প্রয়াগরাজ, 15 এপ্রিল: গুলিতে প্রাণ গেল আইনজীবী উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত, জেলবন্দি গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিক আতিক আহমেদ ও ভাই আশরাফ আহমেদের ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আতিক ও আশরাফকে মেডিক্যাল চেকআপের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, 'মাফিয়া থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফ আহমেদকে প্রয়াগরাজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ৷' এর আগে, আতিককে তার ছেলে আসাদের শেষকৃত্যে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি । আসাদকে শনিবার কাসারি মাসারি কবরস্থানে কিছু আত্মীয় এবং স্থানীয়দের অনুমতি দিয়ে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দাফন করা হয় ।
আতিক নিজের এবং তার পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন । মামলার তদন্তের জন্য তিনি সবরমতি জেল থেকে প্রয়াগরাজ জেলে স্থানান্তরকেও চ্যালেঞ্জ করেছিলেন । সুপ্রিম কোর্ট আতিককে সুরক্ষা দেওয়ার আর্জি খারিজ করে জানায়, রাষ্ট্র তাকে রক্ষা করবে ।
-
#WATCH | Prayagraj: Forensic team at the spot where Mafia-turned-politician #AtiqAhmed and his brother Ashraf Ahmed were shot dead while interacting with media.#UttarPradesh pic.twitter.com/vlLwFAD6Qi
— ANI (@ANI) April 15, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">#WATCH | Prayagraj: Forensic team at the spot where Mafia-turned-politician #AtiqAhmed and his brother Ashraf Ahmed were shot dead while interacting with media.#UttarPradesh pic.twitter.com/vlLwFAD6Qi
— ANI (@ANI) April 15, 2023#WATCH | Prayagraj: Forensic team at the spot where Mafia-turned-politician #AtiqAhmed and his brother Ashraf Ahmed were shot dead while interacting with media.#UttarPradesh pic.twitter.com/vlLwFAD6Qi
— ANI (@ANI) April 15, 2023
আরও পড়ুন: ঝাঁসিতে এনকাউন্টার, নিহত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের ছেলে
আতিক দাবি করেছিলেন, তিনি উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে হুমকি পেয়েছেন । আদালতকে তার এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন । সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রায় দু'সপ্তাহ পর আসাদ মারা যান । আতিকের অন্য ছেলেদের মধ্যে, বড় ছেলে উমর লখনউ জেলে, দ্বিতীয় ছেলে আলী আলাদা মামলায় নাইনি সেন্ট্রাল জেলে বন্দি। চতুর্থ পুত্র আহজাম এবং কনিষ্ঠ পুত্র আবনকে প্রয়াগরাজের একটি জুভেনাইল হোমে রাখা হয়েছে ।
উল্লেখ্য, 2005 সালে খুন হন বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল ৷ বাড়ির সামনেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর । সেই ঘটনায় তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশকর্মীরও প্রাণ হারান ৷ প্রায় 18 বছর আগের সেই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন আইনজীবী উমেশ পাল ৷ গত 24 ফেব্রুয়ারি তাঁকেও খুন করা হয় ৷ প্রয়াগরাজের ধূমানগঞ্জ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে ৷ নিহত উমেশ পালের স্ত্রী জয়া পাল ঘটনার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আতিক আহমেদ, তাঁর ভাই আশরাফ আহমেদ, আতিকের ছেলে আসাদ আহমেদ-সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয় ৷