থানে (মহারাষ্ট্র), 12 মে : সম্প্রতি সামনে এসেছে কোভিডের সঙ্গে জড়িত মিউকোরমাইকোসিসের কথা ৷ এই মারাত্মক এই ফাংগাল সংক্রমণে দু'জন কোভিড-19 রোগীর মৃত্যু হল মহারাষ্ট্রের থানেতে ৷ আজই এই তথ্য দিয়েছে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতর ৷ "ব্ল্যাক ফাংগাস" নামেও পরিচিত এই ছত্রাকের সংক্রমণের চিকিৎসা চলছে আরও ছ'জন রোগীর ৷
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনী পাটিল জানিয়েছেন, 38 বছরের একজন রোগী থানের গ্রামাঞ্চল মহারালের বাসিন্দা, আরে এক জন ডোমবিভলি শহরে থাকতেন ৷ কল্যাণ ডোমবিভলি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (কেডিএমসি)-র অধীনে দু'টি ভিন্ন কোভিড-19 কেয়ার কেন্দ্রে তাঁদের চিকিৎসা চলছিল ৷ চিকিৎসারত অবস্থায় এই ছত্রাক সংক্রমণের ফলে মৃত্যু হয় দু'জন কোভিড রোগীর ৷ আরো ছ'জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে দু'জনকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে ৷
আরো পড়ুন: ত্রিপুরায় কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে পালালো 25 করোনা আক্রান্ত
তবে তিনি কোভিড-19 রোগীদের অকারণ আতঙ্কে ভুগতে বারণ করেছেন ৷ কারণ, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে এই সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ৷ তবে তাঁরা সাধারণত রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখেন ৷ কোভিড-19 রোগীদের মধ্যে মিউকোরমাইকোসিস শনাক্ত করা হলেও এর চিকিৎসায় অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার করা উচিত নয়, সতর্ক করেছেন অশ্বিনী ৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ- মাথাব্যথা, জ্বর, চোখের তলায় ব্যথা, সাইনাস বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, আর আংশিক দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যাওয়া ৷
মঙ্গলবার, মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপ জানিয়েছেন, কোভিড-19 রোগীর সংখ্যা যত বাড়ছে, ততই বেড়ে চলেছে ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ৷ এখনই রাজ্যে এই রোগীর সংখ্যা 2000 ৷ আর এই সংখ্যা "নিশ্চিত আরও বাড়বে" বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি ৷
ইতিমধ্যে, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সংক্রমণ কী ভাবে সামলানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন কল্যাণের সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্ডে ৷
কোভিড-19 রোগীদের চিকিৎসায় অতিরিক্ত স্টেরয়েড যাতে ব্যবহার করা না হয়, সেই বিধি মানতে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ৷