকার ছিল, তারা দেখাচ্ছে যে আমাদের সরকার আসার পর সীমানা বিরোধ শুরু হয়েছে । এভাবে সীমানা বিরোধ নিয়ে কখনও রাজনীতি হয়নি ৷ আমরা প্রতিবারই সরকারের পাশে ছিলাম, কারণ বিষয়টি মারাঠিভাষীদের জন্য ছিল ৷’’

এ নিয়ে অন্য দলগুলোকে রাজনীতি না করার আহ্বান জানান তিনি । বলেন, "আমরা কখনোই এই ইস্যুতে রাজনীতি করিনি এবং আমরা আশা করি যে কেউ এই বিষয়ে রাজনীতি করবে না । সীমানা এলাকার মানুষের মনে হওয়া উচিত যে সমগ্র মহারাষ্ট্র তাঁদের সঙ্গে আছে ৷

এর আগে সোমবার মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদে উদ্ধব ঠাকরে বলেছিলেন, "এটি কেবল ভাষা এবং সীমানার বিষয় নয়, 'মানবতার' বিষয় । যতক্ষণ বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কর্নাটক-অধিকৃত মহারাষ্ট্রকে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা উচিত ।"

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের মধ্যে সীমানা বিবাদ দীর্ঘদিনের (Maharashtra-Karnataka Border Dispute) ৷ মহারাষ্ট্র সরকার এর আগে কর্ণাটকের সঙ্গে সীমানা পুনর্বিন্যাস করার দাবি করেছিল । এর পরিপ্রেক্ষিতে উভয় রাজ্যই চার সদস্যের কমিটি গঠন করে । মহারাষ্ট্র সরকার 260টি কন্নড়ভাষী গ্রাম স্থানান্তর করতেও ইচ্ছুক ছিল ৷ কিন্তু কর্নাটক প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেয় । উভয় সরকারই পরে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ।

আরও পড়ুন: কর্নাটক-মহারাষ্ট্র সীমানা বিবাদে বন্ধ 300 বাস, দুর্ভোগে যাত্রীরা

মুম্বই, 27 ডিসেম্বর: কর্ণাটকের (Karnataka) সঙ্গে সীমানা বিরোধ নিয়ে প্রস্তাব পাস হল মহারাষ্ট্র বিধানসভায় (Maharashtra Assembly) ৷ মঙ্গলবার সর্বসম্মতিতে ওই প্রস্তাব পাস হয় ৷ বিধানসভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Maharashtra CM Eknath Shinde) । এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় সীমানা নিয়ে ওই প্রস্তাব পাঠ করেন তিনি । সেখানে তিনি জানান, তিনি গত 14 ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Union Home Minister Amit Shah) সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেছেন । এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের জন্য ওই আলোচনা হয় বলে শিন্ডে এদিন মহারাষ্ট্র বিধানসভায় জানান ৷

এর আগে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Maharashtra Deputy CM Devendra Fadnavis) এই পদক্ষেপের কথা বলেছিলেন । প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরের সমালোচনা করেন ৷ প্রসঙ্গত, ঠাকরে বিরোধপূর্ণ এলাকাগুলিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন ৷ তারই প্রেক্ষিতে ফড়নবীশ বলেন, "আমি অবাক হয়েছি যে গতকাল যিনি কথা বলেছেন, তিনি আড়াই বছর ধরে কিছুই করেননি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে । আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সীমানা বিরোধ শুরু হয়নি ।”

তিনি আরও জানান যে রাজ্যের বছরের পর বছর ধরে চলা সীমানা বিরোধ নিয়ে বিরোধীরা এখন একনাথ শিন্ডের সরকারকে দায়ী করছে । তিনি বলেন, "মহারাষ্ট্র ও ভাষাভিত্তিক প্রদেশ গঠনের তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটার শুরু ৷ এটি বছরের পর বছর ধরে চলছে । তারপর থেকে বছরের পর বছর ধরে যাদের সরকার ছিল, তারা দেখাচ্ছে যে আমাদের সরকার আসার পর সীমানা বিরোধ শুরু হয়েছে । এভাবে সীমানা বিরোধ নিয়ে কখনও রাজনীতি হয়নি ৷ আমরা প্রতিবারই সরকারের পাশে ছিলাম, কারণ বিষয়টি মারাঠিভাষীদের জন্য ছিল ৷’’

এ নিয়ে অন্য দলগুলোকে রাজনীতি না করার আহ্বান জানান তিনি । বলেন, "আমরা কখনোই এই ইস্যুতে রাজনীতি করিনি এবং আমরা আশা করি যে কেউ এই বিষয়ে রাজনীতি করবে না । সীমানা এলাকার মানুষের মনে হওয়া উচিত যে সমগ্র মহারাষ্ট্র তাঁদের সঙ্গে আছে ৷

এর আগে সোমবার মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদে উদ্ধব ঠাকরে বলেছিলেন, "এটি কেবল ভাষা এবং সীমানার বিষয় নয়, 'মানবতার' বিষয় । যতক্ষণ বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কর্নাটক-অধিকৃত মহারাষ্ট্রকে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা উচিত ।"

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের মধ্যে সীমানা বিবাদ দীর্ঘদিনের (Maharashtra-Karnataka Border Dispute) ৷ মহারাষ্ট্র সরকার এর আগে কর্ণাটকের সঙ্গে সীমানা পুনর্বিন্যাস করার দাবি করেছিল । এর পরিপ্রেক্ষিতে উভয় রাজ্যই চার সদস্যের কমিটি গঠন করে । মহারাষ্ট্র সরকার 260টি কন্নড়ভাষী গ্রাম স্থানান্তর করতেও ইচ্ছুক ছিল ৷ কিন্তু কর্নাটক প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেয় । উভয় সরকারই পরে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ।

আরও পড়ুন: কর্নাটক-মহারাষ্ট্র সীমানা বিবাদে বন্ধ 300 বাস, দুর্ভোগে যাত্রীরা

Last Updated : Dec 27, 2022, 4:38 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.